তুর্ক-আফগান যুগের একটি বিখ্যাত ঐতিহাসিক গ্রন্থ হল ফুতুহ-উস-সালাতিন। আনুমানিক 1348 খ্রিস্টাব্দে পারসিক ভাষায় এই গ্রন্থটি রচনা করেন বিখ্যাত ঐতিহাসিক মহাম্মদ ইসামী।
এই গ্রন্থে সুলতান মাহমুদের আমল থেকে মুহাম্মদ-বিন-তুঘলকের আমল পর্যন্ত ঘটনার বর্ণনা পাওয়া যায়। মিনহাজ উদ্দিনের তবকাত-ই-নাসিরী এবং বরনীর তারিখ-ই-ফিরোজশাহী গ্রন্থ দুটির মধ্যে যোগসূত্র হিসাবে কাজ করেছে ইসামীর এই গ্রন্থটি।
মিনহাজ নাসিরুদ্দিন মাহমুদের রাজত্বের প্রথম পর্ব আলোচনা করেছেন। বরনী তার লেখা শুরু করেছেন বলবনের শাসনকাল থেকে। এর মধ্যবর্তী কয়েকটি বছর এরা কেউ কিছু উল্লেখ করেননি। সেটি ফাঁকটি পূরণ করেছেন ইসামী।
ইসামীর বিবরণ থেকে মুহাম্মদ বিন তুঘলকের রাজধানী স্থানান্তরের বিবরণ পাওয়া যায়। মুহাম্মদ বিন তুঘলকের নির্দেশে ইসামীর পরিবারকেও দিল্লি থেকে দেবগিরিতে যেতে বাধ্য করা হয়েছিল। দীর্ঘ যাত্রাপথে ইসামীর 90 বছরের পিতামহ মারা যান। এই কারণে ইসামীর রচনায় মুহাম্মদ বিন তুঘলকের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা লক্ষ্য করা যায়। তা সত্ত্বেও ইতিহাসের উপাদান হিসেবে ফুতুহ-উস-সালাতিন গ্রন্থটির গুরুত্বকে অস্বীকার করা যায় না|
তথ্যসূত্র
- সতীশ চন্দ্র, "মধ্যযুগে ভারত"
- Upinder Singh, "A History of Ancient and Early Medieval India".
- Satosj Cjamdra, "Medieval India".
সম্পর্কিত বিষয়
- ইউরোপের দাস প্রথার ইতিহাস (আরো পড়ুন)
- দাস ব্যবসা এবং ইউরোপের উপর তার প্রভাব (আরো পড়ুন)
- 1707 থেকে 1740 সালের মধ্যে মুঘল রাজ দরবারে বিভিন্ন দলগুলির উন্নতি এবং তাদের রাজনীতি (আরো পড়ুন)
- মুঘল আমলে সেচ ব্যবস্থা (আরো পড়ুন)
সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ| আশাকরি আমাদের এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগলো| আপনার যদি এই পোস্টটি সম্বন্ধে কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে নিচে কমেন্টের মাধ্যমে আমাদেরকে জানাতে পারেন এবং অবশ্যই পোস্টটি শেয়ার করে অপরকে জানতে সাহায্য করুন|
......................................................