1855 খ্রিস্টাব্দে সাঁওতাল বিদ্রোহ স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসে এক উল্লেখযোগ্য অধ্যায়| সিধু, কানু নেতৃত্বে বিদ্রোহীরা ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে আক্রমণ চালায়| তাদের আক্রমণে একাধিক অত্যাচারী দারোগা, মহাজন ব্যবসায়ী নিহত হন|
ভাগলপুর ও রাজমহলের মধ্যে সমস্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে বীরভূমের বিস্তীর্ণ অঞ্চল বিদ্রোহীদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে চলে যায়|
বিদ্রোহীরা পরিষ্কার জানিয়ে দেয় যে, জঙ্গলমহলে ইংরেজ শাসনের অবসান ঘটেছে এবং প্রতিষ্টিত হয়েছে সাঁওতালদের স্বাধীন শাসন| এখন থেকে সাঁওতালদের রাজা হবে সিধু ও কানু|
সামান্য তীর, ধনুক এবং তলোয়ার দিয়ে বিদ্রোহীরা বন্দুকধারী সিপাহীদের বিরুদ্ধে আক্রমণ চালিয়েছিলেন| এই সাফল্য বিদ্রোহীদের মনে অদম্য সাহসের সঞ্চার করে| তাই ঐতিহাসিক কালীকিংকর দত্ত সাঁওতালদের প্রতিবাদী চরিত্র সম্পর্কে বলেন- "This episode open a new chapter is the history of Bengal and Bihar"|
.......................................
তথ্যসূত্র
- সুমিত সরকার, "আধুনিক ভারত"
- শেখর বন্দ্যোপাধ্যায়, "পলাশি থেকে পার্টিশন"
- Ishita Banerjee-Dube, "A History of Modern India".
সম্পর্কিত বিষয়
- ভারত ছাড়ো আন্দোলনের পটভূমি (আরো পড়ুন)
- গান্ধীজীর ধারণায় হিন্দ স্বরাজ ও সম্প্রীতি তত্ত্বাবধান (আরো পড়ুন)
- সম্পদের বহির্গমন তত্ত্ব এবং এটি কিভাবে বাংলার অর্থনীতিকে প্রভাবিত করেছিল (আরো পড়ুন)
- ১৮৫৮ সালের ভারত শাসন আইন (আরো পড়ুন)
সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ| আশাকরি আমাদের এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগলো| আপনার যদি এই পোস্টটি সম্বন্ধে কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে নিচে কমেন্টের মাধ্যমে আমাদেরকে জানাতে পারেন এবং অবশ্যই পোস্টটি শেয়ার করে অপরকে জানতে সাহায্য করুন|