1526 খ্রিস্টাব্দে পাঞ্জাবে শাসক দৌলত খাঁ লোদীকে পরাজিত করে বাবর দিল্লির দিকে অগ্রসর হয়। দিল্লি রক্ষার জন্য আফগান সুলতান ইব্রাহিম লোদী বাবরকে বাধা দিলে পানিপথের প্রান্তরে উভয়ের মধ্যে যুদ্ধ সংঘটিত হয়। 1526 খ্রিস্টাব্দে 21 এপ্রিল এই যুদ্ধ পানিপথের প্রথম যুদ্ধ নামে পরিচিত।
এই যুদ্ধে বাবর এর ক্ষুদ্র গোলন্দাজ বাহিনীর কাছে ইব্রাহিমের বিশাল সেনাবাহিনী পরাজিত হয় এবং ইব্রাহিম লোদী নিহত হন।
পানিপথের প্রথম যুদ্ধ ভারতের ইতিহাসে অতি গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধ। এই যুদ্ধের ফলে লোদী বংশের শাসন ক্ষমতা চিরতরে অবলুপ্ত হয়, দিল্লি ও আগ্রা পর্যন্ত বিস্তীর্ণ অঞ্চল বাবরের অধিকারে আসে এবং জৌনপুর পর্যন্ত সমৃদ্ধশালী গঙ্গা-যমুনা উপত্যাকার দরজা উন্মুক্ত হয়।
আগ্রায় সঞ্জিত ইব্রাহিম লোদীর ধন-দৌলত বাবরের হস্তগত হওয়ায় তার আর্থিক সঙ্কট কিছুটা দূর হয়। ঐতিহাসিক আর. পি. ত্রিপাটী এই যুদ্ধকে এক চূড়ান্ত ক্ষমতার নির্ণায়ক যুদ্ধ বলে মন্তব্য করেছেন। তাঁর মতে, পানিপথের যুদ্ধ জয়লাভের ফলে মহান মুঘল সাম্রাজ্যের পত্তন সূচনা হয়েছিল।
তবে একথা সত্য যে পানিপথের যুদ্ধ জয়লাভের ফলে উত্তর ভারতের রাজনৈতিক কর্তৃত্ব সম্পূর্ণভাবে বাবরের হাতে আসেনি। এইজন্য তাকে মেবারের রানা সংগ্রাম সিংহ এবং পূর্ব ভারতের আফগানদের বিরুদ্ধে আরো দুটি যুদ্ধে অবতীর্ণ হতে হয়। এই কারণে ঐতিহাসিক সতীশচন্দ্র, কে. কে. দত্ত প্রমূখ ঐতিহাসিকেরা পানিপথের যুদ্ধকে এক চূড়ান্ত ক্ষমতার নির্ণায়ক যুদ্ধ বলে মনে করেন না। তবে কালীকিঙ্কর দত্তের মতে, পানিপথের যুদ্ধ ছিল ভারতের মুঘল সাম্রাজ্যের স্থাপনের সোপান মাত্র।
এই যুদ্ধে বাবর এর ক্ষুদ্র গোলন্দাজ বাহিনীর কাছে ইব্রাহিমের বিশাল সেনাবাহিনী পরাজিত হয় এবং ইব্রাহিম লোদী নিহত হন।
যুদ্ধের সৈনিক |
পানিপথের প্রথম যুদ্ধ ভারতের ইতিহাসে অতি গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধ। এই যুদ্ধের ফলে লোদী বংশের শাসন ক্ষমতা চিরতরে অবলুপ্ত হয়, দিল্লি ও আগ্রা পর্যন্ত বিস্তীর্ণ অঞ্চল বাবরের অধিকারে আসে এবং জৌনপুর পর্যন্ত সমৃদ্ধশালী গঙ্গা-যমুনা উপত্যাকার দরজা উন্মুক্ত হয়।
আগ্রায় সঞ্জিত ইব্রাহিম লোদীর ধন-দৌলত বাবরের হস্তগত হওয়ায় তার আর্থিক সঙ্কট কিছুটা দূর হয়। ঐতিহাসিক আর. পি. ত্রিপাটী এই যুদ্ধকে এক চূড়ান্ত ক্ষমতার নির্ণায়ক যুদ্ধ বলে মন্তব্য করেছেন। তাঁর মতে, পানিপথের যুদ্ধ জয়লাভের ফলে মহান মুঘল সাম্রাজ্যের পত্তন সূচনা হয়েছিল।
তবে একথা সত্য যে পানিপথের যুদ্ধ জয়লাভের ফলে উত্তর ভারতের রাজনৈতিক কর্তৃত্ব সম্পূর্ণভাবে বাবরের হাতে আসেনি। এইজন্য তাকে মেবারের রানা সংগ্রাম সিংহ এবং পূর্ব ভারতের আফগানদের বিরুদ্ধে আরো দুটি যুদ্ধে অবতীর্ণ হতে হয়। এই কারণে ঐতিহাসিক সতীশচন্দ্র, কে. কে. দত্ত প্রমূখ ঐতিহাসিকেরা পানিপথের যুদ্ধকে এক চূড়ান্ত ক্ষমতার নির্ণায়ক যুদ্ধ বলে মনে করেন না। তবে কালীকিঙ্কর দত্তের মতে, পানিপথের যুদ্ধ ছিল ভারতের মুঘল সাম্রাজ্যের স্থাপনের সোপান মাত্র।
তথ্যসূত্র
- সতীশ চন্দ্র, "মধ্যযুগে ভারত"
- শেখর বন্দ্যোপাধ্যায়, "অষ্টাদশ শতকের মুঘল সংকট ও আধুনিক ইতিহাস চিন্তা"
- অনিরুদ্ধ রায়, "মুঘল সাম্রাজ্যের উত্থান-পতনের ইতিহাস"
- Shireen Moosvi, "People, Taxation and Trade in Mughal India".
সম্পর্কিত বিষয়
- মুঘল মুদ্রা ব্যবস্থা (আরো পড়ুন)
- মুঘল চিত্রকলা (আরো পড়ুন)
- 1707 থেকে 1740 সালের মধ্যে মুঘল রাজ দরবারে বিভিন্ন দলগুলির উন্নতি এবং তাদের রাজনীতি (আরো পড়ুন)
- মুঘল আমলে সেচ ব্যবস্থা (আরো পড়ুন)
- মুঘল ভারতের ব্যাংকার এবং ব্যবসায়ী সম্প্রদায় (আরো পড়ুন)
সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ| আশাকরি আমাদের এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগলো| আপনার যদি এই পোস্টটি সম্বন্ধে কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে নিচে কমেন্টের মাধ্যমে আমাদেরকে জানাতে পারেন এবং অবশ্যই পোস্টটি শেয়ার করে অপরকে জানতে সাহায্য করুন|
......................................................