Historical objectivity অথবা ঐতিহাসিক বস্তুনিষ্ঠতা কথাটির অর্থ হল ইতিহাসের লক্ষ্য, উক্ত শব্দবন্ধ মূল্যবোধ বিচারের সঙ্গে গভীর সম্বন্ধযুক্ত। যারা ইতিহাসকে বিজ্ঞান হিসাবে দেখেন, তারা ইতিহাসের ক্ষেত্রে লক্ষ্যে পৌঁছানোকে একান্ত প্রয়োজনীয় হিসাবে বিবেচনা করেন। objectivity বলতে আমরা বুঝি, একজন নিরপেক্ষ ঐতিহাসিকের দ্বারা ব্যাখ্যা ও ঘটনাসমূহের আবেগহীন বিজ্ঞানসম্মত বিশ্লেষণ।
ইতিহাসের লক্ষ্য সম্পর্কে বলতে গেলে আমাদের প্রশ্ন আসে যে, ইতিহাসের ক্ষেত্রে objectivity তে উপনীত হওয়া আদৌ সম্ভব কিনা ? প্রতিটি মানুষের মনে আগে থেকে কিছু নিষ্ঠুর বাধ্যবাধকতা থাকে। ঐতিহাসিক যখন কোন ঘটনা ব্যাখ্যা করেন, তখন তার নিজস্ব পর্যবেক্ষণ ও মতামত সেখানে উঠে আসে। এগুলি হলো ঐতিহাসিকের মানসিক অবস্থা থেকে উঠে আসা মতামতের ফলাফল।
ইতিহাসের মূল বিষয় হলো চিন্তার প্রতিফলন এবং এক্ষেত্রে ইতিহাসের বিষয়নিষ্ঠার বদলে বিষয়ীনিষ্ঠা (subjectivity) প্রাধান্য পায়। ভলতেয়ার ইতিহাস সম্পর্কে বলেছিলেন যে, ইতিহাস কখনোই বিষয়নিষ্ঠ নয়, কারণ ঐতিহাসিকের মনোজগৎ ছাড়া অতীতের ঘটনাগুলি কোথাও বিরাজ করে না|
এর ফলে ঐতিহাসিক একধারে বিষয় ও বিষয়ী হিসাবে প্রতিপন্ন হয়ে অতীতের ঘটনাগুলিকে নাড়াচাড়া করতে গিয়ে ঐতিহাসিক অতীত ঘটনাগুলি সম্পর্কে এক অতিপ্রাকৃত ধারণা তৈরি করেন।
ঐতিহাসিক বিষয়নিষ্ঠা মূলত তিনটি কারণে অর্জন করা সম্ভব হয় না, এগুলি হলো-
একজন ঐতিহাসিক নিজেই তার আদর্শবাদী ধারণা, রাজনৈতিক চেতনা, জাতীয়তাবাদী আদর্শ ইত্যাদি বিষয়ের শিকার হন। আবার তিনি কখনও ধর্মীয়, দার্শনিক, বস্তুবাদীতার পক্ষপাত দোষে দুষ্ট হন| এই ক্ষেত্রে উদাহরণ হিসেবে বলা যায় যে, আবুল ফজলের আকবরনামায় আকবরের প্রতি তার রাজনৈতিক আনুগত্য প্রকাশ হয়েছে।
এই সকল ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে, ইতিহাসের ক্ষেত্রে চূড়ান্ত বিষয়নিষ্ঠ অর্জন করা অসম্ভব। বিষয়নিষ্ঠার অভাবে বিষয়ীনিষ্ঠা আধিক্যের ফলে ইতিহাস অনেক সময় কলন কাহিনীর পর্যায়ে নেমে আসে। এই কারণে একজন ঐতিহাসিককে সচেতনভাবে বিষয়নিষ্ঠ হওয়ার দিকে জোর দিতে হবে| প্রতিটি তথ্যকে তার যথাযথভাবে বিশ্বাসযোগ্যতার দিয়ে যাচাই করে রচনায় ব্যবহার করতে হবে।
সীমিত সংখ্যক উপাদান ব্যবহার করার ফলে ইতিহাসে বিষয়নিষ্ঠা পা পক্ষপাতদুষ্টতা অবশ্যম্ভাবী হয়ে ওঠে। ইতিহাস হলো বিজ্ঞান, অতীতের দর্পণ হিসাবে ইতিহাসকে তুলে ধরতে হলে ঐতিহাসিককে অবশ্যই বিষয়নিষ্ঠ হতে হবে। 100 শতাংশ বিষয়নিষ্ঠ অর্জন করা সম্ভব নয়। একজন ঐতিহাসিকের কর্তব্য হলো যে, বিষয়নিষ্ঠ এবং বিষয়ীনিষ্ঠা এর মধ্যে উপযুক্ত ভারসাম্য বজায় রেখে চলা।
.................................................
ইতিহাসের মূল বিষয় হলো চিন্তার প্রতিফলন এবং এক্ষেত্রে ইতিহাসের বিষয়নিষ্ঠার বদলে বিষয়ীনিষ্ঠা (subjectivity) প্রাধান্য পায়। ভলতেয়ার ইতিহাস সম্পর্কে বলেছিলেন যে, ইতিহাস কখনোই বিষয়নিষ্ঠ নয়, কারণ ঐতিহাসিকের মনোজগৎ ছাড়া অতীতের ঘটনাগুলি কোথাও বিরাজ করে না|
এর ফলে ঐতিহাসিক একধারে বিষয় ও বিষয়ী হিসাবে প্রতিপন্ন হয়ে অতীতের ঘটনাগুলিকে নাড়াচাড়া করতে গিয়ে ঐতিহাসিক অতীত ঘটনাগুলি সম্পর্কে এক অতিপ্রাকৃত ধারণা তৈরি করেন।
ঐতিহাসিক বিষয়নিষ্ঠা মূলত তিনটি কারণে অর্জন করা সম্ভব হয় না, এগুলি হলো-
- ঐতিহাসিক ঘটনার প্রকৃতি
- ঐতিহাসিক ঘটনার নির্বাচন
- ঐতিহাসিকের ধৈর্য, ব্যক্তিত্ব, লক্ষ্য
একজন ঐতিহাসিক নিজেই তার আদর্শবাদী ধারণা, রাজনৈতিক চেতনা, জাতীয়তাবাদী আদর্শ ইত্যাদি বিষয়ের শিকার হন। আবার তিনি কখনও ধর্মীয়, দার্শনিক, বস্তুবাদীতার পক্ষপাত দোষে দুষ্ট হন| এই ক্ষেত্রে উদাহরণ হিসেবে বলা যায় যে, আবুল ফজলের আকবরনামায় আকবরের প্রতি তার রাজনৈতিক আনুগত্য প্রকাশ হয়েছে।
এই সকল ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে, ইতিহাসের ক্ষেত্রে চূড়ান্ত বিষয়নিষ্ঠ অর্জন করা অসম্ভব। বিষয়নিষ্ঠার অভাবে বিষয়ীনিষ্ঠা আধিক্যের ফলে ইতিহাস অনেক সময় কলন কাহিনীর পর্যায়ে নেমে আসে। এই কারণে একজন ঐতিহাসিককে সচেতনভাবে বিষয়নিষ্ঠ হওয়ার দিকে জোর দিতে হবে| প্রতিটি তথ্যকে তার যথাযথভাবে বিশ্বাসযোগ্যতার দিয়ে যাচাই করে রচনায় ব্যবহার করতে হবে।
সীমিত সংখ্যক উপাদান ব্যবহার করার ফলে ইতিহাসে বিষয়নিষ্ঠা পা পক্ষপাতদুষ্টতা অবশ্যম্ভাবী হয়ে ওঠে। ইতিহাস হলো বিজ্ঞান, অতীতের দর্পণ হিসাবে ইতিহাসকে তুলে ধরতে হলে ঐতিহাসিককে অবশ্যই বিষয়নিষ্ঠ হতে হবে। 100 শতাংশ বিষয়নিষ্ঠ অর্জন করা সম্ভব নয়। একজন ঐতিহাসিকের কর্তব্য হলো যে, বিষয়নিষ্ঠ এবং বিষয়ীনিষ্ঠা এর মধ্যে উপযুক্ত ভারসাম্য বজায় রেখে চলা।
তথ্যসূত্র
- Flavia Padovani , "Objectivity in Science"
- Mansoor Niaz, "Evolving Nature of Objectivity in the History of Science and its Implications for Science Education"
সম্পর্কিত বিষয়
- থুসিডাইডিস এর ইতিহাস রচনার ধরন এবং তাঁর সমালোচনা. (আরো পড়ুন)
- ইতিহাসের সমালোচনামূলক দর্শন. (আরো পড়ুন)
সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ| আশাকরি আমাদের এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগলো| আপনার যদি এই পোস্টটি সম্বন্ধে কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে নিচে কমেন্টের মাধ্যমে আমাদেরকে জানাতে পারেন এবং অবশ্যই পোস্টটি শেয়ার করে অপরকে জানতে সাহায্য করুন|