নানকিং এর চুক্তি(1842) বা তার পরবর্তী চুক্তি গুলির মাধ্যমে পাশ্চাত্য শক্তিবর্গ চীনে যেসব বাণিজ্যিক সুযোগ-সুবিধা লাভ করেছিল, তাতে তারা সন্তুষ্ট ছিল না| 1856 সালে ব্রিটেন, ফ্রান্স, আমেরিকা একযোগে চীনের কাছে চুক্তি সংশোধনের দাবি জানায়| কিন্তু চীন সরকার পাশ্চাত্য শক্তিগুলির সঙ্গে এবিষয়ে আলোচনায় বসতে রাজি ছিলেন না|
স্বাভাবিকভাবেই পাশ্চাত্য শক্তিগুলির মধ্যে তীব্র অসন্তোষ দেখা দেয়| এই সময় "অ্যারো" নামে একটি ক্ষুদ্র বাণিজ্য জাহাজের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্রিটেন ও চীনের মধ্যে যুদ্ধ আসন্ন হয়ে উঠে|
লর্চা অ্যারো ছিল ইউরোপীয় কাঠামো অথচ চীনা পাল বিশিষ্ট একটি জাহাজ| এই জাহাজের মালিক ছিলেন হংকংবাসী এক চীনা নাগরিক| জাহাজটি হংকং এর একটি ব্রিটিশ কোম্পানির কাছে রেজিস্ট্রিকৃত ছিল এবং জাহাজটিতে ব্রিটিশ পতাকা উড্ডীন ছিলো|
1856 সালের 4 ই অক্টোবর জনৈক কুখ্যাত জলদস্যুকে গ্রেফতার করার উদ্দেশ্যে 4 জন চীনা অফিসার ও 60 জন সৈন্য জাহাজটিতে উঠে পড়েন| 12 জন চীনা নাবিককে গ্রেফতার করা হয়| ধস্তা-ধস্তিতে ব্রিটিশ পতাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়|
12 ই অক্টোবর ক্যান্টনের ব্রিটিশ কনসাল হ্যারি পাকর্স ঘটনাটির তীব্র প্রতিবাদ করেন এবং চীনা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্রিটিশ পতাকা অবমাননার অভিযোগ এনে লিখিত ক্ষমা প্রার্থনার দাবি করেন| কিন্তু চীনা কর্তৃপক্ষ এই দাবি নাকচ করলে ব্রিটিশ সরকার "অ্যারো" সংক্রান্ত ঘটনাকে যুদ্ধের(দ্বিতীয় আফিম যুদ্ধ, 1856-1860) অজুহাতে হিসাবে ব্যবহার করে|
তথ্যসূত্র
- অমিত ভট্টাচার্য, "চীনের রূপান্তরের ইতিহাস 1840-1969"
- Jonathan Fenby, "The Penguin History of Modern China".
সম্পর্কিত বিষয়
- তাওবাদ কি (আরও পড়ুন)
- নানকিং চুক্তি কি (আরো পড়ুন)
- চীনের ইতিহাসে মুৎসুদ্দি শ্রেণীর সংক্ষিপ্ত আলোচনা (আরো পড়ুন)
সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ| আশাকরি আমাদের এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগলো| আপনার যদি এই পোস্টটি সম্বন্ধে কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে নিচে কমেন্টের মাধ্যমে আমাদেরকে জানাতে পারেন এবং অবশ্যই পোস্টটি শেয়ার করে অপরকে জানতে সাহায্য করুন|
.......................................