ইতিহাস গত দিক থেকে কৃষকের সংজ্ঞা যথাযথভাবে নির্ণয় করা কঠিন| তবে সাধারণভাবে একথা বলা যায়, যে ব্যক্তি জমি চাষ করে ও ফসল ফলায় তাকে কৃষক বলা হয়, অবশ্য এই ধরনের সংজ্ঞায় কৃষকের যথাযথ রূপ ফুটে উঠে না|
তবে এই সংজ্ঞাগত ফাঁক অনেকে পূরণ করে ঐতিহাসিক থিওডর শানিন কৃষকের ভূমিকায় প্রথমে কয়েকটি বৈশিষ্ট্য গত দিক দিয়ে ব্যাখ্যা করে সংজ্ঞা নির্দেশ করেছেন| বস্তুত ইতিহাসগত ক্ষেত্রে শানিন এর ব্যাখ্যা ইতিহাস মহলে গুরুত্ব পেয়েছে|
থিওডর শানিন কৃষকের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে প্রথমেই বলেছেন যে, কৃষকের সাথে জমির নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে| দ্বিতীয়ত, তার মতে কৃষক পরিবার ও তাদের খামার বাড়ির সাথে এসূত্রেই সামাজিক মিথস্ক্রিয়ায় মূল ভিত্তি গ্রাম সমাজের সাথে সামঞ্জস্য গড়ে ওঠা| তৃতীয়ত, এই প্রেক্ষিতে কৃষকের জীবিকা এক বিশেষ ধরনের তৈরি হয়| চতুর্থত অতীত ইতিহাসের প্রভাবে এদের উন্নয়নে এক বিশেষ পদ্ধতি সমাজে দেখা যায়|
শানিনের এই ব্যাখ্যা সকলের কাছে এই ব্যাখ্যা সকলের কাছে গ্রহণীয় হয়নি| বস্তুত কৃষকের এই সংজ্ঞা ধরলে এবং জমির মালিক ও রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্যকে গুরুত্ব দিয়ে সমগ্র বিশ্বের মানব সমাজের এক বিশাল অংশ কৃষি সমাজের অন্তর্ভুক্ত হয়ে পড়ে| এই জন্য অধ্যাপক ইরফান হাবিব কৃষকের সংজ্ঞা আর এক দিক থেকে নির্ধারণ করে বলেছেন যে, যারা নিজের যন্ত্র দিয়ে নিজের জমি চাষ করে নিজের পরিবারের জন্য শ্রম দেয় তারাই কৃষক| অবশ্য এক্ষেত্রে ভূমিহীন কৃষকের অন্তর্ভুক্ত হয়নি|
আবার ঐতিহাসিক A. R. Desai তাঁর "Peasant Struggles in India" গ্রন্থের ভূমিকায় দেখিয়েছেন যে, ধনতান্ত্রিক ও অধনতান্ত্রিক সমাজের প্রেক্ষাপটে কৃষকের বিভিন্ন অবস্থান ও ভূমিকা রয়েছে|
এই বিভিন্ন ধরনের ব্যাখ্যার ফলে কৃষকের সংজ্ঞা নির্ধারণ করা ক্রমশই কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে| তবুও বিভিন্ন মতভেদ মাথায় রেখে মোটামুটি ভাবে বলা যায় যে, ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বৃহৎ- এই ভিন্ন অবস্থান থেকে পেশাগতভাবে জমি চাষের বৈশিষ্ট্যকে গুরুত্ব দিয়ে আধুনিক অর্থে কৃষক সমাজ গড়ে উঠেছে|
তবে এই সংজ্ঞাগত ফাঁক অনেকে পূরণ করে ঐতিহাসিক থিওডর শানিন কৃষকের ভূমিকায় প্রথমে কয়েকটি বৈশিষ্ট্য গত দিক দিয়ে ব্যাখ্যা করে সংজ্ঞা নির্দেশ করেছেন| বস্তুত ইতিহাসগত ক্ষেত্রে শানিন এর ব্যাখ্যা ইতিহাস মহলে গুরুত্ব পেয়েছে|
কৃষক |
থিওডর শানিন কৃষকের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে প্রথমেই বলেছেন যে, কৃষকের সাথে জমির নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে| দ্বিতীয়ত, তার মতে কৃষক পরিবার ও তাদের খামার বাড়ির সাথে এসূত্রেই সামাজিক মিথস্ক্রিয়ায় মূল ভিত্তি গ্রাম সমাজের সাথে সামঞ্জস্য গড়ে ওঠা| তৃতীয়ত, এই প্রেক্ষিতে কৃষকের জীবিকা এক বিশেষ ধরনের তৈরি হয়| চতুর্থত অতীত ইতিহাসের প্রভাবে এদের উন্নয়নে এক বিশেষ পদ্ধতি সমাজে দেখা যায়|
শানিনের এই ব্যাখ্যা সকলের কাছে এই ব্যাখ্যা সকলের কাছে গ্রহণীয় হয়নি| বস্তুত কৃষকের এই সংজ্ঞা ধরলে এবং জমির মালিক ও রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্যকে গুরুত্ব দিয়ে সমগ্র বিশ্বের মানব সমাজের এক বিশাল অংশ কৃষি সমাজের অন্তর্ভুক্ত হয়ে পড়ে| এই জন্য অধ্যাপক ইরফান হাবিব কৃষকের সংজ্ঞা আর এক দিক থেকে নির্ধারণ করে বলেছেন যে, যারা নিজের যন্ত্র দিয়ে নিজের জমি চাষ করে নিজের পরিবারের জন্য শ্রম দেয় তারাই কৃষক| অবশ্য এক্ষেত্রে ভূমিহীন কৃষকের অন্তর্ভুক্ত হয়নি|
আবার ঐতিহাসিক A. R. Desai তাঁর "Peasant Struggles in India" গ্রন্থের ভূমিকায় দেখিয়েছেন যে, ধনতান্ত্রিক ও অধনতান্ত্রিক সমাজের প্রেক্ষাপটে কৃষকের বিভিন্ন অবস্থান ও ভূমিকা রয়েছে|
এই বিভিন্ন ধরনের ব্যাখ্যার ফলে কৃষকের সংজ্ঞা নির্ধারণ করা ক্রমশই কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে| তবুও বিভিন্ন মতভেদ মাথায় রেখে মোটামুটি ভাবে বলা যায় যে, ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বৃহৎ- এই ভিন্ন অবস্থান থেকে পেশাগতভাবে জমি চাষের বৈশিষ্ট্যকে গুরুত্ব দিয়ে আধুনিক অর্থে কৃষক সমাজ গড়ে উঠেছে|
তথ্যসূত্র
- A. R. Desai, "Peasant Struggles in India".
- Sho Kuwajima, "peasants and peasant leaders in contemporary history".
সম্পর্কিত বিষয়
- আধুনিক ভারতের ইতিহাসের বিষয় হিসেবে কৃষক কেন এবং কিভাবে গুরুত্বপূর্ণ (আরো পড়ুন)
- ভারতের শ্রমিক শ্রেণীর আন্দোলন এর সংক্ষিপ্ত ইতিহাস (আরো পড়ুন)
- ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদী ভাবাদর্শ (আরো পড়ুন)
সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ| আশাকরি আমাদের এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগলো| আপনার যদি এই পোস্টটি সম্বন্ধে কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে নিচে কমেন্টের মাধ্যমে আমাদেরকে জানাতে পারেন এবং অবশ্যই পোস্টটি শেয়ার করে অপরকে জানতে সাহায্য করুন|
.......................................