মোঙ্গলরা ছিলেন মধ্য এশিয়ার এক যাযাবর জাতি। আদিতে/আগে তারা গোবি মরুভূমির দক্ষিণে বসবাস করত। চীনা শব্দ "মং-কু" থেকে মোঙ্গল শব্দটির উৎপত্তি। "মং-কু" কথাটির অর্থ হল সাহসী। মোঙ্গলরা প্রাথমিক পর্যায়ে কতগুলি সামরিক গোষ্ঠীতে বিভক্ত ছিল। পশু পালন, মৎস্য চাষ, শিকার ইত্যাদি ছিল তাদের প্রধান জীবিকা। কৃষিকাজ তারা জানতো না। ধর্মীয় ক্ষেত্রে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি ছিল উদার। মোঙ্গলদের কোনো হরফ বা লিপিমালা ছিল না। একমাত্র "আই ঘুরে" শাখার নিজস্ব হরফ বা লেখার লিপিমালা ছিল।
মোঙ্গলদের আদি ইতিহাস সম্পর্কে খুব সামান্যই তথ্য জানা যায়। এক্ষেত্রে একটি মাত্র চিনা গ্রন্থ "ময়ান-চাও-পিশি" মোঙ্গলদের ইতিহাস জানতে আমাদের সাহায্য করে। সুলতানি যুগের কবি তথা ঐতিহাসিক আমীর খসরুর একবার মোঙ্গলদের হাতে বন্দী হয়েছিলেন। তিনি তার "খাজা-ইন-ফতুয়া" গ্রন্থে মঙ্গলদের স্বভাব-চরিত্র ও জীবন-যাপন প্রণালীর সম্পর্কে বর্ণনা দিয়েছেন। তিনি মোঙ্গলদের খর্বাকৃতি, কোটরা চক্ষু বিশিষ্ট, বিধর্মী ও নিষ্ঠুর প্রকৃতির বলে বর্ণনা করেছেন। তবে প্রবল কষ্ট-সহিষ্ণু, সুনীপুন-অশ্বারোহী ও যোদ্ধা হিসেবে তাদের সুনাম ছিল। লুুঠরাজেও তারা ছিল পারদর্শী।
মঙ্গল নেতা কুবলাই খাঁ সর্বপ্রথম মোঙ্গলদের ঐক্যবদ্ধ করেন। তবে কুবলাই খাঁর বংশধর জেসুগাই এর পুত্র চেঙ্গিস খাঁ ত্রয়োদশ শতকেশ মোঙ্গলদের ঐক্যবদ্ধ করে দিগ্বিজয়ে বেরিয়ে পড়েন। তিনি মধ্য ও পশ্চিম এশিয়ার বিভিন্ন স্থান দখল করে এক বিশাল সাম্রাজ্যের অধীশ্বর হয়ে উঠেছিলেন।
গোবি মরুভূমি |
গোবি মরুভূমি |
গোবি মরুভূমি |
মোঙ্গলদের আদি ইতিহাস সম্পর্কে খুব সামান্যই তথ্য জানা যায়। এক্ষেত্রে একটি মাত্র চিনা গ্রন্থ "ময়ান-চাও-পিশি" মোঙ্গলদের ইতিহাস জানতে আমাদের সাহায্য করে। সুলতানি যুগের কবি তথা ঐতিহাসিক আমীর খসরুর একবার মোঙ্গলদের হাতে বন্দী হয়েছিলেন। তিনি তার "খাজা-ইন-ফতুয়া" গ্রন্থে মঙ্গলদের স্বভাব-চরিত্র ও জীবন-যাপন প্রণালীর সম্পর্কে বর্ণনা দিয়েছেন। তিনি মোঙ্গলদের খর্বাকৃতি, কোটরা চক্ষু বিশিষ্ট, বিধর্মী ও নিষ্ঠুর প্রকৃতির বলে বর্ণনা করেছেন। তবে প্রবল কষ্ট-সহিষ্ণু, সুনীপুন-অশ্বারোহী ও যোদ্ধা হিসেবে তাদের সুনাম ছিল। লুুঠরাজেও তারা ছিল পারদর্শী।
মঙ্গল নেতা কুবলাই খাঁ সর্বপ্রথম মোঙ্গলদের ঐক্যবদ্ধ করেন। তবে কুবলাই খাঁর বংশধর জেসুগাই এর পুত্র চেঙ্গিস খাঁ ত্রয়োদশ শতকেশ মোঙ্গলদের ঐক্যবদ্ধ করে দিগ্বিজয়ে বেরিয়ে পড়েন। তিনি মধ্য ও পশ্চিম এশিয়ার বিভিন্ন স্থান দখল করে এক বিশাল সাম্রাজ্যের অধীশ্বর হয়ে উঠেছিলেন।
মঙ্গোলদের ভারত আক্রমণ
সুপ্রাচীন কাল থেকেই ভারতের বিরুদ্ধে বহিঃশত্রুর আক্রমণ হতো কেবলমাত্র একটি পথ দিয়ে, তাহলো উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত পথ। সুতরাং ভারতীয় শাসকদের সীমান্ত নীতির প্রধান উদ্দেশ্য ছিল- উক্ত অঞ্চল সুরক্ষিত করা। একাদশ ও দ্বাদশ শতাব্দীতে যখন হিন্দুকুশ পর্বতের উভয় দিক গজনী শাসকদের অধীন ছিল, তখন এই সীমান্ত সমস্যা প্রকট হয়ে দেখা দেয়নি। কিন্তু মোঙ্গলদের ক্রমাগত আক্রমণের ফলে যখন হিন্দুকুশ পশ্চিমাঞ্চল গজনীর শাসকদের হস্তচুত্য হয়, তখন ভারতীয় শাসক কঠিন সীমান্তত সমস্যা জড়িয়ে পড়তে হয়।
সাধারণভাবে বলা যায়, পূর্বে দিল্লির সুলতানরা মোঙ্গলদের প্রতি নির্লিপ্ততা ও তোষণ নীতি অনুসরণ করেছিলেন। বলবন ও তার পরবর্তী শাসকেরা মোঙ্গলদের বিরুদ্ধে কঠিন প্রতিরোধ গড়ে তুলেন।
অন্যদিকে তাকে অনুসরণ করে সিন্ধু নদীর তীরে এসে উপস্থিত হন। জালাল উদ্দিন ইলতুৎমিসের প্রার্থী হলে ভবিষ্যৎ বিপদের কথা চিন্তা করে ইলতুৎমিস এক্ষেত্রে নিরপেক্ষতার নীতি অনুসরণ করাই বাঞ্ছনীয় বলে মনে করেন। জালাল উদ্দিনকে দূরে রাখার নীতিকে সন্তুষ্ট হয়ে ভারত সীমান্ত থেকেই ফিরে যান।
বলবন সীমান্ত অঞ্চলে সরাসরি দুর্গ নির্মাণ করে সেইসব দুর্গ শক্তিশালী আফগান সেনাবাহিনী মোতায়নের ব্যবস্থা করেন। শের খাঁ মতো সুদক্ষ যোদ্ধাকে তিনি উত্তর-পশ্চিম সীমান্তে প্রহরীর হিসেবে নিযুক্ত করেন। শের খাঁ এর মৃত্যুর পর উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত এলাকাকে সুপরিকল্পিত ভাবে দুটি ভাগে ভাগ করে। মুলতান, সিন্ধু ও ভচের প্রতিরক্ষার দায়িত্ব্ব জ্যেষ্ঠপুত্র মোহাম্মদকে এবং সুুনাম, সামানা ও দীপালপুর দায়িত্ব দেন কনিষ্ঠ পুত্র বুগরা খাঁর হাতে।
সীমান্ত নিরাপত্তা সুদূর করার পাশাপাশি তিনি ইরানের মোঙ্গল শাসক হলাকুর নিকট পাঠিয়ে মোঙ্গলদের সঙ্গে বোঝাপড়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু এসব বিধি-ব্যবস্থা গ্রহণ করা সত্ত্বেও বলবনের পক্ষে মোঙ্গল আক্রমণের প্রতিহত করা সম্ভব হয়নি। 1285 খ্রিস্টাব্দে তৈমুর খাঁর নেতৃত্বে মোঙ্গলরা বিপাশা নদী অতিক্রম করে দীপালপুর আক্রমণ করে বসেন। এই আক্রমণের ফলে বলবনের জ্যেষ্ঠপুত্র মহম্মদ মারা যান।
এই আক্রমণের পর আলাউদ্দিন সাম্রাজ্যের নিরাপত্তার জন্য বলবনের অনুকরণে কতগুলি গুরুত্বপূর্ণ বিধি ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। সীমান্তবর্তী দুর্গগুলি সংস্কার সাধনের পাশাপাশি সেখানে নতুন নতুন দুর্গ নির্মাণ করেন। স্থায়ী সেনাবাহিনীর এক বিশাল অংশকে তিনি সীমান্ত এলাকাতে মোতায়নের ব্যবস্থা করেন। আক্রমণের মুহূর্তে দ্রুত সাহায্য দানের জন্য একটি বিশেষ বাহিনী মোতায়েন করেন। গাজী মালিকের মতো সুদক্ষ যোদ্ধাকে সীমান্তের প্রহরী পদে নিয়োগ করেন। এইসব বিধিব্যবস্থা ফলে মোঙ্গল আক্রমণের ধারা কিছুটা শীতল হলেও একেবারে বন্ধ হয়ে যায়নি। 1305 খিষ্টাব্দে আলিবেগের নেতৃত্বে মঙ্গোলরা ভারতের বিরুদ্ধে আক্রমণ চালায়। গাজী মালিক এই আক্রমণ প্রতিরোধ করেন। 1307 খিস্টাব্দে ইকবাল মন্দ-এর নেতৃত্বে মঙ্গোলরা ভারত আক্রমণের চেষ্টা করে, যা ছিল আলাউদ্দিনের আমলের শেষ মোঙ্গল আক্রমণ। এবারেও সুলতানি বাহিনীর হাতে তারা পরাজিত হয়।
আলাউদ্দিন এরপরেও সুলতানি সাম্রাজ্যকে মোঙ্গল আক্রমণে মোকাবেলা করতে হয়েছিল। এইসব মোঙ্গল আক্রমণের তীব্রতা তেমন ছিল না। যেমন এই সময়় মঙ্গোলরা নিজেদের অন্তর্কলহে দুর্বল হয়ে গিয়েছিল।
সাধারণভাবে বলা যায়, পূর্বে দিল্লির সুলতানরা মোঙ্গলদের প্রতি নির্লিপ্ততা ও তোষণ নীতি অনুসরণ করেছিলেন। বলবন ও তার পরবর্তী শাসকেরা মোঙ্গলদের বিরুদ্ধে কঠিন প্রতিরোধ গড়ে তুলেন।
ইলতুৎমিসের আমলে মোঙ্গল আক্রমণ
1221 খিস্টাব্দে মোঙ্গল নেতা চেঙ্গিস খাঁ সর্বপ্রথম ভারতের মাটিতে পদার্পণ করেন। যদিও চেঙ্গিস খাঁ ভারত আক্রমণের উদ্দেশ্যে এদেশে আসেননি। চেঙ্গিস খাঁ যখন মধ্য ও পশ্চিম এশিয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চল পদানত করে খারিজম রাজ্য আক্রমণ করে বসেন, তখন সেখানকার সম্রাট জালাল উদ্দিন আত্মরক্ষার্থে পাঞ্জাবে পালিয়ে আসেন।অন্যদিকে তাকে অনুসরণ করে সিন্ধু নদীর তীরে এসে উপস্থিত হন। জালাল উদ্দিন ইলতুৎমিসের প্রার্থী হলে ভবিষ্যৎ বিপদের কথা চিন্তা করে ইলতুৎমিস এক্ষেত্রে নিরপেক্ষতার নীতি অনুসরণ করাই বাঞ্ছনীয় বলে মনে করেন। জালাল উদ্দিনকে দূরে রাখার নীতিকে সন্তুষ্ট হয়ে ভারত সীমান্ত থেকেই ফিরে যান।
রাজিয়া সুলতানা
চেঙ্গিস খাঁর মৃত্যুর পর অভ্যন্তরীণ গোলযোগের জন্য মোঙ্গলরা ভারত আক্রমণের ব্যাপারে মাথা ঘামাতে পারেননি। কিন্তু রাজিয়ার শাসনকালে মোঙ্গল সেনারা পাঞ্জাব সীমান্ত আক্রমণ করে বসে। এক্ষেত্রে রাজিয়াও পিতা মতোই নিরপেক্ষতা নীতি অবলম্বন করেন। কিন্তু রাজিয়ার মৃত্যুর পর বাহরাম শাহের আমলে তৈর বারহাদুর এর নেতৃত্বে সীমান্ত এলাকায় হানা দিয়ে লোহার শহরটি দখল করে নেন। এভাবে মোঙ্গলদের ক্রমাগত আক্রমণের ফলে ত্রয়োদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে সুলতান ও সিন্ধু দেশের উপর সুলতানি কর্তৃত্ব শিথিল হয়ে যায়।বলবন
বাস্তবধর্মী রাজনীতিবিদ বলবন বুঝতে পেরেছিলেন যে, মোঙ্গল আক্রমণ প্রতিহত করতে না পারলে নবতুর্কি শাসনের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে দাঁড়াবে। পূর্বসূরিদের নিলিপ্ত ও তোষণ নীতি বিসর্জন দিয়ে তিনি বুদ্ধিমত্তা ও কূটকৌশলের মাধ্যমে মোঙ্গল আক্রমণ প্রতিহত করার চেষ্টা করেন। বলবনই ছিলেন দিল্লির প্রথম সুলতান যিনি মোঙ্গলদের আক্রমণ প্রতিহত করার জন্য গঠনমূলক কর্মসূচি গ্রহণ করেছিলেন।বলবন সীমান্ত অঞ্চলে সরাসরি দুর্গ নির্মাণ করে সেইসব দুর্গ শক্তিশালী আফগান সেনাবাহিনী মোতায়নের ব্যবস্থা করেন। শের খাঁ মতো সুদক্ষ যোদ্ধাকে তিনি উত্তর-পশ্চিম সীমান্তে প্রহরীর হিসেবে নিযুক্ত করেন। শের খাঁ এর মৃত্যুর পর উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত এলাকাকে সুপরিকল্পিত ভাবে দুটি ভাগে ভাগ করে। মুলতান, সিন্ধু ও ভচের প্রতিরক্ষার দায়িত্ব্ব জ্যেষ্ঠপুত্র মোহাম্মদকে এবং সুুনাম, সামানা ও দীপালপুর দায়িত্ব দেন কনিষ্ঠ পুত্র বুগরা খাঁর হাতে।
সীমান্ত নিরাপত্তা সুদূর করার পাশাপাশি তিনি ইরানের মোঙ্গল শাসক হলাকুর নিকট পাঠিয়ে মোঙ্গলদের সঙ্গে বোঝাপড়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু এসব বিধি-ব্যবস্থা গ্রহণ করা সত্ত্বেও বলবনের পক্ষে মোঙ্গল আক্রমণের প্রতিহত করা সম্ভব হয়নি। 1285 খ্রিস্টাব্দে তৈমুর খাঁর নেতৃত্বে মোঙ্গলরা বিপাশা নদী অতিক্রম করে দীপালপুর আক্রমণ করে বসেন। এই আক্রমণের ফলে বলবনের জ্যেষ্ঠপুত্র মহম্মদ মারা যান।
খলজি
খলজি বংশের সুলতানের রাজত্বকালে মোঙ্গলরা তাদের ভারত আক্রমণের নীতি আমূল পরিবর্তন করে। এতকাল পর্যন্ত তারা সীমান্ত অঞ্চলে আক্রমণ সীমাবদ্ধ রেখেছিল। কিন্তু খলজিদের সময় থেকে তারা দিল্লি আক্রমণ ও অধিকার করার পরিকল্পনা নেয়।নব মুসলমান
আলাউদ্দিন খলজি রাজত্বকালে 1292 খ্রিস্টাব্দে মোঙ্গলরা আব্দুল্লাহ খাঁর নেতৃত্বে ভারত আক্রমণ করে।এবং সুনাম পর্যন্ত অগ্রসর হয়, কিন্তু সুলতান তাদের পরাজিত করে। এ সময় চেঙ্গিস খাঁর বংশধর "হলাগু"-র নেতৃত্বে কয়েক হাজার মোঙ্গল ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে এবং সুলতান জালাল উদ্দিন এদেরকে দিল্লির উপকণ্ঠে বসবাস করার অনুমতি দেন। এরা "নব-মুসলমান" নামে পরিচিত।আলাউদ্দিন
আলাউদ্দিন এর আমলে মোঙ্গল আক্রমণে ভয়াবহ আকার ধারণ করে করেছিল। সিংহাসন আরোহনের অব্যাহতি করে চাগতায় মোঙ্গলরা পর পর দুইবার ভারত আক্রমণ করে। কিন্তু আলাউদ্দিনের খ্যাতনামা সেনাপতি জাফর খাঁ তাদের বিতাড়িত করেন। এরপর 1299 খ্রিস্টাব্দে দবাখাঁর পুত্র কুতর্ক খাঁজার নেতৃত্বে মোঙ্গলরা দিল্লি আক্রমণ করে। জাফর খাঁ মোঙ্গলদের বিতাড়িত করতে সক্ষম হলেন বটে, কিন্তু তিনি যুদ্ধে নিহত হন। 1303 খিস্টাব্দে আলাউদ্দিন যখন অভিযানে ব্যস্ত ছিলেন, তখন মোঙ্গলরা জনৈক ব্যক্তির নেতৃত্বে দিল্লি আক্রমণ করে। আলাউদ্দিন কোন ক্রমে মঙ্গোলদের পরাজয় এবং বিতাড়িত করতে সক্ষম হন।যুদ্ধ |
এই আক্রমণের পর আলাউদ্দিন সাম্রাজ্যের নিরাপত্তার জন্য বলবনের অনুকরণে কতগুলি গুরুত্বপূর্ণ বিধি ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। সীমান্তবর্তী দুর্গগুলি সংস্কার সাধনের পাশাপাশি সেখানে নতুন নতুন দুর্গ নির্মাণ করেন। স্থায়ী সেনাবাহিনীর এক বিশাল অংশকে তিনি সীমান্ত এলাকাতে মোতায়নের ব্যবস্থা করেন। আক্রমণের মুহূর্তে দ্রুত সাহায্য দানের জন্য একটি বিশেষ বাহিনী মোতায়েন করেন। গাজী মালিকের মতো সুদক্ষ যোদ্ধাকে সীমান্তের প্রহরী পদে নিয়োগ করেন। এইসব বিধিব্যবস্থা ফলে মোঙ্গল আক্রমণের ধারা কিছুটা শীতল হলেও একেবারে বন্ধ হয়ে যায়নি। 1305 খিষ্টাব্দে আলিবেগের নেতৃত্বে মঙ্গোলরা ভারতের বিরুদ্ধে আক্রমণ চালায়। গাজী মালিক এই আক্রমণ প্রতিরোধ করেন। 1307 খিস্টাব্দে ইকবাল মন্দ-এর নেতৃত্বে মঙ্গোলরা ভারত আক্রমণের চেষ্টা করে, যা ছিল আলাউদ্দিনের আমলের শেষ মোঙ্গল আক্রমণ। এবারেও সুলতানি বাহিনীর হাতে তারা পরাজিত হয়।
আলাউদ্দিন এরপরেও সুলতানি সাম্রাজ্যকে মোঙ্গল আক্রমণে মোকাবেলা করতে হয়েছিল। এইসব মোঙ্গল আক্রমণের তীব্রতা তেমন ছিল না। যেমন এই সময়় মঙ্গোলরা নিজেদের অন্তর্কলহে দুর্বল হয়ে গিয়েছিল।
তথ্যসূত্র
- Thomas T. Allsen, "Commodity and Exchange in the Mongol Empire".
- Charles River Editors, "The Mamluks: The History and Legacy of the Medieval Slave Soldiers Who Established a Dynasty in Egypt".
সম্পর্কিত বিষয়
- সুফিবাদ (আরো পড়ুন)
- গুরু নানক কে ছিলেন (আরো পড়ুন)
- মুঘল আমলে বাংলার সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা (আরো পড়ুন)
- 1707 থেকে 1740 সালের মধ্যে মুঘল রাজ দরবারে বিভিন্ন দলগুলির উন্নতি এবং তাদের রাজনীতি (আরো পড়ুন)
- মুঘল আমলে সেচ ব্যবস্থা (আরো পড়ুন)
সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ| আশাকরি আমাদের এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগলো| আপনার যদি এই পোস্টটি সম্বন্ধে কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে নিচে কমেন্টের মাধ্যমে আমাদেরকে জানাতে পারেন এবং অবশ্যই পোস্টটি শেয়ার করে অপরকে জানতে সাহায্য করুন|
......................................................