1945 সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তি পর্বে জার্মানিকে চারটি অংশে ভাগে ভাগ করা হয়েছিল- সোভিয়েত নেতৃত্বাধীন কমিউনিস্ট পূর্ব জার্মানি এবং গণতান্ত্রিক পশ্চিম জার্মানি|
কিন্তু বিগত শতাব্দীর 40 এর দশক থেকেই পূর্ব জার্মানিতে সমাজতান্ত্রিক নিয়ন্ত্রণ শিথিল হতে থাকে| 1989 সাল নাগাদ সোভিয়েত রাষ্ট্র যখন গ্লাসনস্ত ও পেরেস্ত্রইকা খোলা হাওয়া বইছে, তখন দুই জার্মানির ঐক্যের জন্য জনমত তৈরী হতে থাকে|
পূর্ব জার্মানি থেকে পশ্চিম জার্মানিতে আগমনের পথে প্রধান প্রতিবন্ধকতা ছিল বার্লিন দেয়াল| 1989 সালের 9 ই নভেম্বর বিক্ষুব্ধ জার্মান জনগণ বার্লিন প্রাচীর ভেঙে ফেলে| ঠিক দুইশত বছর আগে ফ্রান্সে বাস্তিল দুর্গের পতন যেমন ফ্রান্সের স্বৈরাচারী শাসনের অন্তিমকাল সূচনা করেছিল| অনুরূপভাবে বার্লিন প্রাচীর ভেঙে দুই জার্মানির মধ্যে ব্যবধান চূর্ণ হলো এবং গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে দ্বিধাবিভক্ত জার্মানি ঐক্যবদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার পথ উন্মুক্ত হলো|
অবশেষে 1990 সালে 12 ই সেপ্টেম্বর পূর্বতন মিত্রপক্ষের চারটি রাষ্ট্র(সোভিয়েত ইউনিয়ন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও ফ্রান্স) এবং পূর্ব ও পশ্চিম জার্মানির প্রতিনিধিরা মস্কোতে মিলিত হয়ে ঐতিহাসিক "Two Plus Four Treaty" চুক্তি স্বাক্ষরিত করে| এই চুক্তির দ্বারা আনুষ্ঠানিকভাবে দুই জার্মানির পৃথক অস্তিত্বের বিলুপ্তি ঘটানো হয় এবং ঐক্যবদ্ধ জার্মানির সমর্থনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়| পশ্চিম জার্মানির চ্যান্সেলর হেলমুট কোল ঐক্যবদ্ধ জার্মানির রাষ্ট্রপতি পদে আসীন হন|
বার্লিন প্রাচীর পতন যেমন একদিকে যেমন দুই জার্মানির ঐক্যকরণ ঘটায়, তেমনি অন্যদিকে পূর্ব জার্মানিকে কেন্দ্র করে গঠিত ও বিকশিত রুশ তথা সমাজতান্ত্রিক গোষ্ঠীর একাধিপত্যের অবসান ঘটায়|
জার্মান কর্তৃক রুশ একনায়তান্ত্রিক সাম্যবাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের সূচনার সঙ্গে সঙ্গে পূর্ব ইউরোপের অন্যান্য রাষ্ট্র সমূহেও রুশ সাম্যবাদ বিরোধী গণতান্ত্রিক বিপ্লবের সূচনা হয়| এমনকি রাশিয়ার অভ্যন্তরেও এর প্রভাব পরিলক্ষিত হয়| যার ফলশ্রুতি ছিল 1991 সালে সোভিয়েত রাশিয়ার ভাঙ্গন|
.............................................
বার্লিন দেয়ালের পতন |
বার্লিন প্রাচীর |
পশ্চিম জার্মানি এবং পূর্ব জার্মানি |
বার্লিন প্রাচীর |
পূর্ব জার্মানি থেকে পশ্চিম জার্মানিতে আগমনের পথে প্রধান প্রতিবন্ধকতা ছিল বার্লিন দেয়াল| 1989 সালের 9 ই নভেম্বর বিক্ষুব্ধ জার্মান জনগণ বার্লিন প্রাচীর ভেঙে ফেলে| ঠিক দুইশত বছর আগে ফ্রান্সে বাস্তিল দুর্গের পতন যেমন ফ্রান্সের স্বৈরাচারী শাসনের অন্তিমকাল সূচনা করেছিল| অনুরূপভাবে বার্লিন প্রাচীর ভেঙে দুই জার্মানির মধ্যে ব্যবধান চূর্ণ হলো এবং গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে দ্বিধাবিভক্ত জার্মানি ঐক্যবদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার পথ উন্মুক্ত হলো|
অবশেষে 1990 সালে 12 ই সেপ্টেম্বর পূর্বতন মিত্রপক্ষের চারটি রাষ্ট্র(সোভিয়েত ইউনিয়ন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও ফ্রান্স) এবং পূর্ব ও পশ্চিম জার্মানির প্রতিনিধিরা মস্কোতে মিলিত হয়ে ঐতিহাসিক "Two Plus Four Treaty" চুক্তি স্বাক্ষরিত করে| এই চুক্তির দ্বারা আনুষ্ঠানিকভাবে দুই জার্মানির পৃথক অস্তিত্বের বিলুপ্তি ঘটানো হয় এবং ঐক্যবদ্ধ জার্মানির সমর্থনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়| পশ্চিম জার্মানির চ্যান্সেলর হেলমুট কোল ঐক্যবদ্ধ জার্মানির রাষ্ট্রপতি পদে আসীন হন|
বার্লিন প্রাচীর পতন যেমন একদিকে যেমন দুই জার্মানির ঐক্যকরণ ঘটায়, তেমনি অন্যদিকে পূর্ব জার্মানিকে কেন্দ্র করে গঠিত ও বিকশিত রুশ তথা সমাজতান্ত্রিক গোষ্ঠীর একাধিপত্যের অবসান ঘটায়|
জার্মান কর্তৃক রুশ একনায়তান্ত্রিক সাম্যবাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের সূচনার সঙ্গে সঙ্গে পূর্ব ইউরোপের অন্যান্য রাষ্ট্র সমূহেও রুশ সাম্যবাদ বিরোধী গণতান্ত্রিক বিপ্লবের সূচনা হয়| এমনকি রাশিয়ার অভ্যন্তরেও এর প্রভাব পরিলক্ষিত হয়| যার ফলশ্রুতি ছিল 1991 সালে সোভিয়েত রাশিয়ার ভাঙ্গন|
তথ্যসূত্র
- Pavneet Singh, "International Relations ".
- Prakash Chandra, "international relations & comparative politics".
- Garrett W Brown, "The Concise Oxford Dictionary of Politics and International Relations ".
সম্পর্কিত বিষয়
- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী সময় উপনিবেশবাদের পতন তথা এর গুরুত্ব (আরো পড়ুন)
- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে জার্মানির বিভাজন তথা বিশ্ব রাজনীতিতে তার প্রভাব (আরো পড়ুন)
- ইতালিতে ফ্যাসিবাদের উত্থানের কারণ (আরো পড়ুন)
Author of this post
Name- Bhanu Mathi Ghosh About- তিনি বর্তমানে একজন ইতিহাসের ছাত্রী Read more- (Click here) |
.............................................