পাল যুগে বিশেষ করে পাল রাজাদের পৃষ্ঠপোষকতায় ও আর্থিক সাহায্যের জন্য এই যুগে সাহিত্য, শিক্ষা এবং সংস্কৃতির এক সুন্দর পীঠস্থানে পরিণত হয়েছিল|
পাল রাজাদের মধ্যে অনেকেই সাহিত্য ও সংস্কৃতি রূপে গণ্য হলেও এদের মধ্য থেকে তিনি বিশেষ ভাবে খ্যাতি তথা সম্মান পেয়েছিলেন, তিনি হলেন পাল রাজা দেবপাল|
পাল রাজাদের মধ্যে অনেকেই সাহিত্য ও সংস্কৃতি রূপে গণ্য হলেও এদের মধ্য থেকে তিনি বিশেষ ভাবে খ্যাতি তথা সম্মান পেয়েছিলেন, তিনি হলেন পাল রাজা দেবপাল|
এই দেবপালের সহযোগিতায় পাল যুগের বিক্রমশীলা মহাবিহার ও নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় মতো দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল| এইসব বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন বিষয়, যেমন- গণিত শাস্ত্র, অর্থশাস্ত্র, জ্যোতিষশাস্ত্রের মতো বহু বিষয়ে পড়াশোনা করা হতো|
নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশ-বিদেশ থেকে বহু ছাত্র-ছাত্রী পড়াশোনা করতে আসতেন, ফলে এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলির নাম বাইরে ছড়িয়ে পড়ে এবং সাথে সাথে দেবপাল তথা পাল বংশ বিশ্বজনীন হয়ে উঠে|
এই সময়ে পাল যুগ শিক্ষা-সংস্কৃতির এক গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পরিণত হয়| পরবর্তীকালে রাজা দেবপাল ইন্দ্রদেব নামে একজন বৌদ্ধ শাস্ত্রবিদ পণ্ডিতকে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রূপে নিযুক্ত করেন|
তথ্যসূত্র
- সুনীল চট্টোপাধ্যায় "প্রাচীন ভারতের ইতিহাস"
- Upinder Singh, "A History of Ancient and Early Medieval India: From the Stone Age to the 12th Century".
সম্পর্কিত বিষয়
- নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় টীকা (আরো পড়ুন)
- বৈদিক এবং ঋক বৈদিক যুগে প্রশাসনিক ব্যবস্থা (আরো পড়ুন)
- প্রাচীন ভারতীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য (আরো পড়ুন)
সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ| আশাকরি আমাদের এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগলো| আপনার যদি এই পোস্টটি সম্বন্ধে কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে নিচে কমেন্টের মাধ্যমে আমাদেরকে জানাতে পারেন এবং অবশ্যই পোস্টটি শেয়ার করে অপরকে জানতে সাহায্য করুন|
.......................................