দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার রাজনীতির এক সন্ধিক্ষণে ও সংকট কালে আসিয়ান বা ASEAN এর জন্ম| আসিয়ানের পুরো নাম হলো- "Association of South-East Nations"|
ইন্দোচীন এর অশান্ত ও উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে যাতে গ্রাস করতে না পারে, সে কারণেই এঅঞ্চলের পাঁচটি দেশ 1967 সালের 4ই আগস্ট ব্যাংককে মিলিত হয় আশিয়ান গড়ে তুলেন| এই পাঁচটি দেশ হল- ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও ফিলিপিন্স/ফিলিপাইন|
পরবর্তীকালে আরো কয়েকটি দেশ আসিয়ানের সদস্যভুক্ত হয়, যেমন- ব্রুনাই(1984), ভিয়েতনাম(1995), লাওস, কম্বোডিয়া ও মায়ানমার(1997)| বর্তমানে এর সদস্য সংখ্যা 10 এবং ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় এর স্থায়ী সচিবালয় অবস্থিত|
ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তা |
শান্তি স্থাপন করা বা উত্তেজনা হ্রাস ঘটানোই আসিয়ান এর মূল লক্ষ্য হলেও অর্থনৈতিক লক্ষ্যাজর্নের আকাঙ্ক্ষাকে কোনভাবে গৌণ বলে মনে করা চলে না| দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় যে বিপুল পরিমাণ প্রাকৃতিক সম্পদ পাওয়া যায়, তার সদ্ব্যবহারের মাধ্যমে দ্রুত বিকাশের লক্ষ্যে উপনীত হওয়া আসিয়ানের অন্যতম উদ্দেশ্য|
আসিয়ানের আরেকটি উদ্দেশ্য হল- এই অঞ্চলে কমিউনিস্ট সম্প্রসারণ প্রতিহত করা| এশিয়ার ভুক্ত দেশগুলো বিভিন্ন বিষয়ে যেমন- বিজ্ঞান-প্রযুক্তি, খাদ্য-কৃষি, শিল্প-বাণিজ্য, পরিবহন ও সংবাদ আদান-প্রদান সংক্রান্ত প্রকল্প গ্রহণ করে নিজেদের ঐক্যকে ধরে রেখেছে|
আবার আসিয়ানের রাজনৈতিক গুরুত্বকেও অবহেলা করা যায় না| আসিয়ানের সদস্যগণ তাদের শীর্ষ সম্মেলনে বিভিন্ন রাজনৈতিক সমস্যা আলোচনা করে তা সমাধানের চেষ্টা করেছে| পরিশেষে বলা যায়, আসিয়ানের সাফল্য বিশ্ব রাজনীতিতে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে|
তথ্যসূত্র
- Pavneet Singh, "International Relations".
- Ghosh Peu, "International Relations".
সম্পর্কিত বিষয়
সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ| আশাকরি আমাদের এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগলো| আপনার যদি এই পোস্টটি সম্বন্ধে কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে নিচে কমেন্টের মাধ্যমে আমাদেরকে জানাতে পারেন এবং অবশ্যই পোস্টটি শেয়ার করে অপরকে জানতে সাহায্য করুন|
.......................................