ইতিহাস এবং সমাজবিজ্ঞানের মধ্যে সম্পর্ক বেশ গভীর| ইতিহাসে এক বড় অংশ জুড়ে আছে সামাজিক ইতিহাসের কথা| স্বভাবতই সমাজবিদ্যার সঙ্গে ইতিহাসে যে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ থাকবে তা প্রায় অবসম্ভাবী|
অধ্যাপক অমলেশ ত্রিপাটি বলেছেন যে, "ইতিহাস হল মানববিদ্যার এবং সমাজবিজ্ঞান সমূহের আত্মা"| ইতিহাস থেকে নজির নিয়ে সমাজবিদ্যা তার তত্ত্বগুলি নির্মাণ করে এবং ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করে তার ভিত্তি স্থাপন করে| ইতিহাসের মধ্যে মানব জীবনে সব কর্মকাণ্ডকে স্থান দেওয়া হয়| সমাজবদ্ধ মানুষের অতীতের কাহিনী হল ইতিহাস|
অধ্যাপক অমলেশ ত্রিপাটি বলেছেন যে, "ইতিহাস হল মানববিদ্যার এবং সমাজবিজ্ঞান সমূহের আত্মা"| ইতিহাস থেকে নজির নিয়ে সমাজবিদ্যা তার তত্ত্বগুলি নির্মাণ করে এবং ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করে তার ভিত্তি স্থাপন করে| ইতিহাসের মধ্যে মানব জীবনে সব কর্মকাণ্ডকে স্থান দেওয়া হয়| সমাজবদ্ধ মানুষের অতীতের কাহিনী হল ইতিহাস|
ইতিহাসবিদ হেরোডোটাস |
মনুষ্য সভ্যতা হলো সঙ্গবদ্ধ জীবনের ফল| সমাজবিজ্ঞান সঙ্গবদ্ধ মানুষের জীবনের কাহিনী নথিভুক্ত করে রাখে, আর ইতিহাস সেই কাহিনীর ভিত্তি স্থাপন করে| সমাজবিদ্যা মানুষের জীবন-যাপন ও ভাবধারাকে প্রভাবিত করার মত যে সমস্ত উপাদান যেমন- ভৌগলিক, জৈবিক, মনস্তাত্ত্বিক এবং অর্থনৈতিক দিকগুলির নথিভুক্ত করার পাশাপাশি ব্যাখ্যাও করে|
ইতিহাস যেমন মানুষের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামরিক বা ধর্মীয় জীবন-যাপনের ব্যাখ্যা করে| তেমনি ভাবে বলা যায়, সমাজবিদ্যার জ্ঞান থাকলে এই ইতিহাসে ভাবধারাকে সহজে ব্যাখ্যা করা যায়| সমাজবিদ্যার বৈশিষ্ট্য ইতিহাসের অভ্যন্তরে নানা ঘটনার উপযুক্ত বর্ণনা করতে পারে|
ইতিহাস যেমন মানুষের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামরিক বা ধর্মীয় জীবন-যাপনের ব্যাখ্যা করে| তেমনি ভাবে বলা যায়, সমাজবিদ্যার জ্ঞান থাকলে এই ইতিহাসে ভাবধারাকে সহজে ব্যাখ্যা করা যায়| সমাজবিদ্যার বৈশিষ্ট্য ইতিহাসের অভ্যন্তরে নানা ঘটনার উপযুক্ত বর্ণনা করতে পারে|
অন্যদিকে আবার বলা যায় যে, ইতিহাসের আলোকে সমাজবিজ্ঞানের সব শাখার সঠিক মূল্যায়ন সম্ভব হয়| কোন বিশেষ সময়ের সামাজিক অবস্থান, মানুষের জীবন-যাপন, সামাজিক প্রতিষ্ঠানের ইত্যাদি সঠিক বর্ণনা করতে ইতিহাসের জ্ঞানের বিশেষ জরুরী বলে মনে করা হয়|
রক্ষণশীল ঐতিহাসিকরা অনেক সময় ইতিহাসের সঙ্গে সমাজবিদ্যা সম্পর্ক মানতে চান না| তথাপি একথা বলা যায়, মানব সভ্যতা বা সমাজবিজ্ঞানের নানা দিক বর্ণনা করতে সমাজবিদ্যা ইতিহাসের নানা ঘটনা ঘটনাপঞ্জীকে কাজে লাগায়| সুতরাং ইতিহাস ও সমাজদর্শনের সম্পর্ক পারস্পরিক নির্ভরতা উপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে এবং উভয়বিদ্যা এর ফলে যথার্থভাবে উপকৃতও হচ্ছে|
রক্ষণশীল ঐতিহাসিকরা অনেক সময় ইতিহাসের সঙ্গে সমাজবিদ্যা সম্পর্ক মানতে চান না| তথাপি একথা বলা যায়, মানব সভ্যতা বা সমাজবিজ্ঞানের নানা দিক বর্ণনা করতে সমাজবিদ্যা ইতিহাসের নানা ঘটনা ঘটনাপঞ্জীকে কাজে লাগায়| সুতরাং ইতিহাস ও সমাজদর্শনের সম্পর্ক পারস্পরিক নির্ভরতা উপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে এবং উভয়বিদ্যা এর ফলে যথার্থভাবে উপকৃতও হচ্ছে|
সর্বশেষে একথা বলা যেতে পারে যে, ইতিহাস ও সমাজবিজ্ঞান একে অপরের সঙ্গে সম্পৃক্ত| একথা স্বীকার করা হয় যে, সমকালীন সমাজ ব্যাখ্যা করার জন্য প্রয়োজন, অতীত সম্পর্কে ধ্যান-ধারণা এবং এ তথ্য আমরা ইতিহাস থেকে লাভ করি| সমাজবিদ্যা থেকে আলাদা করে ইতিহাস পাঠ যেমন অসম্পূর্ণ, তেমনি ইতিহাসকে সমাজবিদ্যা থেকে পৃথক করে বর্ণনা করাও অযৌক্তিক| বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে ইতিহাস বা সমাজ বিদ্যার বিভিন্ন শাখা বর্ণনার জন্য জরুরী একে অপরের জ্ঞানকে যথার্থভাবে ব্যবহার করা|
সম্পর্কিত বিষয়
সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ| আশাকরি আমাদের এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগলো| আপনার যদি এই পোস্টটি সম্বন্ধে কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে নিচে কমেন্টের মাধ্যমে আমাদেরকে জানাতে পারেন এবং অবশ্যই পোস্টটি শেয়ার করে অপরকে জানতে সাহায্য করুন|
.......................................
সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ| আশাকরি আমাদের এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগলো| আপনার যদি এই পোস্টটি সম্বন্ধে কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে নিচে কমেন্টের মাধ্যমে আমাদেরকে জানাতে পারেন এবং অবশ্যই পোস্টটি শেয়ার করে অপরকে জানতে সাহায্য করুন|