রাওলাট আইনের প্রতিবাদে যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল, তা স্পষ্ট প্রভাব লক্ষ্য করা যায় 1919 খ্রিস্টাব্দে 13 ই এপ্রিল জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডে|
আফগানিস্তানে সীমান্তে পাঞ্জাবের অবস্থান এবং যুদ্ধের জন্য পাঞ্জাবীদের উপর জোর-জুলুম করা প্রভৃতি কারণে পাঞ্জাবীদের বিরক্ত করে তুলেছিল| পাঞ্জাবের মুখ্য প্রশাসক লেফটেন্যান্ট গভর্নর রেগিনাল্ড ডায়ারের স্বৈরাচারী শাসনে পাঞ্জাব জ্বলন্ত অগ্নিকুন্ডে পরিণত হয়েছিল|
আবার গান্ধীজী সহ দুইজন জনপ্রিয় নেতা ডঃ সত্যপাল, ডঃ সইফুদ্দিন কিচলুকের গ্রেপ্তার ও বিনা বিচারে অজ্ঞাত স্থানে আটক করলে অমৃতসরের জনগণ এক শান্তিপূর্ণ সভার আহবান জানান| এই শোভাযাত্রায় পুলিশ গুলি চালায় এবং বহু লোক আহত-নিহত হন|
যে কোন সভা-সমিতির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়| পূর্ব নির্ধারিত 13 এপ্রিল জালিয়ানওয়ালাবাগ মাঠে একটি সভা হয়, কিন্তু জেনারেল ডায়ারের নির্দেশে সমবেত 10 হাজার নিরস্ত্র জনগণের উপর গুলিবর্ষণ শুরু হয়| এখানে প্রায় 16 রাউন্ড গুলি বর্ষিত হয়, এর মধ্যে 349 জন মারা যায় এবং আহত হয় প্রায় 1200 জন মানুষ|
জালিয়ানওয়ালাবাগের ঘটনা ব্রিটিশ শাসনে স্বৈরাচারী রূপটিকে জনগণের সামনে প্রকাশ করেছিল| ঐতিহাসিক টমসন ও গ্যারেট বলেছেন, "জালিয়ানওয়ালাবাগের ঘটনা সিপাহী বিদ্রোহের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ ও যুগান্তকারী ঘটনা, এই কারণেই বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ব্রিটিশদের দেওয়া নাইট উপাধি বর্জন করেন"|
গান্ধীজী তাঁর ইয়ং ইন্ডিয়া পত্রিকায় বলেছেন, "এই শয়তান ইংরেজ সংশোধন অসম্ভব এবং একে ধ্বংস করতেই হবে"|
.......................................
গান্ধীজী |
গান্ধীজী |
আবার গান্ধীজী সহ দুইজন জনপ্রিয় নেতা ডঃ সত্যপাল, ডঃ সইফুদ্দিন কিচলুকের গ্রেপ্তার ও বিনা বিচারে অজ্ঞাত স্থানে আটক করলে অমৃতসরের জনগণ এক শান্তিপূর্ণ সভার আহবান জানান| এই শোভাযাত্রায় পুলিশ গুলি চালায় এবং বহু লোক আহত-নিহত হন|
যে কোন সভা-সমিতির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়| পূর্ব নির্ধারিত 13 এপ্রিল জালিয়ানওয়ালাবাগ মাঠে একটি সভা হয়, কিন্তু জেনারেল ডায়ারের নির্দেশে সমবেত 10 হাজার নিরস্ত্র জনগণের উপর গুলিবর্ষণ শুরু হয়| এখানে প্রায় 16 রাউন্ড গুলি বর্ষিত হয়, এর মধ্যে 349 জন মারা যায় এবং আহত হয় প্রায় 1200 জন মানুষ|
জালিয়ানওয়ালাবাগের ঘটনা ব্রিটিশ শাসনে স্বৈরাচারী রূপটিকে জনগণের সামনে প্রকাশ করেছিল| ঐতিহাসিক টমসন ও গ্যারেট বলেছেন, "জালিয়ানওয়ালাবাগের ঘটনা সিপাহী বিদ্রোহের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ ও যুগান্তকারী ঘটনা, এই কারণেই বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ব্রিটিশদের দেওয়া নাইট উপাধি বর্জন করেন"|
গান্ধীজী তাঁর ইয়ং ইন্ডিয়া পত্রিকায় বলেছেন, "এই শয়তান ইংরেজ সংশোধন অসম্ভব এবং একে ধ্বংস করতেই হবে"|
তথ্যসূত্র
- সুমিত সরকার, "আধুনিক ভারত"
- শেখর বন্দ্যোপাধ্যায়, "পলাশি থেকে পার্টিশন"
- Ishita Banerjee-Dube, "A History of Modern India".
সম্পর্কিত বিষয়
- ভারত ছাড়ো আন্দোলনের পটভূমি (আরো পড়ুন)
- গান্ধীজীর ধারণায় হিন্দ স্বরাজ ও সম্প্রীতি তত্ত্বাবধান (আরো পড়ুন)
- সম্পদের বহির্গমন তত্ত্ব এবং এটি কিভাবে বাংলার অর্থনীতিকে প্রভাবিত করেছিল (আরো পড়ুন)
- ১৮৫৮ সালের ভারত শাসন আইন (আরো পড়ুন)
সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ| আশাকরি আমাদের এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগলো| আপনার যদি এই পোস্টটি সম্বন্ধে কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে নিচে কমেন্টের মাধ্যমে আমাদেরকে জানাতে পারেন এবং অবশ্যই পোস্টটি শেয়ার করে অপরকে জানতে সাহায্য করুন|