অসাময়িক প্রতিভার অধিকারী, তথা মারাঠা সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা ছত্রপতি শিবাজী তার সাম্রাজ্যের আয়তন বৃদ্ধির জন্য একটি সুদক্ষ ও স্থায়ী সেনাদল সংগঠনের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেন| তার অশ্বারোহী বাহিনী দুই ভাগে বিভক্ত ছিল, যথা- পাগা বা বর্গী ও শিলাদার|
পাগা বা বর্গী ছিল শিবাজীর নিজস্ব অশ্বারোহী বাহিনী| বর্গীরা নিয়মিতভাবে সরকারের কাছ থেকে বেতন পেতেন| তাছাড়া অস্ত্র-শস্ত্র, পোশাক-পরিচ্ছদ ও অশ্ব সরকারি তরফ থেকে তাদের দেওয়া হতো| বর্গীরা প্রায় 40 হাজার সেনা নিয়ে গঠিত ছিল|
অন্যদিকে অনিয়মিত সেনাদের বলা হতো শিলাদার| যুদ্ধের প্রয়োজনে সরকার তাদের সাময়িকভাবে নিয়োগ করতো| শিলাদাররা নিজের দায়িত্বে যুদ্ধের সরঞ্জাম অস্ত্র-শস্ত্র, অশ্ব ও অন্যান্য যুদ্ধের উপকরণ জোগাড় করতো| বিনিময় সরকার তাদের একটি মোটা অংকের টাকা প্রদানে বাধ্য থাকতেন|
অশ্বারোহী সেনা |
পাগা বা বর্গী ছিল শিবাজীর নিজস্ব অশ্বারোহী বাহিনী| বর্গীরা নিয়মিতভাবে সরকারের কাছ থেকে বেতন পেতেন| তাছাড়া অস্ত্র-শস্ত্র, পোশাক-পরিচ্ছদ ও অশ্ব সরকারি তরফ থেকে তাদের দেওয়া হতো| বর্গীরা প্রায় 40 হাজার সেনা নিয়ে গঠিত ছিল|
অন্যদিকে অনিয়মিত সেনাদের বলা হতো শিলাদার| যুদ্ধের প্রয়োজনে সরকার তাদের সাময়িকভাবে নিয়োগ করতো| শিলাদাররা নিজের দায়িত্বে যুদ্ধের সরঞ্জাম অস্ত্র-শস্ত্র, অশ্ব ও অন্যান্য যুদ্ধের উপকরণ জোগাড় করতো| বিনিময় সরকার তাদের একটি মোটা অংকের টাকা প্রদানে বাধ্য থাকতেন|
তথ্যসূত্র
- সতীশ চন্দ্র, "মধ্যযুগে ভারত"
- শেখর বন্দ্যোপাধ্যায়, "অষ্টাদশ শতকের মুঘল সংকট ও আধুনিক ইতিহাস চিন্তা"
- অনিরুদ্ধ রায়, "মুঘল সাম্রাজ্যের উত্থান-পতনের ইতিহাস"
সম্পর্কিত বিষয়
- ভারতবর্ষে মুঘল বা মোগল সাম্রাজ্যের প্রকৃতি ও কার্যাবলীর সংক্ষিপ্ত আলোচনা (আরো পড়ুন)
- মুঘল আমলে বাংলার সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা (আরো পড়ুন)
- আওরঙ্গজেব বা ঔরঙ্গজেবের দাক্ষিণাত্য নীতি (আরো পড়ুন)
- মুঘল আমলে সেচ ব্যবস্থা (আরো পড়ুন)
সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ| আশাকরি আমাদের এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগলো| আপনার যদি এই পোস্টটি সম্বন্ধে কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে নিচে কমেন্টের মাধ্যমে আমাদেরকে জানাতে পারেন এবং অবশ্যই পোস্টটি শেয়ার করে অপরকে জানতে সাহায্য করুন|
......................................................