নব্য বঙ্গ আন্দোলনের দুর্বলতার জন্য দায়ী ছিল কয়েকটি অভ্যন্তরীণ ত্রুটি| সেগুলি হল শহরে অভিজাত গণ নব্য বঙ্গ আন্দোলনের ধারক ও বাহক ছিলেন| দেশের সাধারণ মানুষের সঙ্গে এদের কোন সম্পর্ক ছিল না|
সাধারণ মানুষের দুঃখ-দূর্দশা প্রতি এদের কোন নজর ছিল না, এরফলে নিত্য যন্ত্রণায় জর্জরিত সাধারণ মানুষ নব্যবঙ্গ বক্তব্যকে উচ্চশিক্ষিত তারুণ্যের বিলাসিতা বলে মনে করেন|
হিন্দু ধর্মালম্বীদের শুভবুদ্ধি জাগ্রত না করার জন্য পুরো হিন্দু সম্প্রদায় নব্যবঙ্গের বিরুদ্ধে চলে গিয়েছিল| সৎ এবং প্রগতিশীল ধ্যান-ধারণা গ্রহণ করার মতো সামাজিক পরিবেশ কখনো গড়ে উঠেনি|
এরফলে এদের বক্তব্য নব্যবঙ্গ জনসমর্থন পায়নি| তবে উল্লেখিত দুর্বলতা থাকা সত্ত্বেও ভারতীয় চেতনার উন্মেষে এই আন্দোলনের অবদান বিশেষভাবে স্মরণীয়|
.......................................
এরফলে এদের বক্তব্য নব্যবঙ্গ জনসমর্থন পায়নি| তবে উল্লেখিত দুর্বলতা থাকা সত্ত্বেও ভারতীয় চেতনার উন্মেষে এই আন্দোলনের অবদান বিশেষভাবে স্মরণীয়|
তথ্যসূত্র
- সুমিত সরকার, "আধুনিক ভারত"
- শেখর বন্দ্যোপাধ্যায়, "পলাশি থেকে পার্টিশন"
- Ishita Banerjee-Dube, "A History of Modern India".
সম্পর্কিত বিষয়
- ভারত ছাড়ো আন্দোলনের পটভূমি (আরো পড়ুন)
- গান্ধীজীর ধারণায় হিন্দ স্বরাজ ও সম্প্রীতি তত্ত্বাবধান (আরো পড়ুন)
- সম্পদের বহির্গমন তত্ত্ব এবং এটি কিভাবে বাংলার অর্থনীতিকে প্রভাবিত করেছিল (আরো পড়ুন)
- ১৮৫৮ সালের ভারত শাসন আইন (আরো পড়ুন)
সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ| আশাকরি আমাদের এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগলো| আপনার যদি এই পোস্টটি সম্বন্ধে কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে নিচে কমেন্টের মাধ্যমে আমাদেরকে জানাতে পারেন এবং অবশ্যই পোস্টটি শেয়ার করে অপরকে জানতে সাহায্য করুন|