1937 খ্রিস্টাব্দে হাজী শরীয়ত উল্লাহ এর মৃত্যুর পর তার পুত্র দুদু মিয়া ফরায়েজী আন্দোলনের নেতা হন এবং তিনি আন্দোলনকে অসাধারণ সাংগঠনিক দ্বারা এক রাজনৈতিক আন্দোলনে পরিণত করেন|
ব্রিটিশ পতাকা |
তিনি ঘোষণা করেন যে, সকল জমির মালিক হলেন আল্লাহ, সুতরাং জমিদারের খাজনা দেওয়ার কোন দরকার নেই|
দুদু মিয়ার প্রচারের গরিব মুসলিম জাতি, জেলে, তাঁতী ও হিন্দু চাষীরাও আকৃষ্ট হয়| পরবর্তীকালে বাংলার ফরিদপুর, বাখরগঞ্জ, কুমিল্লা, ময়মনসিংহ প্রভৃতি অঞ্চলে ফরায়েজী আন্দোলন শুরু হয়ে থাকে|
কোম্পানির সরকার দুদু মিয়াকে কয়েকবার বন্দি করলেও প্রমাণের অভাবে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়| 1869 সালে তার মৃত্যু হলে ফরায়েজী আন্দোলন দুর্বল হয়ে পড়ে|
.......................................
তথ্যসূত্র
- সুমিত সরকার, "আধুনিক ভারত"
- শেখর বন্দ্যোপাধ্যায়, "পলাশি থেকে পার্টিশন"
- Ishita Banerjee-Dube, "A History of Modern India".
সম্পর্কিত বিষয়
- গান্ধীজীর ধারণায় হিন্দ স্বরাজ ও সম্প্রীতি তত্ত্বাবধান (আরো পড়ুন)
- সম্পদের বহির্গমন তত্ত্ব এবং এটি কিভাবে বাংলার অর্থনীতিকে প্রভাবিত করেছিল (আরো পড়ুন)
- ঊনবিংশ শতকে নারী সংক্রান্ত সমস্যা (আরো পড়ুন)
সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ| আশাকরি আমাদের এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগলো| আপনার যদি এই পোস্টটি সম্বন্ধে কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে নিচে কমেন্টের মাধ্যমে আমাদেরকে জানাতে পারেন এবং অবশ্যই পোস্টটি শেয়ার করে অপরকে জানতে সাহায্য করুন|