Association of Southeast Asian Nations(ASEAN অথবা আসিয়ান) দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ ও সামরিক আঞ্চলিক সহযোগিতা মুলক সংস্থা, যা 1967 খ্রিস্টাব্দে 8 ই আগস্ট এটি মূলত ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ড দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল|
আসিয়ান এর মূল লক্ষ্য ছিল, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় পারস্পরিক অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক সহযোগিতা এবং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি|
ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় আসিয়ানের সদর দপ্তর স্থাপিত হয়|
আসিয়ান এর মূল লক্ষ্য ছিল, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় পারস্পরিক অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক সহযোগিতা এবং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি|
ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় আসিয়ানের সদর দপ্তর স্থাপিত হয়|
Indonesia, Malaysia, Philippines, Singapore and Thailand flags |
ব্যাংকক ঘোষণায় আসিয়ানের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য উল্লেখ করা হয়েছে, সেখানে বলা হয়েছে যে,
বহির্দেশীয় হস্তক্ষেপ ও প্রভাব থেকে মুক্ত হয়ে প্রতিটি সদস্য রাষ্ট্র নিজেদের জাতীয় অস্তিত্ব অক্ষুন্ন রাখার অধিকার অর্জন করবে| পারস্পরিক অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলির ক্ষেত্রে অন্য রাষ্ট্রের অযাচিত হস্তক্ষেপ কাম্য ছিল না| বল প্রয়োগ থেকে বিরত হয়ে সম্ভাব্য সকল বিরোধী মীমাংসা শান্তিপূর্ণ পদ্ধতির মাধ্যমে করাই ছিল আসিয়ানের অন্যতম উদ্দেশ্য| এই প্রতিষ্ঠানের কার্যকলাপের ফলে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় অর্থনীতির প্রশংসনীয় উন্নতি হয়েছে|
.......................................
- সদস্য রাষ্ট্রসমূহের অর্থনৈতিক বিকাশ, সামাজিক প্রগতি ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নের জন্য আসিয়ান কাজ করবে|
- বিশ্ব বাণিজ্য বাজারে সদস্য রাষ্ট্রগুলির যাতে দর কষাকষির ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, তার উদ্যোগ নেওয়া হবে|
- একই সঙ্গে একটি যৌথ জাতীয় চেতনার উদ্বোধনের ওপর জোর দেওয়া হয়েছিল, যেখানে সদস্য রাষ্ট্রগুলির মধ্যে থাকবে সমতা, জাতীয় উন্নয়ন, জাতীয় পরিচিতি সত্ত্বেও ঐক্য, শান্তি ও স্থিতি প্রভৃতি|
- তবে "ব্যাংকক ঘোষণার" সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ অংশটিতে বলা হয়েছে যে, সমস্ত বিদেশি সামরিক ঘাঁটির অস্তিত্ব সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের ইচ্ছাধীন হবে এবং কোন ভাবেই এই অঞ্চলের রাষ্ট্রগুলির জাতীয় স্বাধীনতা ও উন্নয়নে পরিপন্থী হিসাবে ঘাটিগুলিকে ব্যবহার করা যাবে না|
- দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে আসিয়ান সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের নীতিগুলি মেনে চলবে| অন্যদিকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় রাষ্ট্রগুলির পারস্পরিক সম্পর্কের ভিত্তি হবে, আইনের অনুশাসন ও ন্যায়ের প্রতি সম্মান|
বহির্দেশীয় হস্তক্ষেপ ও প্রভাব থেকে মুক্ত হয়ে প্রতিটি সদস্য রাষ্ট্র নিজেদের জাতীয় অস্তিত্ব অক্ষুন্ন রাখার অধিকার অর্জন করবে| পারস্পরিক অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলির ক্ষেত্রে অন্য রাষ্ট্রের অযাচিত হস্তক্ষেপ কাম্য ছিল না| বল প্রয়োগ থেকে বিরত হয়ে সম্ভাব্য সকল বিরোধী মীমাংসা শান্তিপূর্ণ পদ্ধতির মাধ্যমে করাই ছিল আসিয়ানের অন্যতম উদ্দেশ্য| এই প্রতিষ্ঠানের কার্যকলাপের ফলে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় অর্থনীতির প্রশংসনীয় উন্নতি হয়েছে|
তথ্যসূত্র
- Pavneet Singh, "International Relations".
- Ghosh Peu, "International Relations".
সম্পর্কিত বিষয়
সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ| আশাকরি আমাদের এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগলো| আপনার যদি এই পোস্টটি সম্বন্ধে কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে নিচে কমেন্টের মাধ্যমে আমাদেরকে জানাতে পারেন এবং অবশ্যই পোস্টটি শেয়ার করে অপরকে জানতে সাহায্য করুন|