Sphere of influence কথাটির অর্থ হলো প্রভাবাধীন অঞ্চল| প্রথম ও দ্বিতীয় আইকেন যুদ্ধে চীনের শোচনীয় পরাজয় এবং বিশেষত 1860 সালে পিকিং এর সর্বনাশা সন্ধির পর চীনের বুকে ঘোরতর দুর্নীতি নেমে আছে|
নানকিং ও টিয়েনসিন চুক্তি দ্বারা প্রাপ্ত মোট 16 টি বন্দরে ইউরোপীয় বণিকদের অবাধ আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এইসব বন্দর সংলগ্ন এলাকায় তারা নিজ নিজ প্রভাবাধীন বলয় গড়ে তুলে নিজ নিজ আদালত, প্রশাসন ও পুলিশ বাহিনী গঠন করে|
1859 সালে সুয়েজ খাল উন্মুক্ত হলে এই তৎপরতা আরো বৃদ্ধি পায়| পাশ্চাত্য শক্তিবর্গ কর্তৃক চীনে কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার এই উদ্যোগকে মূলত দুই ভাগে ভাগ করা যায়- 1860-1894 সালে কালপর্বে তারা চীনের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে নিজ প্রভাবাধীন বলয় গড়ে তুলে এবং 1894-95 সালে চীন-জাপান যুদ্ধের পরবর্তী অধ্যায়ে তারা চীনের অভ্যন্তরস্থ নানা স্থান দখল করে নিজ নিজ প্রভাব বলয় গড়ে তুলতে থাকে|
তথ্যসূত্র
- অমিত ভট্টাচার্য, "চীনের রূপান্তরের ইতিহাস 1840-1969"
- Jonathan Fenby, "The Penguin History of Modern China".
সম্পর্কিত বিষয়
- তাওবাদ কি (আরও পড়ুন)
- নানকিং চুক্তি কি (আরো পড়ুন)
- চীনের ইতিহাসে মুৎসুদ্দি শ্রেণীর সংক্ষিপ্ত আলোচনা (আরো পড়ুন)
সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ| আশাকরি আমাদের এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগলো| আপনার যদি এই পোস্টটি সম্বন্ধে কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে নিচে কমেন্টের মাধ্যমে আমাদেরকে জানাতে পারেন এবং অবশ্যই পোস্টটি শেয়ার করে অপরকে জানতে সাহায্য করুন|
.......................................