1940 এর দশকের সূচনায় ফ্যাসিবাদ শক্তির ভারসাম্যের ক্ষেত্রে যে সমস্যা তৈরি হয়েছিল, তার একটি সমাধান পাওয়া গিয়েছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির পরাজয়ের ফলে|
কিন্তু রাশিয়ার সমাজতান্ত্রিক কাঠামোর প্রতিষ্ঠা পশ্চিমী পুঁজিবাদের দুনিয়ায় যে আতঙ্ক ছড়িয়ে ছিল, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর তা সামান্যটুকুও কমেনি বরং বেড়ে গিয়েছিলো|
কিন্তু রাশিয়ার সমাজতান্ত্রিক কাঠামোর প্রতিষ্ঠা পশ্চিমী পুঁজিবাদের দুনিয়ায় যে আতঙ্ক ছড়িয়ে ছিল, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর তা সামান্যটুকুও কমেনি বরং বেড়ে গিয়েছিলো|
এই সময় পশ্চিমী পুঁজিবাদী দুনিয়ায় সমাজতন্ত্রের আগ্রাসনের অস্থির হয়ে পড়েছিল, রাশিয়াও তেমনি তার মার্কসীয় রাষ্ট্র কাঠামোর নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিল এবং স্নায়ুর চাপ অনুভব করেছিল| এই কারণে সেই সময় সমগ্র বিশ্ব ব্যবস্থায় কূটনীতির দুই মেরুতে দ্বিখন্ডিত হয়ে যায়, যা দ্বিমেরুকরণ বা দ্বিপাক্ষিক রাজনীতি নামে পরিচিত|
এই দ্বি-মেরুকরণ এর প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল, বলয় প্রতিযোগিতা| এই বলয় প্রতিযোগিতার অস্ত্রহীন দাম্ভিক প্রকাশ পরিচিত হয় ঠান্ডা লড়াই (Cold War) নামে| মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির উপদেষ্টা জর্জ কেন্নান সোভিয়েত বিরোধে ভৌগোলিক সম্প্রসারণের নীতি গ্রহণ করেন|
এর ফলে শুরু হয় দুই পক্ষের মধ্যে স্নায়ুযুদ্ধ বা ঠান্ডা লড়াই| এই পক্ষের ক্ষমতার দ্বন্দ্বের অনিবার্য ফল হলো, আমেরিকার তরফে ইউরোপের বেশিরভাগ জায়গার উপর প্রাধান্য বিস্তার করতে থাকে, যাকে Americanization বলা যেতে পারে| আর পূর্ব ইউরোপের রাশিয়ার প্রভাব বিস্তার করতে থাকে, যাকে Sovietization বলা হয়|
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ |
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ |
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ |
এই দ্বি-মেরুকরণ এর প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল, বলয় প্রতিযোগিতা| এই বলয় প্রতিযোগিতার অস্ত্রহীন দাম্ভিক প্রকাশ পরিচিত হয় ঠান্ডা লড়াই (Cold War) নামে| মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির উপদেষ্টা জর্জ কেন্নান সোভিয়েত বিরোধে ভৌগোলিক সম্প্রসারণের নীতি গ্রহণ করেন|
এর ফলে শুরু হয় দুই পক্ষের মধ্যে স্নায়ুযুদ্ধ বা ঠান্ডা লড়াই| এই পক্ষের ক্ষমতার দ্বন্দ্বের অনিবার্য ফল হলো, আমেরিকার তরফে ইউরোপের বেশিরভাগ জায়গার উপর প্রাধান্য বিস্তার করতে থাকে, যাকে Americanization বলা যেতে পারে| আর পূর্ব ইউরোপের রাশিয়ার প্রভাব বিস্তার করতে থাকে, যাকে Sovietization বলা হয়|
ঠান্ডা লড়াই এর পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ট্রুম্যান, ডকট্রিন ও মার্শাল প্ল্যান দ্বারা অর্থনৈতিক প্রাচীর গড়ে তোলেন এবং ন্যাটো(NATO) এর দ্বারা তার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা করেন|
সোভিয়েত আতঙ্কে পশ্চিম ও মধ্য ইউরোপে ন্যাটো যে একটি সোভিয়েত বিরোধী শক্তির জোট হিসেবে গড়ে উঠেছিল তাতে কোন সন্দেহ নেই| এই জোট কাঠামোকে আরো শক্তিশালী করে তুলেছিল দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় চুক্তি সংস্থা বা সিয়াটো চুক্তি(SEATO)|
তথ্যসূত্র
- Pavneet Singh, "International Relations".
- Prakash Chandra, "international relations & comparative politics".
- Garrett W Brown, "The Concise Oxford Dictionary of Politics and International Relations ".
সম্পর্কিত বিষয়
- ওপেক কি ? | What is OPEC ? (আরো পড়ুন)
- সার্কের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য (আরো পড়ুন)
- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে জার্মানির বিভাজন তথা বিশ্ব রাজনীতিতে তার প্রভাব (আরো পড়ুন)
- ইতালিতে ফ্যাসিবাদের উত্থানের কারণ (আরো পড়ুন)
সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ| আশাকরি আমাদের এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগলো| আপনার যদি এই পোস্টটি সম্বন্ধে কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে নিচে কমেন্টের মাধ্যমে আমাদেরকে জানাতে পারেন এবং অবশ্যই পোস্টটি শেয়ার করে অপরকে জানতে সাহায্য করুন|
.......................................