ষোড়শ শতাব্দীতে অর্থনৈতিক দিক দিয়ে পূর্ব ইউরোপ পশ্চিম ইউরোপের তুলনায় পিছিয়ে ছিল| এই সময় পূর্ব ইউরোপে শিল্প পণ্যের উৎপাদন ছিল কম এবং উৎপাদনের উপর সামন্তপ্রভুদের প্রভাব ছিল| এই সময় ইউরোপের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা সামন্তপ্রভুদের স্বার্থের অনুকূল ছিল এবং এর ভিত্তি ছিল বেগার শ্রমদান প্রথা|
এই সময় সামন্তপ্রভুরা ভূমিদাসদের শোষণ করে তাদের লাভের মাত্রা বজায় রেখেছিলেন| সমগ্র উৎপাদন ব্যবস্থার উপর সামন্তপ্রভুদের প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণ ছিল এবং তাদের উৎপাদন ব্যবস্থার প্রধান উপকরণ ছিল ভূমিদাস প্রথা|
দিনমজুর দিয়ে চাষ করলে সামন্তপ্রভুদের লাভের পরিমাণ কম হতো| তাই তারা ভূমিদাস দিয়ে চাষ করিয়ে লাভের মাত্রা বাড়িয়েই চলছিল| তাছাড়া বেগার শ্রম সহজলভ্য ছিল বলে ভূস্বামীরা উৎপাদন পদ্ধতির পরিবর্তন করতে চায়নি, এমনকি তারা প্রযুক্তির প্রয়োগও চায়নি|
ষোড়শ শতকে উপনিবেশিক সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার পর ইউরোপের বিভিন্ন দেশে শ্রম শক্তির অভাব দূর করার জন্য সুদূর আফ্রিকা থেকে ক্রীতদাস নিয়ে আসা হতো| এমনকি আমেরিকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে ক্রীতদাসদের নিয়োগ করা হতো| সপ্তদশ শতকে এসে দাস ব্যবসা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হয়ে ওঠে|
ষোড়শ শতকে যেখানে প্রতি বছর আনুমানিক 3800 জন ক্রীতদাসকে আফ্রিকা থেকে নিয়ে আসা হতো| সপ্তদশ শতকে তা বেড়ে হয়েছিল বছরে 24100 জন| অনুমান করা হয় যে, সপ্তদশ শতকের মধ্যে প্রায় 20 লক্ষ আফ্রিকান নাগরিককে ক্রীতদাস হিসাবে আমেরিকায় আনা হয়েছিল|
ক্রীতদাসরা সকলেই কৃষ্ণকায় ছিলেন এমনটাই নয়, ষোড়শ শতকের ইউরোপের অনেক কৃষকই স্বাধীনতা হারিয়ে ভূমিদাসে পরিণত হয়েছিল| আবার ঋণ জালে জর্জরিত রাশিয়ার বহু কিছু কৃষকই স্বেচ্ছায় ভূমিদাসত্ব গ্রহণ করেছিল|
দাস বাণিজ্যের জন্য Asiento নামে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করতে হতো| একজন কন্ট্রাক্টর যিনি সমগ্র দাস বাণিজ্য সংগঠিত করতেন, তিনিই এই চুক্তি স্বাক্ষর করতেন| সরকার তাকে তার অধীনে সাব-কন্ট্রাকটারদের লাইসেন্স বিক্রি করার দায়িত্ব দিয়েছিল| এর থেকে যে অর্থ প্রাপ্তি হতো তা রাজকোষে প্রেরণ করা হতো| দাস বাণিজ্যের এই দালাল ও উপদালাল আফ্রিকা থেকে আমেরিকাতে সরাসরি জাহাজে করে দাসদের প্রেরণ করতো| প্রয়োজনে রক্ষাবাহিনীও প্রেরণ করা হতো| বুয়েনোস এর্য়াসের বন্দরে দাসদের একত্রিত করা হতো| রাজার ইচ্ছামত দালালরা নির্দিষ্ট সংখ্যক দাসদের নির্দিষ্ট বন্দরে প্রেরণ করতো, যেখানে তাদের প্রয়োজন ছিল|
ক্রীতদাসরা সকলেই কৃষ্ণকায় ছিলেন এমনটাই নয়, ষোড়শ শতকের ইউরোপের অনেক কৃষকই স্বাধীনতা হারিয়ে ভূমিদাসে পরিণত হয়েছিল| আবার ঋণ জালে জর্জরিত রাশিয়ার বহু কিছু কৃষকই স্বেচ্ছায় ভূমিদাসত্ব গ্রহণ করেছিল|
দাস বাণিজ্যের জন্য Asiento নামে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করতে হতো| একজন কন্ট্রাক্টর যিনি সমগ্র দাস বাণিজ্য সংগঠিত করতেন, তিনিই এই চুক্তি স্বাক্ষর করতেন| সরকার তাকে তার অধীনে সাব-কন্ট্রাকটারদের লাইসেন্স বিক্রি করার দায়িত্ব দিয়েছিল| এর থেকে যে অর্থ প্রাপ্তি হতো তা রাজকোষে প্রেরণ করা হতো| দাস বাণিজ্যের এই দালাল ও উপদালাল আফ্রিকা থেকে আমেরিকাতে সরাসরি জাহাজে করে দাসদের প্রেরণ করতো| প্রয়োজনে রক্ষাবাহিনীও প্রেরণ করা হতো| বুয়েনোস এর্য়াসের বন্দরে দাসদের একত্রিত করা হতো| রাজার ইচ্ছামত দালালরা নির্দিষ্ট সংখ্যক দাসদের নির্দিষ্ট বন্দরে প্রেরণ করতো, যেখানে তাদের প্রয়োজন ছিল|
তথ্যসূত্র
- Hugh Thomas, "The Slave Trade: History of the Atlantic Slave Trade, 1440-1870".
- Jesse, Jr. Torrey, "American Slave Trade".
সম্পর্কিত বিষয়
সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ| আশাকরি আমাদের এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগলো| আপনার যদি এই পোস্টটি সম্বন্ধে কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে নিচে কমেন্টের মাধ্যমে আমাদেরকে জানাতে পারেন এবং অবশ্যই পোস্টটি শেয়ার করে অপরকে জানতে সাহায্য করুন|
.......................................