ইসলামের আগমন ও ভারতের নতুন ইতিহাস রচনার বিকাশ অনেকাংশে আবু রায়হান আল বিরুনি অথবা আবু রায়হান মোহাম্মদ ইবনে আহমদ আল বিরুনী এর রচনার উপর নির্ভরশীল| তিনি মাহমুদ গজনভির সঙ্গে ভারতবর্ষে এসেছিলেন এবং তিনি ভারতের ইতিহাস রচনা করেছেন|
তিনি ভারতে উপরে কমপক্ষে 12 খানি গ্রন্থ রচনা করেন এবং গণিত, অর্থনীতি, দর্শন এবং ভাষাতত্ত্বের উপর ভারতীয়দের গুরুত্বপূর্ণ রচনাগুলির অনুবাদ করেন|
আল বিরুনির বিখ্যাত রচনা হলো তাহকিক-ই-হিন্দ| এই গ্রন্থ পাঠ করলে বোঝা যায়, তিনি কেবলমাত্র যা দেখেছেন তা ব্যাখ্যা করেছেন এমন নয়| তিনি যা উপলব্ধি করেছেন তা তিনি বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে যা বুঝেছেন ভারত সম্পর্কে তা তিনি লিপিবদ্ধ করেছেন| সুতরাং এই গ্রন্থটি ইতিহাস অপেক্ষায় আরো কিছু|
সমালোচকরা বলেছেন, এক মুসলমান লেখক হিসেবে তিনি হিন্দু দর্শনের প্রতিটি দিককে তার আলোচনার অন্তর্ভুক্ত করেছেন এবং 18 টি অধ্যায়ে হিন্দু ঐতিহ্য অনুযায়ী নিরাকার ঈশ্বর এবং তার প্রকৃতিকে ব্যাখ্যা করেছেন|
আল বিরুনির ইতিহাস কিন্তু ত্রুটি মুক্ত নয়| তার জীবনীকার জেমস ব্রান্ট অভিযোগ করেছেন যে, তিনি যা চোখে দেখে নেই তা অধিকাংশ ক্ষেত্রে পন্ডিতদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্তে এসেছেন| তার ভারতের ক্রীতদাস ব্যবস্থা, অর্থনীতির ধারণা অথবা হিন্দু আইনের শাসন সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা ছিল না|
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তিনি মধ্য এশিয়ার ইসলামীক রাষ্ট্র কাঠামোর সঙ্গে ভারতীয় রাষ্ট্রকাঠামো তুলনা করেছেন| তিনি ভারতের সামন্ততন্ত্র ব্যবস্থা, বিনিময় ব্যবস্থা এবং প্রশাসন সম্পর্কে সহমত প্রদর্শন করেছেন| তাই তাহকিক-ই-হিন্দ সাম্রাজ্যবাদী দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে রচিত হয়েছে ফলে এটি ইতিহাসের প্রাথমিক চাহিদা পূরণ করতে পারিনি| অর্থাৎ ঐতিহাসিক তথ্য এবং উৎস সংঘ জ্ঞান অপেক্ষা যে অধিক তাৎপর্যপূর্ণ তা তার গ্রন্থে অনুপস্থিত|
তিনি ভারতে উপরে কমপক্ষে 12 খানি গ্রন্থ রচনা করেন এবং গণিত, অর্থনীতি, দর্শন এবং ভাষাতত্ত্বের উপর ভারতীয়দের গুরুত্বপূর্ণ রচনাগুলির অনুবাদ করেন|
বর্তমানে ভারতের মানচিত্র |
আল বিরুনির বিখ্যাত রচনা হলো তাহকিক-ই-হিন্দ| এই গ্রন্থ পাঠ করলে বোঝা যায়, তিনি কেবলমাত্র যা দেখেছেন তা ব্যাখ্যা করেছেন এমন নয়| তিনি যা উপলব্ধি করেছেন তা তিনি বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে যা বুঝেছেন ভারত সম্পর্কে তা তিনি লিপিবদ্ধ করেছেন| সুতরাং এই গ্রন্থটি ইতিহাস অপেক্ষায় আরো কিছু|
সমালোচকরা বলেছেন, এক মুসলমান লেখক হিসেবে তিনি হিন্দু দর্শনের প্রতিটি দিককে তার আলোচনার অন্তর্ভুক্ত করেছেন এবং 18 টি অধ্যায়ে হিন্দু ঐতিহ্য অনুযায়ী নিরাকার ঈশ্বর এবং তার প্রকৃতিকে ব্যাখ্যা করেছেন|
আল বিরুনির ইতিহাস কিন্তু ত্রুটি মুক্ত নয়| তার জীবনীকার জেমস ব্রান্ট অভিযোগ করেছেন যে, তিনি যা চোখে দেখে নেই তা অধিকাংশ ক্ষেত্রে পন্ডিতদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্তে এসেছেন| তার ভারতের ক্রীতদাস ব্যবস্থা, অর্থনীতির ধারণা অথবা হিন্দু আইনের শাসন সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা ছিল না|
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তিনি মধ্য এশিয়ার ইসলামীক রাষ্ট্র কাঠামোর সঙ্গে ভারতীয় রাষ্ট্রকাঠামো তুলনা করেছেন| তিনি ভারতের সামন্ততন্ত্র ব্যবস্থা, বিনিময় ব্যবস্থা এবং প্রশাসন সম্পর্কে সহমত প্রদর্শন করেছেন| তাই তাহকিক-ই-হিন্দ সাম্রাজ্যবাদী দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে রচিত হয়েছে ফলে এটি ইতিহাসের প্রাথমিক চাহিদা পূরণ করতে পারিনি| অর্থাৎ ঐতিহাসিক তথ্য এবং উৎস সংঘ জ্ঞান অপেক্ষা যে অধিক তাৎপর্যপূর্ণ তা তার গ্রন্থে অনুপস্থিত|