1989 সালের 4 ঠা জুন প্রায় 1 লক্ষ চীনা ছাত্র ও শ্রমিকরা বেইজিংয়ে জমায়েত হন| এদের সঙ্গে চীনা বুদ্ধিজীবীদের একটা অংশও যোগ দিয়েছিলেন|
চীনা ছাত্র ও বুদ্ধিজীবীরা মনে করেছিলেন যে, দেং জিয়াওপিং এর সংস্কারের প্রয়াস তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেনি| ফলে চীনে রাজনৈতিক ব্যবস্থার সংস্কার প্রয়োজন| সোভিয়েত ইউনিয়নের গ্লাসনস্ত অর্থাৎ মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং পেরেস্ত্রইকা অর্থাৎ পুনর্গঠনের যে কার্যক্রম শুরু করে, তা চীনা ছাত্র ও বুদ্ধিজীবী মহলের উপর গভীর প্রভাব পড়েছিল|
শিল্প শ্রমিকরা, মুদ্রাস্ফীতি ও বেকারত্বের বিরুদ্ধে ছাত্র ও বুদ্ধিজীবী সমাজের এই প্রতিবাদ আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন| এই অবস্থায় 1989 সালে 15 এপ্রিল ছাত্রদের একটি বড় অংশ বেইজিং এর তিয়েনআনমেন স্কয়ারে অনশন আন্দোলন শুরু করেন| এই আন্দোলন বেজিংয়ের ছাত্র ও সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন লাভ করেছিল| এই পরিস্থিতি আশঙ্কিত চীনের কমিউনিস্ট পার্টির ছাত্র, শ্রমিক, বুদ্ধিজীবীদের প্রতিবাদ আন্দোলনকে দমন করার সিদ্ধান্ত নেয়|
অবশেষে 1989 সালের 4 ঠা জুন চীনা পুলিশ ও মিলিটারি বাহিনী তিয়েনআনমেন স্কয়ারে শান্তিপূর্ণ সমাবেশের উপর ঝাপিয়ে পড়ে নির্বিচারে গুলি বর্ষণ করেন| এর ফলে প্রায় এক হাজার মানুষ নিহত এবং সাত থেকে আট হাজার মানুষ আহত হয়| এই ঘটনা ইতিহাসে তিয়েনআনমেন স্কয়ার গণহত্যা বা 4 ঠা জুন গণহত্যা নামে পরিচিত|
চীনা ছাত্র ও বুদ্ধিজীবীরা মনে করেছিলেন যে, দেং জিয়াওপিং এর সংস্কারের প্রয়াস তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেনি| ফলে চীনে রাজনৈতিক ব্যবস্থার সংস্কার প্রয়োজন| সোভিয়েত ইউনিয়নের গ্লাসনস্ত অর্থাৎ মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং পেরেস্ত্রইকা অর্থাৎ পুনর্গঠনের যে কার্যক্রম শুরু করে, তা চীনা ছাত্র ও বুদ্ধিজীবী মহলের উপর গভীর প্রভাব পড়েছিল|
দেং জিয়াওপিং |
বেইজিং |
শিল্প শ্রমিকরা, মুদ্রাস্ফীতি ও বেকারত্বের বিরুদ্ধে ছাত্র ও বুদ্ধিজীবী সমাজের এই প্রতিবাদ আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন| এই অবস্থায় 1989 সালে 15 এপ্রিল ছাত্রদের একটি বড় অংশ বেইজিং এর তিয়েনআনমেন স্কয়ারে অনশন আন্দোলন শুরু করেন| এই আন্দোলন বেজিংয়ের ছাত্র ও সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন লাভ করেছিল| এই পরিস্থিতি আশঙ্কিত চীনের কমিউনিস্ট পার্টির ছাত্র, শ্রমিক, বুদ্ধিজীবীদের প্রতিবাদ আন্দোলনকে দমন করার সিদ্ধান্ত নেয়|
অবশেষে 1989 সালের 4 ঠা জুন চীনা পুলিশ ও মিলিটারি বাহিনী তিয়েনআনমেন স্কয়ারে শান্তিপূর্ণ সমাবেশের উপর ঝাপিয়ে পড়ে নির্বিচারে গুলি বর্ষণ করেন| এর ফলে প্রায় এক হাজার মানুষ নিহত এবং সাত থেকে আট হাজার মানুষ আহত হয়| এই ঘটনা ইতিহাসে তিয়েনআনমেন স্কয়ার গণহত্যা বা 4 ঠা জুন গণহত্যা নামে পরিচিত|
তথ্যসূত্র
- অমিত ভট্টাচার্য, "চীনের রূপান্তরের ইতিহাস 1840-1969"
- Jonathan Fenby, "The Penguin History of Modern China".
সম্পর্কিত বিষয়
- তাওবাদ কি (আরও পড়ুন)
- নানকিং চুক্তি কি (আরো পড়ুন)
- চীনের ইতিহাসে মুৎসুদ্দি শ্রেণীর সংক্ষিপ্ত আলোচনা (আরো পড়ুন)
সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ| আশাকরি আমাদের এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগলো| আপনার যদি এই পোস্টটি সম্বন্ধে কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে নিচে কমেন্টের মাধ্যমে আমাদেরকে জানাতে পারেন এবং অবশ্যই পোস্টটি শেয়ার করে অপরকে জানতে সাহায্য করুন|
.......................................