ঐতিহাসিক রোমিলা থাপার এর মতে, "তন্ত্রবাদ" ষষ্ঠ শতাব্দীতে জন্ম হলেও তান্ত্রিক পদ্ধতি প্রচলিত হতে শুরু করে অষ্টম শতাব্দী থেকে|
অনেকে মনে করেন, তন্ত্রবাদ বৈদিক মতবাদের সরল সংস্করণ| উত্তর-পূর্ব ভারতে তন্ত্রবাদের প্রভাব ছিল বেশি| তিব্বতের সঙ্গে তান্ত্রিকদের যোগাযোগ ছিল এবং কিছু কিছু আচার-আচরণ তিব্বতীদের পূজা পদ্ধতি থেকেই এসেছিল|
সংকীর্ণ বর্ণ ও নারীরাও তন্ত্রবাদের চর্চা করতে পারতো| তান্ত্রিক পূজা পদ্ধতির বিশেষ অঙ্গ ছিল- উপাসনা, রহস্যময় মন্ত্র, জাদুকরী চিহ্ন এবং কোন বিশেষ দেবতার পূজা| তন্ত্রবাদের মাতৃমূর্তিকে বিশেষ সম্মান দেওয়া হতো, কেননা মাতৃগর্ভেই জীবনের শুরু|
তন্ত্রবাদের অনুগামী হতে গেলে গুরুর প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি, এতে "মন্ত্রের" স্থান ছিল গুরুত্বপূর্ণ| তান্ত্রিক পূজা-পদ্ধতির শেষ পর্যায়ে পঞ্চ-ম-কার প্রয়োজন হতো| এই পঞ্চ-ম-কার হলো- মত, মৎস, মাংস, মুদ্রা ও মৈথুন| এই পদ্ধতির মধ্য দিয়ে ভক্তরা শেষ পর্যায়ে পৌঁছাত, তখন সমস্ত মানুষ ও সমস্ত বস্তু সমপর্যায় ভুক্ত| এই ধরনের প্রক্রিয়ার জন্য গোপন আচার-অনুষ্ঠানের প্রয়োজন হতো|
অভিযোগ আছে যে, তন্ত্রবাদের জন্ম হয়েছিল গোড়া হিন্দু পূজা পদ্ধতি ও ব্রাহ্মণ শাসিত সমাজ ব্যবস্থার বিরুদ্ধে প্রতিবাদের জন্য| তাই তন্ত্রবাদে অন্য ধরনের আচার-অনুষ্ঠান শক্তি পূজা ব্যবস্থা রেখে প্রতিবাদ জানানো হয়েছিল|
আবার তন্ত্রবাদের যাদুবিদ্যার প্রতি আগ্রহ থেকে নানান ধরনের ধাতু ও রাসায়নিক বস্তু নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হয় এবং তার ফলে কিছু কিছু আবিষ্কারও হয়েছিল|
বজ্রযান বৌদ্ধ ধর্মের উপর তান্ত্রিক ধ্যান-ধারণার প্রভাব পড়েছিল সবচেয়ে বেশি| বজ্রযান বৌদ্ধ ধর্মে যেসব যাদুকরী মন্ত্র ছিল তার মধ্যে একটি জনপ্রিয় তিব্বতী মন্ত্র হল- "ওম মণি পদ্মে হুম", অর্থাৎ দেখো মণি পদ্মের মধ্যে রয়েছে|
সংকীর্ণ বর্ণ ও নারীরাও তন্ত্রবাদের চর্চা করতে পারতো| তান্ত্রিক পূজা পদ্ধতির বিশেষ অঙ্গ ছিল- উপাসনা, রহস্যময় মন্ত্র, জাদুকরী চিহ্ন এবং কোন বিশেষ দেবতার পূজা| তন্ত্রবাদের মাতৃমূর্তিকে বিশেষ সম্মান দেওয়া হতো, কেননা মাতৃগর্ভেই জীবনের শুরু|
তন্ত্রবাদের অনুগামী হতে গেলে গুরুর প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি, এতে "মন্ত্রের" স্থান ছিল গুরুত্বপূর্ণ| তান্ত্রিক পূজা-পদ্ধতির শেষ পর্যায়ে পঞ্চ-ম-কার প্রয়োজন হতো| এই পঞ্চ-ম-কার হলো- মত, মৎস, মাংস, মুদ্রা ও মৈথুন| এই পদ্ধতির মধ্য দিয়ে ভক্তরা শেষ পর্যায়ে পৌঁছাত, তখন সমস্ত মানুষ ও সমস্ত বস্তু সমপর্যায় ভুক্ত| এই ধরনের প্রক্রিয়ার জন্য গোপন আচার-অনুষ্ঠানের প্রয়োজন হতো|
অভিযোগ আছে যে, তন্ত্রবাদের জন্ম হয়েছিল গোড়া হিন্দু পূজা পদ্ধতি ও ব্রাহ্মণ শাসিত সমাজ ব্যবস্থার বিরুদ্ধে প্রতিবাদের জন্য| তাই তন্ত্রবাদে অন্য ধরনের আচার-অনুষ্ঠান শক্তি পূজা ব্যবস্থা রেখে প্রতিবাদ জানানো হয়েছিল|
আবার তন্ত্রবাদের যাদুবিদ্যার প্রতি আগ্রহ থেকে নানান ধরনের ধাতু ও রাসায়নিক বস্তু নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হয় এবং তার ফলে কিছু কিছু আবিষ্কারও হয়েছিল|
বজ্রযান বৌদ্ধ ধর্মের উপর তান্ত্রিক ধ্যান-ধারণার প্রভাব পড়েছিল সবচেয়ে বেশি| বজ্রযান বৌদ্ধ ধর্মে যেসব যাদুকরী মন্ত্র ছিল তার মধ্যে একটি জনপ্রিয় তিব্বতী মন্ত্র হল- "ওম মণি পদ্মে হুম", অর্থাৎ দেখো মণি পদ্মের মধ্যে রয়েছে|
তথ্যসূত্র
- সুনীল চট্টোপাধ্যায় "প্রাচীন ভারতের ইতিহাস"
- David Gordon White, "Tantra in Practice".
- Upinder Singh, "A History of Ancient and Early Medieval India: From the Stone Age to the 12th Century".
সম্পর্কিত বিষয়
- নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় টীকা (আরো পড়ুন)
- বৈদিক এবং ঋক বৈদিক যুগে প্রশাসনিক ব্যবস্থা (আরো পড়ুন)
- প্রাচীন ভারতীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য (আরো পড়ুন)
সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ| আশাকরি আমাদের এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগলো| আপনার যদি এই পোস্টটি সম্বন্ধে কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে নিচে কমেন্টের মাধ্যমে আমাদেরকে জানাতে পারেন এবং অবশ্যই পোস্টটি শেয়ার করে অপরকে জানতে সাহায্য করুন|
.......................................