"Theocracy" বা "দেবতন্ত্র" শব্দটির উৎপত্তি গ্রিক শব্দ Theous থেকে, যার অর্থ হল ঈশ্বর| দেবতান্ত্রিক বা ধর্মাশ্রয়ী রাষ্ট্র তত্ত্বগতভাবে সরাসরি ঈশ্বর কর্তৃক কিংবা তার প্রতিনিধি হিসাবে রাজন্য শ্রেণি দ্বারা শাসিত হয়|
একটি ধর্মাশ্রয়ী রাষ্ট্রে সর্বশক্তিমান ঈশ্বর সার্বভৌম কর্তৃত্বের অধিকারী| এই ধরনের রাষ্ট্রে ধর্মীয় আইন চূড়ান্ত|
ব্যক্তির ধর্মাশ্রয়ী রাষ্ট্র অনিবার্য বৈশিষ্ট্যগুলি হল নিম্নরূপ,-
- সর্বশক্তিমান ঈশ্বর সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী|
- যেখানে মানব সৃষ্টির আইনের পরিবর্তে ঈশ্বরের সৃষ্টি বিধান হিসেবে প্রযুক্ত হয়|
- অদৃশ্যমান ঈশ্বরের প্রতিনিধি হিসেবে পুরোহিত শ্রেণী ব্যক্তিগত বা গোষ্ঠীগত ভাবে রাষ্ট্রীয় কার্য সম্প্রদান করেন|
তথ্যসূত্র
- সতীশ চন্দ্র, "মধ্যযুগে ভারত"
- Mohammad Habib, "Studies in Medieval Indian Polity and Culture"
সম্পর্কিত বিষয়
- 1707 থেকে 1740 সালের মধ্যে মুঘল রাজ দরবারে বিভিন্ন দলগুলির উন্নতি এবং তাদের রাজনীতি (আরো পড়ুন)
- মুঘল আমলে সেচ ব্যবস্থা (আরো পড়ুন)
- মুঘল ভারতের ব্যাংকার এবং ব্যবসায়ী সম্প্রদায় (আরো পড়ুন)
সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ| আশাকরি আমাদের এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগলো| আপনার যদি এই পোস্টটি সম্বন্ধে কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে নিচে কমেন্টের মাধ্যমে আমাদেরকে জানাতে পারেন এবং অবশ্যই পোস্টটি শেয়ার করে অপরকে জানতে সাহায্য করুন|
......................................................