"ইতিহাসবাদ" ধারণাটি প্রথম নির্দিষ্ট করেন ফ্রিড্রিশ ফোন শ্লেগেল| তিনি ছিলেন একজন জার্মান দার্শনিক| "ইতিহাসবাদ" ইতিহাসের সময়, স্থান এবং ইতিহাসের নিমিত্তবাদকে পরিপুষ্ট করার চেষ্টা করে|
কাল মার্কস |
দৃষ্টবাদী ঐতিহাসিকগণ ইতিহাসবাদের ধারণাকে ইতিহাস চর্চার অন্তর্ভুক্ত করেছেন| এর অর্থ হল স্থান, কাল, ভৌগোলিক স্থান এবং স্থানীয় সংস্কৃতিকে ইতিহাসের তাৎপর্য পূর্ণ করে তোলা| ইতিহাসবাদের ধারণাটিকে জনপ্রিয় করে তোলেন ইতালিও দার্শনিক জিম্বাততিস্তা ভিকো, জার্মান দার্শনিক ফ্রিডরিখ হেগেল, কাল মার্কস এবং অন্যান্যরা| এই সকল দার্শনিকদের মধ্যে হেগেল ইতিহাসবাদকে পরিস্কার ভাবে আলোচনা করেছেন|
হেগেলকে অনুসরণ করে বলা যায়, মানুষের স্বাধীনতা হলো ইতিহাসের চরম উদ্দেশ্য| আর এই স্বাধীনতা লাভ করা সম্ভব হয় একটা স্বয়ংসম্পুর্ণ রাষ্ট্র সৃষ্টির মধ্য দিয়ে| আবার এই স্বয়ংসম্পূর্ণ রাষ্ট্র গড়ে ওঠে মানবিক পরিপূর্ণতার সম্পর্কিত পরিবেশ, পরিস্থিতির প্রশ্নকে কেন্দ্র করে| সুতরাং স্বাধীনতার পদ্ধতি হলো এক ধরনের অভিযোজন, বিয়োজন এবং কূটনৈতিক বিষয়ক| সুতরাং হেগেলের ইতিহাসবাদ দাঁড়িয়ে আছে জনপ্রিয় তত্ত্ববাদ, প্রতিবাদ এবং সমন্বয় বাদের উপর|
বিংশ শতকে ইতিহাসবাদের ধারণা সম্পর্কে আলোচনা এবং সমালোচনা করেছেন বিভিন্ন বিষয়ের গবেষকগণ| কার্ল পপার তাঁর বই "The poverty of historicism" এবং "The open society and its enemies" তে ইতিহাসের অনুমান এবং ধারণা নিয়ে আলোচনা করেছেন| কার্ল পপার হেগেলের ধারণাকে সম্প্রসারিত করেছেন| তিনি "Total History" এবং "Complete History" তত্ত্বের মধ্যে হেগেলের ধারণাকে রূপ দিয়েছেন| পরবর্তীকালে "Total History" সম্পর্কিত ধারণা অ্যানালস(Annals) ইতিহাস চর্চার মধ্যে বিকশিত হয়েছে|
লিও স্ট্রস তাঁর গ্রন্থ "Natural right and history" তে ইতিহাসবাদকে সমালোচনা করেছেন| তিনি বলেছেন ইতিহাসবাদ হলো অপ্রগতিশীল| কারণ ইতিহাসে কোন উপসংহার অথবা উদ্দেশ্য নির্দিষ্ট থাকে না এবং ইতিহাসকে বিয়োজন, অভিযোজন অথবা সংযোজন বা দ্বন্দ্ব বলে ব্যাখ্যা করা যায় না| সুতরাং হেগেলীয় দৃষ্টিকোণ অনুযায়ী প্রকৃত সমাজ গঠন কখনই সম্ভব নয় এবং সমগ্র আলোচনাটায় অলীক বা অবাস্তব হয়ে উঠতে পারে|
হেগেলকে অনুসরণ করে বলা যায়, মানুষের স্বাধীনতা হলো ইতিহাসের চরম উদ্দেশ্য| আর এই স্বাধীনতা লাভ করা সম্ভব হয় একটা স্বয়ংসম্পুর্ণ রাষ্ট্র সৃষ্টির মধ্য দিয়ে| আবার এই স্বয়ংসম্পূর্ণ রাষ্ট্র গড়ে ওঠে মানবিক পরিপূর্ণতার সম্পর্কিত পরিবেশ, পরিস্থিতির প্রশ্নকে কেন্দ্র করে| সুতরাং স্বাধীনতার পদ্ধতি হলো এক ধরনের অভিযোজন, বিয়োজন এবং কূটনৈতিক বিষয়ক| সুতরাং হেগেলের ইতিহাসবাদ দাঁড়িয়ে আছে জনপ্রিয় তত্ত্ববাদ, প্রতিবাদ এবং সমন্বয় বাদের উপর|
বিংশ শতকে ইতিহাসবাদের ধারণা সম্পর্কে আলোচনা এবং সমালোচনা করেছেন বিভিন্ন বিষয়ের গবেষকগণ| কার্ল পপার তাঁর বই "The poverty of historicism" এবং "The open society and its enemies" তে ইতিহাসের অনুমান এবং ধারণা নিয়ে আলোচনা করেছেন| কার্ল পপার হেগেলের ধারণাকে সম্প্রসারিত করেছেন| তিনি "Total History" এবং "Complete History" তত্ত্বের মধ্যে হেগেলের ধারণাকে রূপ দিয়েছেন| পরবর্তীকালে "Total History" সম্পর্কিত ধারণা অ্যানালস(Annals) ইতিহাস চর্চার মধ্যে বিকশিত হয়েছে|
লিও স্ট্রস তাঁর গ্রন্থ "Natural right and history" তে ইতিহাসবাদকে সমালোচনা করেছেন| তিনি বলেছেন ইতিহাসবাদ হলো অপ্রগতিশীল| কারণ ইতিহাসে কোন উপসংহার অথবা উদ্দেশ্য নির্দিষ্ট থাকে না এবং ইতিহাসকে বিয়োজন, অভিযোজন অথবা সংযোজন বা দ্বন্দ্ব বলে ব্যাখ্যা করা যায় না| সুতরাং হেগেলীয় দৃষ্টিকোণ অনুযায়ী প্রকৃত সমাজ গঠন কখনই সম্ভব নয় এবং সমগ্র আলোচনাটায় অলীক বা অবাস্তব হয়ে উঠতে পারে|
তথ্যসূত্র
- Leo Strauss, "Leo Strauss on Political Philosophy".
- Sherman Sutherland, "Understanding Literary Theory".
সম্পর্কিত বিষয়
- অষ্টাদশ শতকের ইউরোপের আলোকিত যুগ (আরো পড়ুন)
- ষোড়শ শতকের ইউরোপের মানচিত্র অঙ্কনের বিষয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা (আরো পড়ুন)
- ইউরোপের স্বৈরাচারী রাজতন্ত্রের প্রকৃতি এবং বিতর্ক (আরো পড়ুন)
সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ| আশাকরি আমাদের এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগলো| আপনার যদি এই পোস্টটি সম্বন্ধে কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে নিচে কমেন্টের মাধ্যমে আমাদেরকে জানাতে পারেন এবং অবশ্যই পোস্টটি শেয়ার করে অপরকে জানতে সাহায্য করুন|
.......................................