1905 খ্রিস্টাব্দে 16 ই অক্টোবর বঙ্গভঙ্গের সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হলে, ঐ দিন বাংলার নেতৃবৃন্দ এক প্রতিবাদী সভার আয়োজন করেন| 16 ই অক্টোবর দিনটিকে আবার জাতীয় শোক দিবস বলা হয়ে থাকে এবং সারা দেশে সেই দিন হরতাল পালিত হয়|
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর |
বিশ্ব কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই দিনটিকে "রাখি বন্ধন দিবস" হিসাবে গ্রহণ করে| তাঁর নেতৃত্বে শুরু হয় বিশাল শোভাযাত্রা এবং সেখানে প্রধান দুটি কর্মসূচিকে প্রাধান্য দেওয়া হয়, যথা-
- স্বদেশী
- বয়কট
বয়কট বলতে শুধুমাত্র বিদেশি দ্রব্য বর্জন নয়, বিদেশি আদর্শ ও আদব-কায়দা বর্জন| বিদেশি দ্রব্যের প্রতি জনসাধারণের বিতৃষ্ণা জমতে থাকলে স্বদেশী দ্রব্যের চাহিদা বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং এই সিদ্ধান্তকে জাতীয় রূপ দিতে এগিয়ে আছে ভারতীয় শিক্ষক-শিক্ষিকা, মহিলা, নাপিত, উকিল, ডাক্তার প্রভৃতিরা|
এর আগেও 1905 খ্রিস্টাব্দে 7 ই আগস্ট কলকাতায় টাউন হলে জাতীয় সম্মেলনে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়, কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় যে এই জাতীয়তাবাদী উপায় 16 ই অক্টোবর এর পর থেকে হয়|
তথ্যসূত্র
- সুমিত সরকার, "আধুনিক ভারত"
- শেখর বন্দ্যোপাধ্যায়, "পলাশি থেকে পার্টিশন"
- Ishita Banerjee-Dube, "A History of Modern India".
সম্পর্কিত বিষয়
- গান্ধীজীর ধারণায় হিন্দ স্বরাজ ও সম্প্রীতি তত্ত্বাবধান (আরো পড়ুন)
- সম্পদের বহির্গমন তত্ত্ব এবং এটি কিভাবে বাংলার অর্থনীতিকে প্রভাবিত করেছিল (আরো পড়ুন)
- ১৮৫৮ সালের ভারত শাসন আইন (আরো পড়ুন)
- ঊনবিংশ শতকে নারী সংক্রান্ত সমস্যা (আরো পড়ুন)
সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ| আশাকরি আমাদের এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগলো| আপনার যদি এই পোস্টটি সম্বন্ধে কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে নিচে কমেন্টের মাধ্যমে আমাদেরকে জানাতে পারেন এবং অবশ্যই পোস্টটি শেয়ার করে অপরকে জানতে সাহায্য করুন|