মানচিত্র রচনার ইতিহাস অতি প্রাচীন| প্রাচীন গ্রিসে মানচিত্র রচনার ইতিহাস ছিল| টলেমির আঁকা মানচিত্র ইউরোপে বেশ কিছু সময় প্রচলিত ছিল| প্লিনি তার রচনায় মানচিত্রের উপাদান দিয়েছিল| সমুদ্র যাত্রা শুরুর প্রথম দিক থেকে সমুদ্র পথ জানবার প্রচেষ্টা হিসেবে একদিকে যেমন- কম্পাস প্রভৃতি আবিষ্কৃত হতে শুরু করেছিল, তেমনি ইউরোপের মানচিত্র রচনার পর্যায়টিও শুরু হয়েছিল নতুন করে|
পঞ্চদশ-ষোড়শ শতকে নতুন মানচিত্র নির্মাণ ও ভৌগলিক অভিযানের সম্পর্কটি ছিল পরিপূরক, কারণ একই সঙ্গে অভিযান থেকে আহরিত তথ্য মানচিত্রকে আরো পূর্ণাঙ্গ ও সঠিক করতে সাহায্য করেছিল|মধ্যযুগীয় পাণ্ডুলিপিতে পাওয়া অনেক মানচিত্র সংরক্ষিত আছে| কিন্তু প্রাচীন যুগে অঙ্কিত মানচিত্র পাওয়া যায়নি| রেনেসাঁসের যুগে টলেমির লেখা ভূগোল পুনরাবিষ্কার হওয়ার পর তার মানচিত্র গুলির পুনর্নির্মাণের কাজ শুরু হয়|
পঞ্চদশ শতকে ইতালীয় নাবিকরা চার্ট তৈরি করতেন| এগুলি "পোর্টোলান" মানচিত্র বলে পরিচিত ছিল| এগুলি ছিল জাহাজ পরিক্রমার বাস্তব অভিজ্ঞতার উপর তৈরি করা ছক বিশেষ| প্রায় সমগ্র ভূমধ্যসাগর ও কৃষ্ণ সাগর আঁকা ছিল| আর কিছুটা উত্তর ইউরোপ ও আফ্রিকার নিম্নাংশ ছিল| টলেমির ভূগোল থেকে সম্ভবত চতুর্দশ শতকের মধ্যভাগে গ্রেগোরাস প্রথম ইউরোপের একটি মানচিত্র আঁকেন| 1448 সালে "Andreas walsperger" টলেমির মানচিত্রের ভিত্তিতে একটি বিশ্ব মানচিত্র প্রস্তুত করেন| এই মানচিত্রে ইউরোপের আকার আগের তুলনায় ছোট এবং এখানে খ্রিস্টানদের জগতের বাইরে অখ্রিস্টানদের কথাও বলা হয়েছে|
ষোড়শ শতাব্দীর অন্যতম প্রধান মানচিত্র হিসাবে বিখ্যাত ছিল পীরিরইস এর মানচিত্র(1513)| পীরিরইসের মানচিত্রে আমেরিকা মহাদেশ অঙ্কিত ছিল| এই শতকের অন্য কোন মানচিত্রে এত নিখুঁতভাবে আমেরিকা দেখানো ছিল না| আরো লক্ষণীয় যে, পীরিরইসের মানচিত্রে দক্ষিণ আমেরিকা ও আফ্রিকাকে পরস্পরের নির্ভুল আপেক্ষিক দ্রাঘিমায় অঙ্কন করা হয়েছিল| পীরিরইস তার "On the sea" গ্রন্থে মানচিত্র অঙ্কনের প্রণালী লিপিবদ্ধ করেছিলেন |
আধুনিক মানচিত্র তৈরির ইতিহাসে গারহার্ডাস মার্কেটর নাম বিশেষ উল্লেখযোগ্য| তিনি সম্রাট পঞ্চম চার্লসের জন্য অনেক গ্লোব তৈরি করে দিয়েছিলো| তিনি টলেমির একটা সংশোধিত সংস্করণ প্রকাশ করেন এবং তিনি ইউরোপের প্রথম আধুনিক মানচিত্র প্রস্তুত করেন, এটি 1595 সালে প্রকাশিত হয়| মার্কেটর মানচিত্রে অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ অঙ্কন করেছিলেন, যা নৌ অভিযানে বিশেষ সহায়ক হয়েছিল|
পৃথিবীর মানচিত্র |
পঞ্চদশ-ষোড়শ শতকে নতুন মানচিত্র নির্মাণ ও ভৌগলিক অভিযানের সম্পর্কটি ছিল পরিপূরক, কারণ একই সঙ্গে অভিযান থেকে আহরিত তথ্য মানচিত্রকে আরো পূর্ণাঙ্গ ও সঠিক করতে সাহায্য করেছিল|মধ্যযুগীয় পাণ্ডুলিপিতে পাওয়া অনেক মানচিত্র সংরক্ষিত আছে| কিন্তু প্রাচীন যুগে অঙ্কিত মানচিত্র পাওয়া যায়নি| রেনেসাঁসের যুগে টলেমির লেখা ভূগোল পুনরাবিষ্কার হওয়ার পর তার মানচিত্র গুলির পুনর্নির্মাণের কাজ শুরু হয়|
পঞ্চদশ শতকে ইতালীয় নাবিকরা চার্ট তৈরি করতেন| এগুলি "পোর্টোলান" মানচিত্র বলে পরিচিত ছিল| এগুলি ছিল জাহাজ পরিক্রমার বাস্তব অভিজ্ঞতার উপর তৈরি করা ছক বিশেষ| প্রায় সমগ্র ভূমধ্যসাগর ও কৃষ্ণ সাগর আঁকা ছিল| আর কিছুটা উত্তর ইউরোপ ও আফ্রিকার নিম্নাংশ ছিল| টলেমির ভূগোল থেকে সম্ভবত চতুর্দশ শতকের মধ্যভাগে গ্রেগোরাস প্রথম ইউরোপের একটি মানচিত্র আঁকেন| 1448 সালে "Andreas walsperger" টলেমির মানচিত্রের ভিত্তিতে একটি বিশ্ব মানচিত্র প্রস্তুত করেন| এই মানচিত্রে ইউরোপের আকার আগের তুলনায় ছোট এবং এখানে খ্রিস্টানদের জগতের বাইরে অখ্রিস্টানদের কথাও বলা হয়েছে|
ষোড়শ শতাব্দীর অন্যতম প্রধান মানচিত্র হিসাবে বিখ্যাত ছিল পীরিরইস এর মানচিত্র(1513)| পীরিরইসের মানচিত্রে আমেরিকা মহাদেশ অঙ্কিত ছিল| এই শতকের অন্য কোন মানচিত্রে এত নিখুঁতভাবে আমেরিকা দেখানো ছিল না| আরো লক্ষণীয় যে, পীরিরইসের মানচিত্রে দক্ষিণ আমেরিকা ও আফ্রিকাকে পরস্পরের নির্ভুল আপেক্ষিক দ্রাঘিমায় অঙ্কন করা হয়েছিল| পীরিরইস তার "On the sea" গ্রন্থে মানচিত্র অঙ্কনের প্রণালী লিপিবদ্ধ করেছিলেন |
আধুনিক মানচিত্র তৈরির ইতিহাসে গারহার্ডাস মার্কেটর নাম বিশেষ উল্লেখযোগ্য| তিনি সম্রাট পঞ্চম চার্লসের জন্য অনেক গ্লোব তৈরি করে দিয়েছিলো| তিনি টলেমির একটা সংশোধিত সংস্করণ প্রকাশ করেন এবং তিনি ইউরোপের প্রথম আধুনিক মানচিত্র প্রস্তুত করেন, এটি 1595 সালে প্রকাশিত হয়| মার্কেটর মানচিত্রে অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ অঙ্কন করেছিলেন, যা নৌ অভিযানে বিশেষ সহায়ক হয়েছিল|
তথ্যসূত্র
- অধ্যাপক গোপালকৃষ্ণ পাহাড়ি, "ইউরোপের ইতিবৃত্ত"
- C. Warren Hollister, "Medieval Europe: A Short History".
সম্পর্কিত বিষয়
সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ| আশাকরি আমাদের এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগলো| আপনার যদি এই পোস্টটি সম্বন্ধে কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে নিচে কমেন্টের মাধ্যমে আমাদেরকে জানাতে পারেন এবং অবশ্যই পোস্টটি শেয়ার করে অপরকে জানতে সাহায্য করুন|
.......................................