1866 সালের পর থেকে ফ্রান্স ও প্রাশিয়ার মধ্যে সম্পর্কের ক্রমিক অবনতি ঘটতে থাকে| মাঝে মাঝে উভয় রাষ্ট্রের মধ্যে যুদ্ধের সম্ভাবনা দেখা দিলেও বিসমার্ক নিজ থেকে যুদ্ধ ঘোষণা করতে চায়নি| তিনি চেয়েছিলেন ফ্রান্সই এব্যাপারে উদ্যোগ নিক, কারণ সেক্ষেত্রে তিনি ইউরোপকে বা ইউরোপে জনমতকে বুঝাতে পারতেন যে, প্রাশিয়া আত্মরক্ষার্থে যুদ্ধে অবতীর্ণ হতে বাধ্য হয়েছে| যুদ্ধ অনিবার্য বুঝাতে পেরে বিসমার্ক ফ্রান্সকে মিত্রহীন করতে সচেষ্ট হন|
বিসমার্ক স্পেনের সিংহাসনে প্রাশিয়ার হোহেন জোলার্ন বংশীয় প্রিন্স লিওপোল্ডকে বসানোর ব্যবস্থা করেন| এজন্য ফ্রান্সে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়| 1870 সালের 13 ই জুলাই ফরাসি রাষ্ট্রদূত বেনোদিতি স্পেনের সিংহাসনের উত্তরাধিকার সংক্রান্ত সমস্যা সম্পর্কে আলোচনার জন্য প্রাশিয়ার সম্রাট প্রথম উইলিয়ামের সাথে এমস নামক স্থানে সাক্ষাৎ করেন| ঐ দিনই এই সাক্ষাৎকারের পুরো বিষয়টি উইলিয়াম টেলিগ্রাম মারফত প্রধানমন্ত্রী বিসমার্ককে জানান| ইতিহাসে এই টেলিগ্রাম "এমস টেলিগ্রাম" নামে খ্যাত|
বিসমার্ক এই টেলিগ্রামের কিছু অংশ বাদ দিয়ে এমনভাবে প্রকাশ করেন, তাতে মনে হয় ফরাসি রাষ্ট্রদূত প্রাশিয়ার সম্রাটের কাছে অপমানিত হয়েছে| এমস টেলিগ্রামের এই বিকৃত রূপ ফরাসি জনগণের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করে এবং তারা তাদের জাতীয় অপমানের প্রতিশোধ গ্রহণের জন্য প্রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার দাবি করতে থাকে| বিসমার্ক এই সুযোগের অপেক্ষায় ছিলেন| অতঃপর ফ্রান্স 1870 সালের 15 ই জুলাই প্রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে, যা "সেডান যুদ্ধ" নামে পরিচিত| এই যুদ্ধে ফ্রান্স পরাজিত হয়ে "ফ্রাঙ্কি কোটের সন্ধি" স্বাক্ষরিত করে|
ইউরোপের মানচিত্র |
বিসমার্ক স্পেনের সিংহাসনে প্রাশিয়ার হোহেন জোলার্ন বংশীয় প্রিন্স লিওপোল্ডকে বসানোর ব্যবস্থা করেন| এজন্য ফ্রান্সে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়| 1870 সালের 13 ই জুলাই ফরাসি রাষ্ট্রদূত বেনোদিতি স্পেনের সিংহাসনের উত্তরাধিকার সংক্রান্ত সমস্যা সম্পর্কে আলোচনার জন্য প্রাশিয়ার সম্রাট প্রথম উইলিয়ামের সাথে এমস নামক স্থানে সাক্ষাৎ করেন| ঐ দিনই এই সাক্ষাৎকারের পুরো বিষয়টি উইলিয়াম টেলিগ্রাম মারফত প্রধানমন্ত্রী বিসমার্ককে জানান| ইতিহাসে এই টেলিগ্রাম "এমস টেলিগ্রাম" নামে খ্যাত|
বিসমার্ক এই টেলিগ্রামের কিছু অংশ বাদ দিয়ে এমনভাবে প্রকাশ করেন, তাতে মনে হয় ফরাসি রাষ্ট্রদূত প্রাশিয়ার সম্রাটের কাছে অপমানিত হয়েছে| এমস টেলিগ্রামের এই বিকৃত রূপ ফরাসি জনগণের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করে এবং তারা তাদের জাতীয় অপমানের প্রতিশোধ গ্রহণের জন্য প্রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার দাবি করতে থাকে| বিসমার্ক এই সুযোগের অপেক্ষায় ছিলেন| অতঃপর ফ্রান্স 1870 সালের 15 ই জুলাই প্রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে, যা "সেডান যুদ্ধ" নামে পরিচিত| এই যুদ্ধে ফ্রান্স পরাজিত হয়ে "ফ্রাঙ্কি কোটের সন্ধি" স্বাক্ষরিত করে|
তথ্যসূত্র
- অধ্যাপক গোপালকৃষ্ণ পাহাড়ি, "ইউরোপের ইতিবৃত্ত"
- Adam Zamoyski, "Rites of Peace: The Fall of Napoleon and the Congress of Vienna".
সম্পর্কিত বিষয়
- ভিয়েনা কংগ্রেসের নীতি ও কাজ, ১৮১৫ (আরো পড়ুন)
- নেপোলিয়ন কে কেন ফরাসি বিপ্লবের শিশু বলা হয় (আরো পড়ুন)
- ইংল্যান্ডের উপর নেপোলিয়নের মহাদেশীয় অবরোধ ব্যবস্থা (আরো পড়ুন)
সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ| আশাকরি আমাদের এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগলো| আপনার যদি এই পোস্টটি সম্বন্ধে কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে নিচে কমেন্টের মাধ্যমে আমাদেরকে জানাতে পারেন এবং অবশ্যই পোস্টটি শেয়ার করে অপরকে জানতে সাহায্য করুন|
.......................................