অষ্টাদশ শতকে দ্বিতীয় ভাগ থেকে ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, পর্তুগাল, হল্যান্ড, স্পেন প্রভৃতি ইউরোপীয় শক্তি এশিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে ঔপনিবেশিক সাম্রাজ্য বিস্তার করতে থাকে|
কালক্রমে তাদের শাসন ও শোষণের ব্যতিব্যস্ত/জর্জরিত হয়ে এসব দেশে জাতীয়তাবাদের উন্মেষ হয়| জনসাধারণ ঔপনিবেশিক শাসনের বন্ধন থেকে মুক্তির জন্য উদ্বেল হয়ে উঠে|
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তীকালে এই আন্দোলন আরো তীব্র হয় এবং যুগের বৈশিষ্ট্যই হলো এইসব ঔপনিবেশিক সমাজের বিলোপ সাধন(ডিকলোনাইজেশন বা decolonization)|
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ইংল্যান্ড, ফ্রান্স ও অন্যান্য সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলিকে অর্থনৈতিক দিক থেকে পঙ্গু করে দিয়েছিল| উপনিবেশ ধরে রাখার ক্ষমতা আর তাদের ছিল না| কিছু কিছু উপনিবেশ যুদ্ধের সময়ই হাতছাড়া হয়ে গিয়েছিল| বাকিরা মুক্তির অপেক্ষায় ছিল|
এইসব উপনিবেশ ইংরেজি জানা মধ্যবিত্ত শ্রেণী, জাতীয়তাবাদ এবং স্বাধীনতা স্পৃহার ধারক হয়ে উঠেছিল| এশিয়ার তুলনায় আফ্রিকার জাতীয় আন্দোলন ছিল মন্থর, কিন্তু পরিবর্তনের ঢেউ আফ্রিকাতেও লেগেছিল|
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের ভূমিকা প্রশংসনীয় না থাকলেও তার পরাক্রম পরাধীন জাতিগুলির মনে স্বাধীনতার স্পৃহা জাগিয়ে তুলেছিল| অন্যদিকে প্রত্যক্ষ ঔপনিবেশিকতার দিন শেষ- এই সত্যটি ব্রিটেনের যত তাড়াতাড়ি মেনে নিতে পেরেছিল, ফ্রান্স তা পারেনি|
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ফ্রান্স শোচনীয়ভাবে পিছিয়ে পড়েছিল, সেই লজ্জা ঢাকতে চেয়েছিলো উপনিবেশিক সাম্রাজ্য অটুট রেখে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়নি| তাই দেখা যায়, 1950 এর দশকে যখন ঠান্ডা লড়াই জমে উঠেছিল, তখন পরাধীন দেশগুলোতে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী মুক্তি আন্দোলন তথা নতুন নতুন জাতিরাষ্ট্র গঠনের পথ উন্মুক্ত হয়েছিল|
.......................................
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তীকালে এই আন্দোলন আরো তীব্র হয় এবং যুগের বৈশিষ্ট্যই হলো এইসব ঔপনিবেশিক সমাজের বিলোপ সাধন(ডিকলোনাইজেশন বা decolonization)|
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে |
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে |
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে |
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ইংল্যান্ড, ফ্রান্স ও অন্যান্য সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলিকে অর্থনৈতিক দিক থেকে পঙ্গু করে দিয়েছিল| উপনিবেশ ধরে রাখার ক্ষমতা আর তাদের ছিল না| কিছু কিছু উপনিবেশ যুদ্ধের সময়ই হাতছাড়া হয়ে গিয়েছিল| বাকিরা মুক্তির অপেক্ষায় ছিল|
এইসব উপনিবেশ ইংরেজি জানা মধ্যবিত্ত শ্রেণী, জাতীয়তাবাদ এবং স্বাধীনতা স্পৃহার ধারক হয়ে উঠেছিল| এশিয়ার তুলনায় আফ্রিকার জাতীয় আন্দোলন ছিল মন্থর, কিন্তু পরিবর্তনের ঢেউ আফ্রিকাতেও লেগেছিল|
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের ভূমিকা প্রশংসনীয় না থাকলেও তার পরাক্রম পরাধীন জাতিগুলির মনে স্বাধীনতার স্পৃহা জাগিয়ে তুলেছিল| অন্যদিকে প্রত্যক্ষ ঔপনিবেশিকতার দিন শেষ- এই সত্যটি ব্রিটেনের যত তাড়াতাড়ি মেনে নিতে পেরেছিল, ফ্রান্স তা পারেনি|
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ফ্রান্স শোচনীয়ভাবে পিছিয়ে পড়েছিল, সেই লজ্জা ঢাকতে চেয়েছিলো উপনিবেশিক সাম্রাজ্য অটুট রেখে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়নি| তাই দেখা যায়, 1950 এর দশকে যখন ঠান্ডা লড়াই জমে উঠেছিল, তখন পরাধীন দেশগুলোতে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী মুক্তি আন্দোলন তথা নতুন নতুন জাতিরাষ্ট্র গঠনের পথ উন্মুক্ত হয়েছিল|
তথ্যসূত্র
- Pavneet Singh, "International Relations ".
- Dietmar Rothermund, "Memories of Post-Imperial Nations".
সম্পর্কিত বিষয়
- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী সময় উপনিবেশবাদের পতন তথা এর গুরুত্ব (আরো পড়ুন)
- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে জার্মানির বিভাজন তথা বিশ্ব রাজনীতিতে তার প্রভাব (আরো পড়ুন)
- ইতালিতে ফ্যাসিবাদের উত্থানের কারণ (আরো পড়ুন)
সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ| আশাকরি আমাদের এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগলো| আপনার যদি এই পোস্টটি সম্বন্ধে কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে নিচে কমেন্টের মাধ্যমে আমাদেরকে জানাতে পারেন এবং অবশ্যই পোস্টটি শেয়ার করে অপরকে জানতে সাহায্য করুন|