ভারতীয় রাজনীতিতে গান্ধীজীর আবির্ভাব এক ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে ঘটেছিল| মূলত দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে দেশে ফিরে আসার পরে গান্ধীজীর ভাবমূর্তি ক্রমাগত উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল| তাঁর মানবিক গুণের পরিচয় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছিল| গান্ধীজীর গুরুত্ব তাঁর সামাজিক আচরণের মধ্যে নিহিত ছিল|
গান্ধীজী |
হিন্দ স্বরাজ
গান্ধীজীর আবেদনের দিকটি নিহিত ছিল, তাঁর সামাজিক আদর্শ বিধির মধ্যে| তাই হিন্দ স্বরাজ সংক্রান্ত তথ্য 1909 খ্রিস্টাব্দে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা গ্রহণ করেছিল| এই পুস্তিকায় তিনি দেখিয়েছেন রেলপথ, আইনজীবী এবং চিকিৎসকরা দেশকে কিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে, এরফলে দেখা দিয়েছে দুর্ভিক্ষের মতো এক অসামাজিক পরিবেশ|
মামলার লোভে আইনজীবীরা ইন্ধন জুগিয়েছে এবং জাতীয় ঐক্যকে শুধুমাত্র নষ্ট করেছে| এইসব শ্রেণীরা কখনোই স্থায়ীভাবে এক জায়গায় থাকতে পারে না, এরা সচেতনভাবে কৃষকদের কথা লিপিবদ্ধ করতে পারেনি| কিন্তু কৃষকদের সরল জীবন-যাপনের কথা তুলে ধরা উচিত|
হিন্দ স্বরাজ-এ গান্ধীজীর কল্পনা বিশেষভাবে দেখা যায়| শিক্ষিত মানুষদের কাছে তাঁর আবেদন ছিল খুব সহজ-সরল এবং সীমিত| কিন্তু ঔপনিবেশিক শাসনে তথাকথিত আধুনিক উন্নয়নের বার্তা তাদের ক্ষতিগ্রস্ত করেছিল| তারা কিন্তু গান্ধীজীর আবেদনে সাড়া দিতে পিছিয়ে যাননি|
তাই Trusteeship বা সম্প্রীতি তত্ত্বাবধান শুরু হয়|ঐতিহাসিক সুমিত সরকার বলেছেন যে- সব কারিগর, কারখানা, শিল্পের ফলে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল| কৃষকের আদালত ছিল একটি বিপর্যয় সূচক, শহরের হাসপাতাল যাওয়ার অর্থ হল ব্যয়বহুল নূন্যতা| শহরে বুদ্ধিজীবীরা সেইভাবে সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যে নিয়ে আসতে পারিনি| এদের সবার কাছে কিছুকালের জন্য শিল্পায়ন বিরোধ আকর্ষণ ছিল বা এক বিশেষ বিষয় ছিল|
গান্ধীজীর মতে সত্যাগ্রহীরা অহিংস, অসহযোগ এবং আইন অমান্য আন্দোলনের দ্বারা শান্তিপূর্ণভাবে অত্যাচারের প্রতিবাদ করবে এবং আমাদের সকলকে লক্ষ্য রাখতে হবে যে, সেই আন্দোলন যেন হিংস না হয়ে উঠে|
মুখ বুজে সব ধরনের অত্যাচার সহ্য করে অত্যাচারীর হৃদয়ের পরিবর্তন ঘটানোই হলো সত্যাগ্রহীর মূল উদ্দেশ্য| তাই বলা যেতে পারে, সত্যের উপর ভিত্তি করে গান্ধীজি হিন্দ স্বরাজ ও সম্প্রীতির তত্ত্বাবধানের ধারণা সকলের সামনে তুলে ধরেন| যার প্রতিফলন আমরা গান্ধীজীর বিভিন্ন আন্দোলনের মধ্যে দেখতে পাই|
.......................................
কৃষক |
কৃষি জমি |
মামলার লোভে আইনজীবীরা ইন্ধন জুগিয়েছে এবং জাতীয় ঐক্যকে শুধুমাত্র নষ্ট করেছে| এইসব শ্রেণীরা কখনোই স্থায়ীভাবে এক জায়গায় থাকতে পারে না, এরা সচেতনভাবে কৃষকদের কথা লিপিবদ্ধ করতে পারেনি| কিন্তু কৃষকদের সরল জীবন-যাপনের কথা তুলে ধরা উচিত|
হিন্দ স্বরাজ-এ গান্ধীজীর কল্পনা বিশেষভাবে দেখা যায়| শিক্ষিত মানুষদের কাছে তাঁর আবেদন ছিল খুব সহজ-সরল এবং সীমিত| কিন্তু ঔপনিবেশিক শাসনে তথাকথিত আধুনিক উন্নয়নের বার্তা তাদের ক্ষতিগ্রস্ত করেছিল| তারা কিন্তু গান্ধীজীর আবেদনে সাড়া দিতে পিছিয়ে যাননি|
তাই Trusteeship বা সম্প্রীতি তত্ত্বাবধান শুরু হয়|ঐতিহাসিক সুমিত সরকার বলেছেন যে- সব কারিগর, কারখানা, শিল্পের ফলে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল| কৃষকের আদালত ছিল একটি বিপর্যয় সূচক, শহরের হাসপাতাল যাওয়ার অর্থ হল ব্যয়বহুল নূন্যতা| শহরে বুদ্ধিজীবীরা সেইভাবে সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যে নিয়ে আসতে পারিনি| এদের সবার কাছে কিছুকালের জন্য শিল্পায়ন বিরোধ আকর্ষণ ছিল বা এক বিশেষ বিষয় ছিল|
গান্ধীজী |
গান্ধীজীর মতে সত্যাগ্রহীরা অহিংস, অসহযোগ এবং আইন অমান্য আন্দোলনের দ্বারা শান্তিপূর্ণভাবে অত্যাচারের প্রতিবাদ করবে এবং আমাদের সকলকে লক্ষ্য রাখতে হবে যে, সেই আন্দোলন যেন হিংস না হয়ে উঠে|
মুখ বুজে সব ধরনের অত্যাচার সহ্য করে অত্যাচারীর হৃদয়ের পরিবর্তন ঘটানোই হলো সত্যাগ্রহীর মূল উদ্দেশ্য| তাই বলা যেতে পারে, সত্যের উপর ভিত্তি করে গান্ধীজি হিন্দ স্বরাজ ও সম্প্রীতির তত্ত্বাবধানের ধারণা সকলের সামনে তুলে ধরেন| যার প্রতিফলন আমরা গান্ধীজীর বিভিন্ন আন্দোলনের মধ্যে দেখতে পাই|
তথ্যসূত্র
- সুমিত সরকার, "আধুনিক ভারত"
- শেখর বন্দ্যোপাধ্যায়, "পলাশি থেকে পার্টিশন"
- Dennis Kincaid, "British Social Life In India, 1608–1937".
সম্পর্কিত বিষয়
- 1946 সালের নৌ বিদ্রোহ (আরো পড়ুন)
- সম্পদের বহির্গমন তত্ত্ব এবং এটি কিভাবে বাংলার অর্থনীতিকে প্রভাবিত করেছিল (আরো পড়ুন)
- ১৮৫৮ সালের ভারত শাসন আইন (আরো পড়ুন)
সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ| আশাকরি আমাদের এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগলো| আপনার যদি এই পোস্টটি সম্বন্ধে কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে নিচে কমেন্টের মাধ্যমে আমাদেরকে জানাতে পারেন এবং অবশ্যই পোস্টটি শেয়ার করে অপরকে জানতে সাহায্য করুন|