সত্য ও আগ্রহ অর্থাৎ সত্যের প্রতি আগ্রহ থেকেই সত্যাগ্রহ কথাটির উদ্ভব, কিন্তু রাজনীতির ক্ষেত্রে গান্ধীজী প্রবর্তিত সত্যাগ্রহ এক অভিনব নীতি বা কৌশল|
সত্য ও অহিংসার উপর প্রতিষ্টিত এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে পরিচালিত সংগ্রামকে গান্ধীজি "সত্যাগ্রহ" নামে আখ্যা দেন| তাঁর মতে, সত্যাগ্রহ হলো আত্মার শক্তি বা প্রেমের শক্তি|
গান্ধীজী মনে করেন, সত্যাগ্রহীরা শান্তিপূর্ণভাবে অহিংস আন্দোলন করবে এবং সে কখনোই হিংস হয়ে উঠবে না|
মুখ বুজে সব অত্যাচার সহ্য করে অত্যাচারীর হৃদয় পরিবর্তন ঘটানোই বা তার অন্তরের শুভবুদ্ধির জাগরন ঘটানোই হলো সত্যাগ্রহের উদ্দেশ্য|
সংগ্রামের নতুন পদ্ধতির মাধ্যমে গান্ধীজী প্রথমেই দক্ষিণ আফ্রিকায় শক্তিশালী শ্বেতাঙ্গ সরকারকে পরাজিত করতে সক্ষম হন এবং পরবর্তীকালে এই সত্যাগ্রহ ভারতের রাজনৈতিক আন্দোলনের প্রধান হাতিয়ার হয়ে দাঁড়িয়েছিল|
তথ্যসূত্র
- সুমিত সরকার, "আধুনিক ভারত"
- শেখর বন্দ্যোপাধ্যায়, "পলাশি থেকে পার্টিশন"
- Ishita Banerjee-Dube, "A History of Modern India".
সম্পর্কিত বিষয়
- ভারত ছাড়ো আন্দোলনের পটভূমি (আরো পড়ুন)
- গান্ধীজীর ধারণায় হিন্দ স্বরাজ ও সম্প্রীতি তত্ত্বাবধান (আরো পড়ুন)
- সম্পদের বহির্গমন তত্ত্ব এবং এটি কিভাবে বাংলার অর্থনীতিকে প্রভাবিত করেছিল (আরো পড়ুন)
- ১৮৫৮ সালের ভারত শাসন আইন (আরো পড়ুন)
সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ| আশাকরি আমাদের এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগলো| আপনার যদি এই পোস্টটি সম্বন্ধে কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে নিচে কমেন্টের মাধ্যমে আমাদেরকে জানাতে পারেন এবং অবশ্যই পোস্টটি শেয়ার করে অপরকে জানতে সাহায্য করুন|