হুমায়ুনের রাজত্বকাল সম্পর্কে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক উপাদান হলো, বাবরের কন্যা গুলবদন বেগম রচিত "হুমায়ুননামা"|
এই গ্রন্থটি প্রথম দুইজন মুঘল সম্রাটের ব্যক্তিগত, পারিবারিক জীবন এবং মুঘল হারেমের ইতিহাস জানার জন্য প্রথম শ্রেণির ঐতিহাসিক তথ্য হিসাবে স্বীকৃত|
এই গ্রন্থটি প্রথম দুইজন মুঘল সম্রাটের ব্যক্তিগত, পারিবারিক জীবন এবং মুঘল হারেমের ইতিহাস জানার জন্য প্রথম শ্রেণির ঐতিহাসিক তথ্য হিসাবে স্বীকৃত|
তবে বাবর সম্পর্কে তার লেখা খুবই সংক্ষিপ্ত, মূলত হুমায়ুনের জীবন দর্শনই তার গ্রন্থে স্থান পেয়েছে| হুমায়ুনের যুদ্ধ, বিজয়, পরাজয় এবং তার কষ্ট সহিষ্ণুতা, বিশেষ করে হুমায়ুন ও কামরানের তিক্ত সম্পর্কের এক করুণ বর্ণনা দিয়েছেন|
তবে এই গ্রন্থটি সম্পূর্ণরূপে ত্রুটিমুক্ত নয়| তিনি তার সময় বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা এড়িয়ে গেছেন, এমনকি বিশেষ কিছু বলেননি| তা সত্ত্বেও এই গ্রন্থ থেকে তার সময়ের সামাজিক ও রাজনৈতিক বহু তথ্য পাওয়া যায়|
এই গ্রন্থে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আরো একটি ঐতিহাসিক দিক হলো, তৎকালীন সময়ে জনজীবনের এক জ্বলন্ত প্রতিচ্ছবি এখানে পাওয়া যায়|
শুধুমাত্র ঐতিহাসিক উপাদান হিসেবে নয়, গুলবদন বেগমের ইতিহাস চর্চা বিশ্বের ইতিহাসে ভারতবর্ষের শিক্ষা ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে মুঘল শাসনের এক বিশেষ মর্যাদা এনে দিয়েছে| এই থেকে মুঘল সংস্কৃতি ও মুঘল কৃষ্টির পরিচয় পাওয়া যায়|
তবে এই গ্রন্থটি সম্পূর্ণরূপে ত্রুটিমুক্ত নয়| তিনি তার সময় বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা এড়িয়ে গেছেন, এমনকি বিশেষ কিছু বলেননি| তা সত্ত্বেও এই গ্রন্থ থেকে তার সময়ের সামাজিক ও রাজনৈতিক বহু তথ্য পাওয়া যায়|
এই গ্রন্থে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আরো একটি ঐতিহাসিক দিক হলো, তৎকালীন সময়ে জনজীবনের এক জ্বলন্ত প্রতিচ্ছবি এখানে পাওয়া যায়|
শুধুমাত্র ঐতিহাসিক উপাদান হিসেবে নয়, গুলবদন বেগমের ইতিহাস চর্চা বিশ্বের ইতিহাসে ভারতবর্ষের শিক্ষা ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে মুঘল শাসনের এক বিশেষ মর্যাদা এনে দিয়েছে| এই থেকে মুঘল সংস্কৃতি ও মুঘল কৃষ্টির পরিচয় পাওয়া যায়|
তথ্যসূত্র
- সতীশ চন্দ্র, "মধ্যযুগে ভারত"
- শেখর বন্দ্যোপাধ্যায়, "অষ্টাদশ শতকের মুঘল সংকট ও আধুনিক ইতিহাস চিন্তা"
- অনিরুদ্ধ রায়, "মুঘল সাম্রাজ্যের উত্থান-পতনের ইতিহাস"
সম্পর্কিত বিষয়
- ভারতবর্ষে মুঘল বা মোগল সাম্রাজ্যের প্রকৃতি ও কার্যাবলীর সংক্ষিপ্ত আলোচনা (আরো পড়ুন)
- মুঘল আমলে বাংলার সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা (আরো পড়ুন)
- আওরঙ্গজেব বা ঔরঙ্গজেবের দাক্ষিণাত্য নীতি (আরো পড়ুন)
- মুঘল আমলে সেচ ব্যবস্থা (আরো পড়ুন)
সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ| আশাকরি আমাদের এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগলো| আপনার যদি এই পোস্টটি সম্বন্ধে কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে নিচে কমেন্টের মাধ্যমে আমাদেরকে জানাতে পারেন এবং অবশ্যই পোস্টটি শেয়ার করে অপরকে জানতে সাহায্য করুন|
......................................................