মুঘল ভারতে নগরের সংখ্যা ছিল খুব কম। গ্রামের সংখ্যাই ছিল বেশি। বাণিজ্য, বাজার, বন্দর, অর্থনৈতিক কাঠামো ইত্যাদিকে কেন্দ্র করেই অধিকাংশ নগরের উত্থান ঘটেছিল। এছাড়া ধর্ম, সংস্কৃতি, সামরিক ও প্রশাসনিক কারণেও কিছু কিছু নগরের উত্থান ঘটে।
|
মহল্লা |
|
উদয়পুর |
|
বিজয়নগর |
সুলতানি যুগে যে নগর গুলি বিশিষ্টতা অর্জন করেছিল, মুঘল আমলে সেইসব নগরগুলি কিছু কিছু ধ্বংস হয়ে পড়েছিল। আবার কিছু কিছু নগর মহানগরে পরিনত হয়েছিল।
মুঘল যুগের নগর গুলি কয়েকটি মহল্লায় বিভক্ত ছিল। মহল্লার প্রধান হিসেবে সন্ত, অভিজাত কাজ করত। এই মহল্লা গুলি সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র ছিল। প্রাচীর দিয়ে ঘেরা এই মহল্লাগুলির দরজা রাত্রে বন্ধ করা হত। মুঘল যুগের পুরোনো ঐতিহ্যবাহীর শহর গুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল- আগ্রা, বিদর, মুলতান, লাহোর ইত্যাদি। প্রশাসনিক শহর হিসেবে গড়ে উঠেছিল- দিল্লি, উদয়পুর, বিজয়নগর, মুর্শিদাবাদ, শাহাজাহানাবাদ ইত্যাদি।
সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠা শহরগুলি হল-আজমীর, নাসিক, কাশী, মথুরা, বেনারস, নবদ্বীপ ইত্যাদি। বন্দর হিসেবে গড়ে ওঠা নগর গুলি ছিল- গোয়া, কালিকট, মুসলিপওম ইত্যাদি।
বানিজ্য হিসেবে গড়ে ওঠা শহরগুলি ছিল- আগ্রা, লাহোর,পাটনা, হুগলি, ঢাকা, আমেদাবাদ ইত্যাদি। তবে একাধিক শহর বিভিন্ন কারণে বিশিষ্টা অর্জন করেছিল, যেগুলি ছিল- দিল্লি, লাহোর, বিজয়নগর, যোধপুর, সুরাট ইত্যাদি।
তথ্যসূত্র
- সতীশ চন্দ্র, "মধ্যযুগে ভারত"
- Shireen Moosvi, "People, Taxation and Trade in Mughal India".
সম্পর্কিত বিষয়