মালদা জেলার চাঁচল 1 নম্বর ব্লকের অন্তর্গত সিহিপুর গ্রামের প্রায় 152 বছর ধরে চলে আসা মুক্তকেশরী ও ধন্বেশ্বরী কালী পূজার এক নিজস্ব ইতিহাস ও এক আলাদা মহত্ব রয়েছে|
আজও এই দুই কালী পূজাকে ঘিরে গ্রামবাসীর যথেষ্ট উৎসাহ ও সহযোগিতা রয়েছে| সাধারণত প্রতিবছর এই দুই কালী পূজা সম্পূর্ণ শ্রদ্ধার সঙ্গে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে|
প্রতিবছর কার্তিক মাসে অমাবস্যা তিথিতে মুক্তকেশরী কালী পূজা হয় এবং ধন্বেশ্বরী কালী পূজা প্রতিবছর চৈত্র মাসে অমাবস্যা তিথিতে হয়ে থাকে|
আজও এই দুই কালী পূজাকে ঘিরে গ্রামবাসীর যথেষ্ট উৎসাহ ও সহযোগিতা রয়েছে| সাধারণত প্রতিবছর এই দুই কালী পূজা সম্পূর্ণ শ্রদ্ধার সঙ্গে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে|
প্রতিবছর কার্তিক মাসে অমাবস্যা তিথিতে মুক্তকেশরী কালী পূজা হয় এবং ধন্বেশ্বরী কালী পূজা প্রতিবছর চৈত্র মাসে অমাবস্যা তিথিতে হয়ে থাকে|
1866 খ্রিস্টাব্দে জমিদার বিশ্বনাথ মুখোপাধ্যায় সিহিপুর হিন্দু সমাজ গ্রামবাসীকে মুক্তকেশরী এবং ধন্বেশ্বরী মাতা এই দুই কালী নামে জমি দান করে| জমিদার সাহেব গ্রামবাসীকে বলেছিলেন যে, "এই জমি তোমাদেরকে দিলাম এবং জমির উৎপাদিত ফসল বিক্রি করে কালী মায়ের পূজা করো"
![]() |
জমি দান করার খতিয়ান |
সেই সময়ে গ্রামের হিন্দু সমাজে প্রভাবশালী ব্যক্তি ছিলেন, বিশ্বনাথ চক্রবর্তী, গোপালপদ চক্রবর্তী, জ্যোতিষ মজুমদার| এরা এই জমির সেবায়ত হিসাবে দেখাশোনা এবং প্রতিবছর পূজা করতে থাকে|
ওই জেনারেশন চলে গেল, আবার এক জেনারেশন এল এবং সিহিপুর গ্রামবাসী সেবায়েত হিসেবে থেকে গেল| দ্বিতীয় জেনারেশনে গ্রামবাসী যাকে আদিবর্গা হিসেবে দিয়েছিল, তখন সে জমি দখল করে নেয় এবং জমির ফসল ভোগ করতে থাকে|
দ্বিতীয় জেনারেশনের যে ভদ্রলোক জমি এবং পূজার দেখা শুনা করত, সে মারা গেল এবং আদিবর্গাদারও মারা গেল| তখন বর্গাদারের বংশধর এই কালীর জমি জবর দখল করে রাখে এবং গ্রামবাসীকে জমির ফসল ঠিকমত দিত না|
তারপর 2012 সালে গ্রামবাসী বর্গাদারের বংশধরকে দখলকৃত জমি থেকে উচ্ছেদ করে এবং নিজেদের হাতে কালীর জমি বুঝে নেয়| বর্তমানে গ্রামবাসী কালীর জমি লিজ দিয়ে যে টাকা পাওয়া যায়, তা দিয়ে প্রতিবছর কালী পুজো করা হয়|
..........................................