চীনা ঐতিহ্য তথা চীনা সভ্যতার প্রাচীন ইতিহাসে কনফুসীয় পন্থার প্রভাব ছিল অপরিসীম| কনফুসীয় পন্থার প্রবক্তা ছিলেন কনফুসিয়াস|
ফেয়ার ব্যাঙ্ক লিখেছেন- কনফুসিয়াস ছিলেন চীনের প্রথম পেশাদার শিক্ষক ও দার্শনিক| চৌ রাজত্বে 551 খ্রিস্টপূর্বাব্দে কনফুসিয়াসের জন্ম এবং আনুমানিক 479 খ্রিস্টপূর্বাব্দে তিনি মারা যান| মোটামুটিভাবে বলা যায়, তিনি ছিলেন গৌতম বুদ্ধের সমসাময়িক|
কনফুসীয় রীতির অনুশাসনে বলা হয়েছে- নৈতিক শিক্ষা, আচার-আচরণ, ধর্মানুষ্ঠান প্রভৃতি শিক্ষার প্রধান ক্ষেত্র হল পরিবার| পিতাই ছিলেন পরিবারের কর্তা, পিতার মৃত্যুর পর জ্যেষ্ঠ পুত্র সংসারের দায়িত্ব গ্রহণ করতেন| জ্যেষ্ঠর প্রতি কনিষ্ঠের আনুগত্য এবং কনিষ্ঠের প্রতি জ্যেষ্ঠর কর্তব্য নিষ্ঠা- এই ছিল কনফুসিয়াসের বিধান|
কনফুসীয় পন্থায় বিবাহের মূল উদ্দেশ্য ছিল বংশরক্ষা| বংশ রক্ষার তাগিদে পুত্র সন্তান জন্ম দেওয়ার বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হতো| কনফুসীয় মতাদর্শে বলা হয়েছে যে, স্বর্গের আদেশ অনুযায়ী একজন শাসক তত দিনই শাসন করার অধিকারী, যতদিন তিনি সুশাসনের মাধ্যমে প্রজাদের পরিতৃপ্ত করতে পারবেন|
কনফুসীয় মতাদর্শে অত্যাচার ও বিরোধের কোন স্থান নেই| এখানে চুক্তি প্রয়োগ করে মধ্যস্থতা ও সমঝোতার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে| এই মতাদর্শে স্বর্গ-নরক, ধর্মীয় ক্রিয়া-কলাপ ইত্যাদি কোন কিছুই উল্লেখ নেই| এই মতাদর্শে শ্রেষ্ঠ মানুষ হওয়ার কথা বলা হয়েছে| পরোপকারী ব্যক্তি, অনুগত শ্রদ্ধাশীল পুত্র, প্রীতিময়ী ভ্রাতা- এরাই ছিলেন শ্রেষ্ঠ মানুষ| এই মতাদর্শে ধর্মীয় অনুশাসনের পরিবর্তে জীবনের অগ্রসর হওয়ার দর্শন প্রচার করা হয়েছে|
কনফুসীয় পন্থায় বিবাহের মূল উদ্দেশ্য ছিল বংশরক্ষা| বংশ রক্ষার তাগিদে পুত্র সন্তান জন্ম দেওয়ার বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হতো| কনফুসীয় মতাদর্শে বলা হয়েছে যে, স্বর্গের আদেশ অনুযায়ী একজন শাসক তত দিনই শাসন করার অধিকারী, যতদিন তিনি সুশাসনের মাধ্যমে প্রজাদের পরিতৃপ্ত করতে পারবেন|
কনফুসীয় মতাদর্শে অত্যাচার ও বিরোধের কোন স্থান নেই| এখানে চুক্তি প্রয়োগ করে মধ্যস্থতা ও সমঝোতার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে| এই মতাদর্শে স্বর্গ-নরক, ধর্মীয় ক্রিয়া-কলাপ ইত্যাদি কোন কিছুই উল্লেখ নেই| এই মতাদর্শে শ্রেষ্ঠ মানুষ হওয়ার কথা বলা হয়েছে| পরোপকারী ব্যক্তি, অনুগত শ্রদ্ধাশীল পুত্র, প্রীতিময়ী ভ্রাতা- এরাই ছিলেন শ্রেষ্ঠ মানুষ| এই মতাদর্শে ধর্মীয় অনুশাসনের পরিবর্তে জীবনের অগ্রসর হওয়ার দর্শন প্রচার করা হয়েছে|
তথ্যসূত্র
- অমিত ভট্টাচার্য, "চীনের রূপান্তরের ইতিহাস 1840-1969"
- Jonathan Fenby, "The Penguin History of Modern China".
সম্পর্কিত বিষয়
- তাওবাদ কি (আরও পড়ুন)
- নানকিং চুক্তি কি (আরো পড়ুন)
- চীনের ইতিহাসে মুৎসুদ্দি শ্রেণীর সংক্ষিপ্ত আলোচনা (আরো পড়ুন)
সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ| আশাকরি আমাদের এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগলো| আপনার যদি এই পোস্টটি সম্বন্ধে কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে নিচে কমেন্টের মাধ্যমে আমাদেরকে জানাতে পারেন এবং অবশ্যই পোস্টটি শেয়ার করে অপরকে জানতে সাহায্য করুন|
.......................................