1960 সালের 14 সেপ্টেম্বর তৈল উৎপাদন ও বিপণনকারী তৃতীয় বিশ্বভুক্ত রাষ্ট্রগুলি তাদের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক প্রভাব অর্জনের জন্য Organization of the Petroleum Exporting Countries(OPEC বা ওপেক) গঠন করে|
প্রাথমিক পর্বের ওপেকের সদস্য রাষ্ট্র ছিল- ইরাক, ইরান, কুয়েত, সৌদি আরব এবং ভেনেজুয়েলা| পরবর্তীকালে কাতার(1961), লিবিয়া(1962), ইন্দোনেশিয়া(1962), সংযুক্ত আরব আমিরাত(1967), আলজেরিয়া(1969), নাইজেরিয়া(1971) ইকুয়েডর(1973), গ্যাবন(1975), অ্যাঙ্গোলা(2007), বিষুবীয় গিনি(2017) ও কঙ্গো(2018) ওপেক- এ যোগ দেন| সাধারনত ওপেক একটি আন্তঃসরকার সংগঠন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে|
প্রাথমিক পর্বের ওপেকের সদস্য রাষ্ট্র ছিল- ইরাক, ইরান, কুয়েত, সৌদি আরব এবং ভেনেজুয়েলা| পরবর্তীকালে কাতার(1961), লিবিয়া(1962), ইন্দোনেশিয়া(1962), সংযুক্ত আরব আমিরাত(1967), আলজেরিয়া(1969), নাইজেরিয়া(1971) ইকুয়েডর(1973), গ্যাবন(1975), অ্যাঙ্গোলা(2007), বিষুবীয় গিনি(2017) ও কঙ্গো(2018) ওপেক- এ যোগ দেন| সাধারনত ওপেক একটি আন্তঃসরকার সংগঠন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে|
OPEC |
এখানে উল্লেখযোগ্য যে, 1992 সালে ডিসেম্বর মাসে ইকুয়েডর ওপেকের সদস্যপদ ত্যাগ করে এবং পুনরায় 2007 সালে অক্টোবর মাসে যোগদান করে|একইভাবে গ্যাবন 1995 সালে জানুয়ারি মাসে তার সদস্য পদ ত্যাগ করলেও 2016 সালের জুলাই মাসে পুনরায় ওপেকের যোগদান করে| আবার ইন্দোনেশিয়া 2009 সালে জানুয়ারি মাসে ওপেকের সদস্যপদ স্থগিত রাখলেও 2016 সালে জানুয়ারি মাসে পুনরায় আবার এটি সক্রিয় করার সিদ্ধান্ত নেই, কিন্তু 2016 সালে নভেম্বর মাসে 171তম ওপেকের সম্মেলনে পুনরায় তার সদস্যপদ স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেই|
তবে বর্তমানে ওপেক- এ 15 টি সদস্য রাষ্ট্র রয়েছে|
ওপেক এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
ওপেক এর লক্ষ্য হলো, সদস্য রাষ্ট্রগুলির খনিজ তেল উত্তোলন ও বিপণন ও মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে এক সাধারণ নীতি অনুসরণ করা| ওপেক গঠনের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল, একটি খনিজ তেলকে শক্তিশালী অস্ত্র রূপে ব্যবহার করে বিশ্বে নিজেদের প্রাধান্য প্রতিষ্ঠা করা|
সদস্য রাষ্ট্রগুলি তেল উৎপাদন প্রকল্পগুলির সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে বিশ্ববাজারে খনিজ তেলের স্থিতিশীলতা বজায় রেখে আর্থিক দিক থেকে লাভজনকভাবে খনিজ তেল সরবরাহ করা| ওপেকের সদস্য রাষ্ট্রের মূল্য নিয়ন্ত্রণ করার ফলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মুদ্রাস্ফীতি, উৎপাদন হ্রাস ও আর্থিক সংকট দেখা দেয়| ওপেকের গৃহীত সিদ্ধান্ত বিশ্বের প্রতিটি রাষ্ট্র খনিজ তেল ক্রয়ের ক্ষেত্রে মেনে চলতে বাধ্য|
.......................................
সদস্য রাষ্ট্রগুলি তেল উৎপাদন প্রকল্পগুলির সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে বিশ্ববাজারে খনিজ তেলের স্থিতিশীলতা বজায় রেখে আর্থিক দিক থেকে লাভজনকভাবে খনিজ তেল সরবরাহ করা| ওপেকের সদস্য রাষ্ট্রের মূল্য নিয়ন্ত্রণ করার ফলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মুদ্রাস্ফীতি, উৎপাদন হ্রাস ও আর্থিক সংকট দেখা দেয়| ওপেকের গৃহীত সিদ্ধান্ত বিশ্বের প্রতিটি রাষ্ট্র খনিজ তেল ক্রয়ের ক্ষেত্রে মেনে চলতে বাধ্য|
তথ্যসূত্র
- Prakash Chandra, "international relations & comparative politics".
- Garrett W Brown, "The Concise Oxford Dictionary of Politics and International Relations ".
সম্পর্কিত বিষয়
সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ| আশাকরি আমাদের এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগলো| আপনার যদি এই পোস্টটি সম্বন্ধে কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে নিচে কমেন্টের মাধ্যমে আমাদেরকে জানাতে পারেন এবং অবশ্যই পোস্টটি শেয়ার করে অপরকে জানতে সাহায্য করুন|