স্টুয়ার্ড আমলে প্রধান ঘটনা ছিল রাজতন্ত্রের সঙ্গে পার্লামেন্টে দ্বন্দ্ব| এই দ্বন্দ্ব সম্রাট প্রথম চার্লসের আমলে(1625-49) প্রত্যক্ষ সংঘর্ষে রূপান্তরিত হয় এবং ইংল্যান্ডের গৃহযুদ্ধ শুরু হয়|
1633-37 সময়কালে নানা ওঠাপড়া মধ্য দিয়ে পার্লামেন্টের অনুগামীর রাজভক্তদের পরাস্ত করে| রাজা প্রথম চার্লস আত্মসমর্পণ করে| পার্লামেন্টের অনুগামীদের মধ্যে যারা নরমপন্থী ছিলেন, তারা রাজার সাথে একটা সমঝোতা চালিয়ে ছিলেন|
তবে বেশিরভাগ মানুষই রাষ্ট্রের উচ্ছেদ চাইনি, কিন্তু বন্দী অবস্থাতেও চার্লস কোন সমঝোতায় আসতে রাজি ছিলেন না|
তবুও সেনাবাহিনীর নেতারা যখন দেখলেন যে, পার্লামেন্টের একটি প্রভাবশালী অংশ রাজার সঙ্গে সমঝোতার আগ্রহী এবং এই বিষয়ে সেনানায়কদের প্রতিবাদ তারা গ্রাহ্য করছেন না, তখন 1648 সালের 6 ডিসেম্বর Colonel Thomas Pride এর নেতৃত্বে পার্লামেন্টের সৈন্যবাহিনী সমঝোতায় আগ্রহী সদস্যদের পার্লামেন্টে ঢুকতে দিলেন না, ইংল্যান্ডের ইতিহাস এই ঘটনা "pride's purge" নামে পরিচিত|
যারা বহিস্কৃত হলেন তারা ছিলেন মধ্যপন্থি প্রেসবিটারিয়ান, অ্যাংলিকান চার্চের অনুগামী এবং যারা রইলেন তারা সকলেই ইন্ডিপেন্ডন্ট-ক্রমওয়েলের মতো উগ্র পিউরিটান পন্থী| ইন্ডিপেন্ডন্ট নিয়ে গঠিত হয় Rump parliament এবং এরা রাজার সঙ্গে আর কথাবার্তা চালাতে আগ্রহী ছিলেন না|
1649 এর 1লা জানুয়ারি Rump parliament ঘোষণা করে করলো যে, রাজা দেশদ্রোহী, তিনি বিনা প্ররোচনায় দেশের নির্বাচিত প্রতিনিধি সভার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন| ইংল্যান্ডের মানুষের জন্মগত অধিকার খর্ব করেছেন এবং সংবিধানকে ধ্বংস করতে উদ্যত হয়েছেন|
অবশেষে মাত্র এক মাসের মধ্যে চার্লসের বিচার শেষ হয় এবং 1649 সালের 30 শে জানুয়ারি মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত চার্লসকে হত্যা করা হয়| চার্লসের মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে ইংল্যান্ড প্রজাতান্ত্রিক দেশ বলে ঘোষিত হয়|
তবুও সেনাবাহিনীর নেতারা যখন দেখলেন যে, পার্লামেন্টের একটি প্রভাবশালী অংশ রাজার সঙ্গে সমঝোতার আগ্রহী এবং এই বিষয়ে সেনানায়কদের প্রতিবাদ তারা গ্রাহ্য করছেন না, তখন 1648 সালের 6 ডিসেম্বর Colonel Thomas Pride এর নেতৃত্বে পার্লামেন্টের সৈন্যবাহিনী সমঝোতায় আগ্রহী সদস্যদের পার্লামেন্টে ঢুকতে দিলেন না, ইংল্যান্ডের ইতিহাস এই ঘটনা "pride's purge" নামে পরিচিত|
যারা বহিস্কৃত হলেন তারা ছিলেন মধ্যপন্থি প্রেসবিটারিয়ান, অ্যাংলিকান চার্চের অনুগামী এবং যারা রইলেন তারা সকলেই ইন্ডিপেন্ডন্ট-ক্রমওয়েলের মতো উগ্র পিউরিটান পন্থী| ইন্ডিপেন্ডন্ট নিয়ে গঠিত হয় Rump parliament এবং এরা রাজার সঙ্গে আর কথাবার্তা চালাতে আগ্রহী ছিলেন না|
1649 এর 1লা জানুয়ারি Rump parliament ঘোষণা করে করলো যে, রাজা দেশদ্রোহী, তিনি বিনা প্ররোচনায় দেশের নির্বাচিত প্রতিনিধি সভার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন| ইংল্যান্ডের মানুষের জন্মগত অধিকার খর্ব করেছেন এবং সংবিধানকে ধ্বংস করতে উদ্যত হয়েছেন|
অবশেষে মাত্র এক মাসের মধ্যে চার্লসের বিচার শেষ হয় এবং 1649 সালের 30 শে জানুয়ারি মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত চার্লসকে হত্যা করা হয়| চার্লসের মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে ইংল্যান্ড প্রজাতান্ত্রিক দেশ বলে ঘোষিত হয়|
তথ্যসূত্র
- অধ্যাপক গোপালকৃষ্ণ পাহাড়ি, "ইউরোপের ইতিবৃত্ত"
- C. Warren Hollister, "Medieval Europe: A Short History".
সম্পর্কিত বিষয়
- অলিভার ক্রমওয়েল বা ওলিভের ক্রুমউল (আরো পড়ুন)
- রেস্টোরেশন বা স্টুয়ার্ট রাজবংশের পুনঃপ্রতিষ্ঠা, 1660 (আরো পড়ুন)
সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ| আশাকরি আমাদের এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগলো| আপনার যদি এই পোস্টটি সম্বন্ধে কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে নিচে কমেন্টের মাধ্যমে আমাদেরকে জানাতে পারেন এবং অবশ্যই পোস্টটি শেয়ার করে অপরকে জানতে সাহায্য করুন|
.......................................