তার বিখ্যাত রচনা ছিল তারিখ ই ফিরোজশাহী। এই গ্রন্থটি তিনি ফিরোজ শাহ তুঘলকে নামে উৎসর্গ করেন। গ্রন্থে বলবনের রাজত্বকাল থেকে ফিরোজ শাহ তুঘলক পর্যন্ত ধারাবাহিক ঐতিহাসিক বিবরণ পাওয়া যায়। সুলতানি প্রশাসনের উচ্চ পদে আসীন থাকার সুবাদে সরকারি নথিপত্রের সাথে পরিচিত হবার সুযোগ পেয়েছিলেন। এমনকি তিনি বহু ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন।
ব্যক্তিগতভাবে জিয়াউদ্দিন বারানি ছিলেন গোঁড়া মুসলমান। তাই সুলতানদের কার্যাবলী তিনি সংকীর্ণ ধর্মীয় চিন্তা-ভাবনা দ্বারা বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করেছেন। স্বভাবতই ঐতিহাসিকদের নিরপেক্ষতা বোধের অভাব তার রচনাকে ইতিহাসের উপাদান হিসেবে কিছুটা দুর্বল করেছেন।
বরণী লেখা আর একটি বিখ্যাত গ্রন্থ হল ফতোয়া-ই-জাহানদারি। এই গ্রন্থে তিনি সুলতানদের শাসননীতি বিশ্লেষণ করেছেন। তিনি ঐতিহাসিক দায়িত্ব সম্পর্কে পূর্ণ সচেতন ছিলেন। কিন্তু নিজেই পৃষ্ঠপোষক সুলতানদের দোষ-ত্রুটি কথা প্রকাশ করেননি। এই কারণে ঐতিহাসিক হেনরী এলিয়ট বরণীকে অসভ্যভাষী এবং পক্ষপাত দুষ্ট বলে উল্লেখ করেছেন। সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও ইতিহাসের উপাদান হিসেবে বরণীর রচনার মূল্যকে অস্বীকার করা যায় না।
তথ্যসূত্র
- সতীশ চন্দ্র, "মধ্যযুগে ভারত"
- শেখর বন্দ্যোপাধ্যায়, "অষ্টাদশ শতকের মুঘল সংকট ও আধুনিক ইতিহাস চিন্তা"
- অনিরুদ্ধ রায়, "মুঘল সাম্রাজ্যের উত্থান-পতনের ইতিহাস"
সম্পর্কিত বিষয়
- আবুল ফজল এবং বদাউনি (আরো পড়ুন)
- ভারতবর্ষে মুঘল বা মোগল সাম্রাজ্যের প্রকৃতি ও কার্যাবলীর সংক্ষিপ্ত আলোচনা (আরো পড়ুন)
- মুঘল আমলে বাংলার সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা (আরো পড়ুন)
- 1707 থেকে 1740 সালের মধ্যে মুঘল রাজ দরবারে বিভিন্ন দলগুলির উন্নতি এবং তাদের রাজনীতি (আরো পড়ুন)
- মুঘল আমলে সেচ ব্যবস্থা (আরো পড়ুন)
সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ| আশাকরি আমাদের এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগলো| আপনার যদি এই পোস্টটি সম্বন্ধে কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে নিচে কমেন্টের মাধ্যমে আমাদেরকে জানাতে পারেন এবং অবশ্যই পোস্টটি শেয়ার করে অপরকে জানতে সাহায্য করুন|
......................................................