আফিম যুদ্ধের পরবর্তীকালে চীনের উপকূলবর্তী অর্থনীতিতে পশ্চিমী শক্তিগুলির কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার পরিপ্রেক্ষিতে চীনা বুর্জোয়া শ্রেণীর একাংশ সম্পদশালী হয়ে উঠেছিল| এদের সম্পদের উৎস ছিল যুদ্ধের লুন্ঠিত দ্রব্য, সামরিক তহবিল তছরুপ, অভ্যন্তরীণ শুল্ক এবং দালালি| বুর্জোয়া শ্রেণী হঠাৎ ধনী হওয়ার এই অংশ চীনের ইতিহাসে মুৎসুদ্দি শ্রেণী বা comprador class নামে পরিচিত|
মুৎসুদ্দি শব্দটি পর্তুগিজ এবং এর আভিধানিক অর্থ হল ক্রেতা| এই শব্দটির আক্ষরিক অর্থে বলতে বুঝায়, বিদেশি বাণিজ্য সংস্থায় নিযুক্ত চীনা ম্যানেজার বা উচ্চপদস্থ চীনা কর্মচারী|
বস্তুত এরা হলো এমন এক ধরনের বুর্জোয়া যারা বিদেশী পুঁজির দালাল এবং বিদেশি পুঁজির সঙ্গে যার অঙ্গাঙ্গিভাবে সম্পর্ক ছিল|
প্রথম আফিম যুদ্ধের পরবর্তী চুক্তি ব্যবস্থার মাধ্যমে পাঁচটি বন্দর উন্মুক্ত হওয়ার ফলে বিদেশী পুঁজির অনুপ্রবেশ দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পেয়েছিল| বিদেশী পুঁজিপতিদের লেজুর বৃত্তি করার জন্য এই নতুন শ্রেণীর সৃষ্টি হয়েছিল| এই শ্রেণীভুক্ত লোকেরা কখনো বিদেশি বাণিজ্যিক সংস্থার অধীনে চাকরি করতো, আবার কখনো বিদেশি পণ্য কেনাবেচার ক্ষেত্রে দালালি করত|
মাও সে তুং "Analysis of the class in chinese society" প্রবন্ধে লিখেছেন- " the comprador class are whole appendix of international bourgeois depending upon imperialism for their survival growth ".
সুতরাং পরিশেষে এই কথা বলা যায় যে, বিদেশীদের সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখার ফলে এবং তাদের সাম্রাজ্যবাদী লুন্ঠনের কাজে সাহায্য করার ফলে এই শ্রেণীর সকলেই যথেষ্ট ধনী হয়ে উঠেছিল|
.......................................
চীনের মানচিত্র |
মুৎসুদ্দি শব্দটি পর্তুগিজ এবং এর আভিধানিক অর্থ হল ক্রেতা| এই শব্দটির আক্ষরিক অর্থে বলতে বুঝায়, বিদেশি বাণিজ্য সংস্থায় নিযুক্ত চীনা ম্যানেজার বা উচ্চপদস্থ চীনা কর্মচারী|
বস্তুত এরা হলো এমন এক ধরনের বুর্জোয়া যারা বিদেশী পুঁজির দালাল এবং বিদেশি পুঁজির সঙ্গে যার অঙ্গাঙ্গিভাবে সম্পর্ক ছিল|
প্রথম আফিম যুদ্ধের পরবর্তী চুক্তি ব্যবস্থার মাধ্যমে পাঁচটি বন্দর উন্মুক্ত হওয়ার ফলে বিদেশী পুঁজির অনুপ্রবেশ দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পেয়েছিল| বিদেশী পুঁজিপতিদের লেজুর বৃত্তি করার জন্য এই নতুন শ্রেণীর সৃষ্টি হয়েছিল| এই শ্রেণীভুক্ত লোকেরা কখনো বিদেশি বাণিজ্যিক সংস্থার অধীনে চাকরি করতো, আবার কখনো বিদেশি পণ্য কেনাবেচার ক্ষেত্রে দালালি করত|
মাও সে তুং "Analysis of the class in chinese society" প্রবন্ধে লিখেছেন- " the comprador class are whole appendix of international bourgeois depending upon imperialism for their survival growth ".
সুতরাং পরিশেষে এই কথা বলা যায় যে, বিদেশীদের সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখার ফলে এবং তাদের সাম্রাজ্যবাদী লুন্ঠনের কাজে সাহায্য করার ফলে এই শ্রেণীর সকলেই যথেষ্ট ধনী হয়ে উঠেছিল|
তথ্যসূত্র
- অমিত ভট্টাচার্য, "চীনের রূপান্তরের ইতিহাস 1840-1969"
- Jonathan Fenby, "The Penguin History of Modern China".
সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ| আশাকরি আমাদের এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগলো| আপনার যদি এই পোস্টটি সম্বন্ধে কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে নিচে কমেন্টের মাধ্যমে আমাদেরকে জানাতে পারেন এবং অবশ্যই পোস্টটি শেয়ার করে অপরকে জানতে সাহায্য করুন|