মুঘল যুগের অর্থনীতিতে শিল্পকর্মের ভূমিকা ছিল এবং এই যুগের শিল্প সরকারি ও বেসরকারি উভয় উদ্যোগে পরিচালিত হতো| আমেদাবাদ, ফতেপুর, আগ্রা, লাহোর প্রভৃতি স্থানে সরকারি কারখানা ছিল|
সেই যুগে কুটির শিল্প ছিল বহুল প্রচলিত| কুটির শিল্প দ্রব্যের মধ্যে রেশম ও তুলো জাত পণ্য সামগ্রী ছিল বিখ্যাত| আবার বেনারাস, আগ্রা, গুজরাট, খানদেশ, পাটনা, জৌনপুর ও বাংলা ছিল সুতি শিল্পের জন্য বিখ্যাত| আবার ঢাকার মসলিন ছিল জগৎ বিখ্যাত|
মুঘল যুগে প্রয়োজনীয় জাহাজ কারখানা ছিল বলে জানা যায়| তবে এই যুগে শিল্প কারখানা থাকলেও শিল্পী কারিগরদের অবস্থা খুব একটা সচ্ছল ছিল না|
বনিক বা দালাল, সরকারি অভিজাত বা আমলা কেউই শিল্পীদের নির্যাতন করতে দ্বিধা বোধ করতেন না| অনেক সময় তাদের উৎপাদিত সামগ্রী কম দামে বিক্রয় করতে বাধ্য করা হতো|
তথ্যসূত্র
- সতীশ চন্দ্র, "মধ্যযুগে ভারত"
- শেখর বন্দ্যোপাধ্যায়, "অষ্টাদশ শতকের মুঘল সংকট ও আধুনিক ইতিহাস চিন্তা"
- অনিরুদ্ধ রায়, "মুঘল সাম্রাজ্যের উত্থান-পতনের ইতিহাস"
সম্পর্কিত বিষয়
- দীন-ই-ইলাহি (আরো পড়ুন)
- হুমায়ুননামা (আরো পড়ুন)
- আওরঙ্গজেবকে জীবন্ত সাধু বলা হতো কেন (আরো পড়ুন)
- আওরঙ্গজেব বা ঔরঙ্গজেবের ধর্মনীতি (আরো পড়ুন)
সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ| আশাকরি আমাদের এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগলো| আপনার যদি এই পোস্টটি সম্বন্ধে কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে নিচে কমেন্টের মাধ্যমে আমাদেরকে জানাতে পারেন এবং অবশ্যই পোস্টটি শেয়ার করে অপরকে জানতে সাহায্য করুন|
......................................................