1890 সালে ক্ষমতাচ্যুত করার সাথে সাথে জার্মানির সম্রাট কাইজার দ্বিতীয় উইলিয়াম বিশ্ব রাজনীতিতে এক সক্রিয় ভূমিকায় অবতীর্ণ হন| তিনি বিসমার্কের অনুসৃত সাবধানী ও বাস্তবসম্মত পররাষ্ট্র নীতি পরিত্যাগ করেন| বিসমার্ক জার্মানিকে পরিতৃপ্ত দেশ বলে ঘোষণা করে জার্মানির আতঙ্ক থেকে বিশ্ব রাজনীতিকে মুক্ত করেছিলেন|
কিন্তু কাইজার দ্বিতীয় উইলিয়াম জার্মানিকে আদৌ পরিতৃপ্ত দেশ বলে মনে করতেন না| তাই তিনি সমগ্র পৃথিবীতে জার্মানির প্রাধান্য স্থাপন করতে সচেষ্ট হন| তার পররাষ্ট্র নীতির মূল বক্তব্য ছিল, শক্তিরূপে জার্মানিকে প্রতিষ্ঠা করা| এইজন্য তার অনুসৃত পররাষ্ট্র নীতিকে "বিশ্বনীতি" বা "ওয়েল্ট পলিটিক" বলা হয়|
জার্মানীকে বিশ্ব রাষ্ট্র রূপে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য কাইজার নৌ-শক্তির উন্নতি সাধন ও উপনিবেশ বিস্তারে সচেষ্ট হন| তিনি অস্ট্রিয়া, পোল্যান্ড, লুক্সেমবার্গ প্রভৃতি দেশ নিয়ে বৃহত্তর জার্মান রাষ্ট্র গঠন এবং ইউরোপের বাইরে নতুন নতুন উপনিবেশ স্থাপন করে বাজার তৈরির পরিকল্পনা করেন|
ওয়েল্ট পলিটিক এর অন্যতম প্রচারক ম্যাক্স ওয়েবারের মতে, "জার্মান ইতিহাসের অনিবার্য পরিণতি হলো জার্মানির বিশ্ব আধিপত্য| যেভাবে ব্রান্ডেনবার্গ রাজ্য প্রাশিয়াতে এবং প্রাশিয়া জার্মানিতে পরিণত হয়, সেভাবে জার্মানি একটি বিশ্ব শক্তিতে পরিণত হবে"|
.......................................
তথ্যসূত্র
- Peter Watson, "The German Genius".
- Ghosh Peu, "International Relations".
সম্পর্কিত বিষয়
- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী সময় উপনিবেশবাদের পতন তথা এর গুরুত্ব (আরো পড়ুন)
- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে জার্মানির বিভাজন তথা বিশ্ব রাজনীতিতে তার প্রভাব (আরো পড়ুন)
- ইতালিতে ফ্যাসিবাদের উত্থানের কারণ (আরো পড়ুন)
সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ| আশাকরি আমাদের এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগলো| আপনার যদি এই পোস্টটি সম্বন্ধে কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে নিচে কমেন্টের মাধ্যমে আমাদেরকে জানাতে পারেন এবং অবশ্যই পোস্টটি শেয়ার করে অপরকে জানতে সাহায্য করুন|