ব্যবসা-বাণিজ্যের ছাড়পত্রকে বলা হত দস্তক| এই ছাড়পত্র দেখিয়ে দেশের নির্দিষ্ট অংশে অবাধ বাণিজ্য করা হতো|
নবাব কর্তৃক প্রদত্ত এই ধরনের ছাড়পত্র দেখিয়ে ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলাদেশে বিনাশুল্কে অভ্যন্তরীণ ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারতো|
ব্রিটিশ পতাকা |
নবাব মীর কাশিমের সময় দস্তকের অপব্যবহার বাংলার অর্থনীতিতে ব্যাপকভাবে আঘাত আনে, কিন্তু পলাশী যুদ্ধের পর থেকে এই ব্যাপারে ইংরেজরা বেপরোয়া হয়ে উঠে|
তাছাড়া কোম্পানির কর্মচারিরা ব্যক্তিগত ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য দস্তক ব্যবহার করতে থাকে| দেশীয় বণিকরা দস্তক জোগাড় করে কোম্পানির পতাকা উড়িয়ে নবাবকে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ব্যবসা করত| দস্তকের অপব্যবহারের ফলে নবাবের বার্ষিক 25 লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছিল|
তথ্যসূত্র
- শেখর বন্দ্যোপাধ্যায়, "পলাশী থেকে পার্টিশন"
- শেখর বন্দ্যোপাধ্যায়, "পলাশি থেকে পার্টিশন"
- Sonali Bansal, "Modern Indian History".
সম্পর্কিত বিষয়
- ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির দেওয়ানি লাভের পটভূমি (আরো পড়ুন)
- সম্পদের বহির্গমন তত্ত্ব এবং এটি কিভাবে বাংলার অর্থনীতিকে প্রভাবিত করেছিল (আরো পড়ুন)
- ১৮৫৮ সালের ভারত শাসন আইন (আরো পড়ুন)
- ঊনবিংশ শতকে নারী সংক্রান্ত সমস্যা (আরো পড়ুন)
সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ| আশাকরি আমাদের এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগলো| আপনার যদি এই পোস্টটি সম্বন্ধে কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে নিচে কমেন্টের মাধ্যমে আমাদেরকে জানাতে পারেন এবং অবশ্যই পোস্টটি শেয়ার করে অপরকে জানতে সাহায্য করুন|
......................................................