1206-1290 খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত তিনটি পৃথক রাজবংশ রাজত্ব করেছিল| এলফিন স্টোন, ভীমসেন স্মিথ প্রমুখ ব্রিটিশ ঐতিহাসিকেরা এই তিনটি রাজবংশকে একত্রে দাস বংশ বলে অভিহিত করেছেন|
এই নামকরণের কারণ হলো, এই রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতাগণ অর্থাৎ কুতুবউদ্দিন আইবক(কুৎবী বংশ), ইলতুৎমিস(সামসি বংশ), বলবন(দ্বিতীয় ইলবারী বংশ) প্রথম জীবনে ক্রীতদাস ছিলেন|
দাস বংশ নামটি কি যুক্তিসঙ্গত
তবে দাস বংশ নামটি যুক্তিসঙ্গত নয়, কারণ- ইলতুৎমিস ও বলবন দাসত্ব থেকে মুক্তি পাওয়ার পরে সিংহাসনে বসেছিলেন| কুতুবউদ্দিন আইবকও সিংহাসনে বসার পর দাসত্ব থেকে মুক্তি পান| এমনকি এই তিনটি রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা গণ একই বংশের সম্বৃত ছিলেন না|
কুতুবউদ্দিন, ইলতুৎমিস ও বলবন ছাড়া তাদের বংশের অন্য কেউ দাস ছিলেন না| তিনজন প্রতিষ্ঠাতায় ছিলেন অভিজাত বংশের সন্তান| ভাগ্য চক্রে তারা ক্রীতদাসে পরিণত হয়েছিল| সুতরাং "দাস বংশ" নামকরণে কোন যুক্তিগত নেই |
আধুনিক ঐতিহাসিকদের মধ্যে কেউ কেউ যেমন- অধ্যাপক রিজভী কুতুবউদ্দিন থেকে কাইকোবাদ পর্যন্ত দিল্লির শাসকদের "মামেলুক" সুলতান বলে অভিহিত করেছেন| আরবি শব্দ মামেলুক কথার অর্থ হলো- "এমন ক্রীতদাস যে মুক্ত পিতা-মাতার সন্তান"| সেই দিক থেকে বিচার করলে মামেলুক বংশ নামকরণ অনেকটাই যুক্তিযুক্ত|
তথ্যসূত্র
- সতীশ চন্দ্র, "মধ্যযুগে ভারত"
- Upinder Singh, "A History of Ancient and Early Medieval India".
- Satosj Cjamdra, "Medieval India".
সম্পর্কিত বিষয়
- ইউরোপের দাস প্রথার ইতিহাস (আরো পড়ুন)
- দাস ব্যবসা এবং ইউরোপের উপর তার প্রভাব (আরো পড়ুন)
- 1707 থেকে 1740 সালের মধ্যে মুঘল রাজ দরবারে বিভিন্ন দলগুলির উন্নতি এবং তাদের রাজনীতি (আরো পড়ুন)
- মুঘল আমলে সেচ ব্যবস্থা (আরো পড়ুন)
সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ| আশাকরি আমাদের এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগলো| আপনার যদি এই পোস্টটি সম্বন্ধে কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে নিচে কমেন্টের মাধ্যমে আমাদেরকে জানাতে পারেন এবং অবশ্যই পোস্টটি শেয়ার করে অপরকে জানতে সাহায্য করুন|
......................................................