খ্রিস্টীয় চতুর্থ শতকের সূচনা থেকে ব্রাহ্মণ বা ধর্ম স্থানের উদ্দেশ্যে ভূমিদান প্রথার প্রচলন ঘটে| ব্রাহ্মণ্য পুরোহিত বা ধর্ম স্থানের উদ্দেশ্যে নিষ্কর ভূখণ্ড বা গ্রাম দান করার নীতি "অগ্রহার" ব্যবস্থা নামে পরিচিত|
এই অগ্রহার ব্যবস্থায় রাজা কর্তৃক নিষ্কর ভূখণ্ড বা গ্রাম যখন এক বা একাধিক ব্রাহ্মণকে প্রদান করা হতো, তখন তাকে বলা হতো- "ব্রহ্মদেয় দান"| অন্যদিকে স্থানীয় মন্দির বা ধর্ম স্থানের ব্যয় নির্বাহের উদ্দেশ্যে নিষ্কর ভূখণ্ড বা গ্রাম দান করার নীতিকে বলা হয়- "দেবদান"| সাধারণত রাজা কিংবা অভিজাতরা পুণ্য লাভের উদ্দেশ্যে ব্রাহ্মণ বা মন্দিরকে জমি দান করতেন|
ঐতিহাসিক রামশরণ শর্মা, ডি. এন. ঝাঁ প্রমূখ মনে করেন, তাম্র শাসন জারি করে নিষ্কর ভূ-সম্পদ দানের মাধ্যমে ভারতীয় সামন্ততন্ত্রের বীজ বপন করা হয়েছে| অধ্যাপক শর্মা দেখিয়েছেন যে, প্রথমদিকে ব্রাহ্মণদের কেবল নিষ্কর ভূমি দান করা হতো| কিন্তু পরবর্তীকালে নিষ্কর ভূমি পাশাপাশি দান গ্রহীতা ব্রাহ্মণকে দানলদ্ধ ভূমির প্রশাসন ও বিচার সংক্রান্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়| এর ফলে দান গ্রহীতা ব্রাহ্মণ কার্যত ভূস্বামীতে পরিণত হন এবং এর ফলে রাষ্ট্রের সার্বভৌম ক্ষমতা খন্ডিত হয়|
অন্যদিকে দেবদানের দ্বারা মন্দিরগুলিও বিপুল ভূ-সম্পদের অধিকারী হয়েছিল| এর ফলে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোও ভূম্যাধিকারী লাভ করে| উদাহরণ হিসেবে নালন্দা বিহারের কথা বলা যায়| এই মহাবিহার পার্শ্ববর্তী 224টি গ্রামের রাজস্ব অধিকার পেয়েছিল| একাদশ-দ্বাদশ শতকের দক্ষিণ ভারতের মন্দিরগুলি দেবদানের দ্বারা ভূ-সম্পদে এতই সমৃদ্ধ হয়ে উঠে যে- এগুলি অর্থনৈতিক ক্রিয়া-কলাপের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়ায়|
.............….….....…............
ব্রাহ্মণ |
ঐতিহাসিক রামশরণ শর্মা, ডি. এন. ঝাঁ প্রমূখ মনে করেন, তাম্র শাসন জারি করে নিষ্কর ভূ-সম্পদ দানের মাধ্যমে ভারতীয় সামন্ততন্ত্রের বীজ বপন করা হয়েছে| অধ্যাপক শর্মা দেখিয়েছেন যে, প্রথমদিকে ব্রাহ্মণদের কেবল নিষ্কর ভূমি দান করা হতো| কিন্তু পরবর্তীকালে নিষ্কর ভূমি পাশাপাশি দান গ্রহীতা ব্রাহ্মণকে দানলদ্ধ ভূমির প্রশাসন ও বিচার সংক্রান্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়| এর ফলে দান গ্রহীতা ব্রাহ্মণ কার্যত ভূস্বামীতে পরিণত হন এবং এর ফলে রাষ্ট্রের সার্বভৌম ক্ষমতা খন্ডিত হয়|
অন্যদিকে দেবদানের দ্বারা মন্দিরগুলিও বিপুল ভূ-সম্পদের অধিকারী হয়েছিল| এর ফলে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোও ভূম্যাধিকারী লাভ করে| উদাহরণ হিসেবে নালন্দা বিহারের কথা বলা যায়| এই মহাবিহার পার্শ্ববর্তী 224টি গ্রামের রাজস্ব অধিকার পেয়েছিল| একাদশ-দ্বাদশ শতকের দক্ষিণ ভারতের মন্দিরগুলি দেবদানের দ্বারা ভূ-সম্পদে এতই সমৃদ্ধ হয়ে উঠে যে- এগুলি অর্থনৈতিক ক্রিয়া-কলাপের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়ায়|
.............….….....…............