হিন্দু ধর্মের প্রচলিত নীতি অনুযায়ী সমাজে সদ্য নারীকে মৃত স্বামীর সঙ্গে পুড়িয়ে মারার এক নারকীয় প্রথা ছিল, এই প্রথাকে বলা হতো সতীদাহ বা সহমরণ প্রথা।
রক্ষণশীল লোকেরা বিশ্বাস করতো যে, এই পুড়িয়ে মারার বিধবা নারী মৃত স্বামীর সঙ্গে স্বর্গে যাবে। অতীতে আকবর ও জয় সিং(আরো পড়ুন) এর মতো কয়েকজন ভারতীয় নরপতি এই অমানবিক প্রথা নিষিদ্ধ করার চেষ্টা করেন, কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়।
পরবর্তীতে রামমোহনের চেষ্টায় এবং উইলিয়াম বেন্টিংক এর সহযোগিতায় 1829 খ্রিস্টাব্দে সতীদাহ প্রথা নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করা হয়। সত্যেন্দ্রনাথ "সহমরণ" কবিতার মাধ্যমে এই মর্মান্তিক প্রথার বিরুদ্ধে দেশবাসীকে জাগ্রত করার চেষ্টা করেন।
FAQ’s (সতীদাহ প্রথার সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন উত্তর)
১. সতীদাহ প্রথা রহিত করেন কোন গভর্নর জেনারেল ?
উত্তর- লর্ড উইলিয়াম বেন্টিংক।
২. সতীদাহ প্রথা রদ হয় কত খ্রিস্টাব্দে ?
উত্তর- 1829 খ্রিষ্টাব্দে, 4 ডিসেম্বর।
৩. সতীদাহ প্রথা কে রদ করেন ?
উত্তর- লর্ড উইলিয়াম বেন্টিংক।
৪. সতীদাহ প্রথা কোন আইন দ্বারা রদ হয়েছিল ?
উত্তর- রেগুলেশন-XVII ৫. কোন কোন পত্রিকা সতীদাহ প্রথা বাতিলের পক্ষে ছিল ?
উত্তর- রামমোহনের সংবাদ কৌমুদী, মিশনারিদের সমাচার দর্পণ, Friend of India প্রভৃতি।
উত্তর- রামমোহনের সংবাদ কৌমুদী, মিশনারিদের সমাচার দর্পণ, Friend of India প্রভৃতি।
তথ্যসূত্র
- সুমিত সরকার, "আধুনিক ভারতের ইতিহাস"
- Harihara Dasa, "The Indian renaissance and Raja Rammohan Roy".
- Sonali Bansal, "Modern Indian History".
সম্পর্কিত বিষয়
সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ| আশাকরি আমাদের এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগলো| আপনার যদি এই পোস্টটি সম্বন্ধে কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে নিচে কমেন্টের মাধ্যমে আমাদেরকে জানাতে পারেন এবং অবশ্যই পোস্টটি শেয়ার করে অপরকে জানতে সাহায্য করুন|
......................................................