যুগে যুগে বহু বিদেশী পর্যটক ভারতে এসেছেন এবং ভারত সম্পর্কে তাদের অভিজ্ঞতাগুলি লিপিবদ্ধ করেছেন| যেগুলি ভারতের ইতিহাস রচনায় অন্যতম উপাদান হিসেবে স্বীকৃত| এরমধ্যে মধ্যেকার পরিব্রাজক ইবন বতুতার প্রকৃত নাম আবু আবদুল্লাহ মুহাম্মদ ইবনে বতুতা|
ভারতে তিনি মেতিলানা বদরুদ্দিন নামে পরিচিত ছিলেন| মরোক্কোর তাঞ্জিয়ারে শহরে তাঁর জন্ম হয়|
হিন্দুকুশ পর্বত অতিক্রম করে গজনী ও কাবুল হয়ে ইবন বতুতা 1333 খ্রিস্টাব্দে ভারতে প্রবেশ করেন| এই সময় দিল্লির সুলতান ছিলেন মহম্মদ বিন তুঘলক| সুলতান তাঁকে দিল্লির কাজী হিসাবে নিযুক্ত করেন| প্রায় আট বছর(1333-1342) ইবন বতুতা এই পদে বহাল ছিলেন| এর ফলে খবরা-খবর সরাসরি সংগ্রহ করা তাঁর পক্ষে সহজ হয়েছিল|
তাঁর আরবি ভাষায় রচিত "কিতাব-উর-রেহালা" গ্রন্থটি তুঘলক আমলের রচনায় মূল্যবান উপাদান হিসেবে স্বীকৃত| এই গ্রন্থ থেকে তুঘলক আমলের সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামরিক ও শাসনতান্ত্রিক ব্যবস্থার বিবরণ পাওয়া যায়| তৎকালীন ভারতের ডাক ব্যবস্থা, পরিবহন, রাস্তাঘাটের অবস্থা, গোয়েন্দা বিভাগ, কৃষি ব্যবস্থা, ব্যবসা-বাণিজ্য ইত্যাদি বহু বিষয় তাঁর গ্রন্থে লিপিবদ্ধ আছে| এমনকি মহম্মদ তুঘলকের ব্যক্তিগত জীবন ও তার উদ্ভাবিত পরিকল্পনাগুলির বিবরণও তাঁর গ্রন্থে পাওয়া যায়|
ইবন বতুতা বাংলাদেশেও এসেছিলেন| বাংলাদেশের আর্থিক সমৃদ্ধি ও জনগণের সুখী ও সচ্ছল জীবন ধারার কথা তাঁর বিবরণ থেকে জানা যায়| তবে বাংলাদেশের অতিবর্ষণ ও স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ার তিনি সমালোচনা করেছেন|
ইবন বতুতা ছিলেন স্বাধীনচেতা পর্যটক| ভারতীয় শাসক গোষ্ঠীর অনুগ্রহের প্রতি তাঁর কোন লোভ ছিল না| তেমনি রাজনৈতিক নিগ্রহকেও তিনি ভয় করতেন না| অবশ্য হিন্দি ভাষায় তাঁর দখল না থাকায় অনেক ক্ষেত্রে তাঁকে মনগড়া কথা লিখতে হয়েছে| এটুকু সীমাবদ্ধ ছাড়া "রেহালা" গ্রন্থের ইতিহাস গত মূল্য অপরিসীম| ঐতিহাসিক আশরাফ ইবন বতুতার বিবরণীকে হিন্দুস্তানের তৎকালীন জীবনের জীবন্ত ছবি বলে অভিহিত করেছেন|
ভারতে তিনি মেতিলানা বদরুদ্দিন নামে পরিচিত ছিলেন| মরোক্কোর তাঞ্জিয়ারে শহরে তাঁর জন্ম হয়|
হিন্দুকুশ পর্বত |
হিন্দুকুশ পর্বত অতিক্রম করে গজনী ও কাবুল হয়ে ইবন বতুতা 1333 খ্রিস্টাব্দে ভারতে প্রবেশ করেন| এই সময় দিল্লির সুলতান ছিলেন মহম্মদ বিন তুঘলক| সুলতান তাঁকে দিল্লির কাজী হিসাবে নিযুক্ত করেন| প্রায় আট বছর(1333-1342) ইবন বতুতা এই পদে বহাল ছিলেন| এর ফলে খবরা-খবর সরাসরি সংগ্রহ করা তাঁর পক্ষে সহজ হয়েছিল|
তাঁর আরবি ভাষায় রচিত "কিতাব-উর-রেহালা" গ্রন্থটি তুঘলক আমলের রচনায় মূল্যবান উপাদান হিসেবে স্বীকৃত| এই গ্রন্থ থেকে তুঘলক আমলের সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামরিক ও শাসনতান্ত্রিক ব্যবস্থার বিবরণ পাওয়া যায়| তৎকালীন ভারতের ডাক ব্যবস্থা, পরিবহন, রাস্তাঘাটের অবস্থা, গোয়েন্দা বিভাগ, কৃষি ব্যবস্থা, ব্যবসা-বাণিজ্য ইত্যাদি বহু বিষয় তাঁর গ্রন্থে লিপিবদ্ধ আছে| এমনকি মহম্মদ তুঘলকের ব্যক্তিগত জীবন ও তার উদ্ভাবিত পরিকল্পনাগুলির বিবরণও তাঁর গ্রন্থে পাওয়া যায়|
ইবন বতুতা বাংলাদেশেও এসেছিলেন| বাংলাদেশের আর্থিক সমৃদ্ধি ও জনগণের সুখী ও সচ্ছল জীবন ধারার কথা তাঁর বিবরণ থেকে জানা যায়| তবে বাংলাদেশের অতিবর্ষণ ও স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ার তিনি সমালোচনা করেছেন|
ইবন বতুতা ছিলেন স্বাধীনচেতা পর্যটক| ভারতীয় শাসক গোষ্ঠীর অনুগ্রহের প্রতি তাঁর কোন লোভ ছিল না| তেমনি রাজনৈতিক নিগ্রহকেও তিনি ভয় করতেন না| অবশ্য হিন্দি ভাষায় তাঁর দখল না থাকায় অনেক ক্ষেত্রে তাঁকে মনগড়া কথা লিখতে হয়েছে| এটুকু সীমাবদ্ধ ছাড়া "রেহালা" গ্রন্থের ইতিহাস গত মূল্য অপরিসীম| ঐতিহাসিক আশরাফ ইবন বতুতার বিবরণীকে হিন্দুস্তানের তৎকালীন জীবনের জীবন্ত ছবি বলে অভিহিত করেছেন|
তথ্যসূত্র
- H.A.R. GIBB, "The Travels Of Ibn Battuta".
- সতীশ চন্দ্র, "মধ্যযুগে ভারত"
সম্পর্কিত বিষয়
- সুফিবাদ (আরো পড়ুন)
- মধ্যযুগীয় ভারতের ভক্তি আন্দোলনের উদ্ভব (আরও পড়ুন)
- ইকতা ব্যবস্থা কি (আরো পড়ুন)
সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ| আশাকরি আমাদের এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগলো| আপনার যদি এই পোস্টটি সম্বন্ধে কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে নিচে কমেন্টের মাধ্যমে আমাদেরকে জানাতে পারেন এবং অবশ্যই পোস্টটি শেয়ার করে অপরকে জানতে সাহায্য করুন|
......................................................