আদি মধ্যযুগের জৈন, বৌদ্ধ, বৈষ্ণব, শৈব প্রভৃতি মন্দিরগুলিকে নিষ্কর ভূমি দানের ফলে মন্দির গুলি আর্থিক দিক থেকে স্বনির্ভর হয়েছিল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এর ফলে মন্দিরগুলিকে কেন্দ্র করে নগরায়ন ঘটা অসম্ভব নয়। রামশরণ শর্মার "নগরের অবক্ষয়" তথ্যটিকে আর. চম্পক লক্ষ্মী, বজেন্দ্র দুলাাল চট্টোপাধ্যায় প্রমূখ ঐতিহাসিকেরা অস্বীকার করেছেন।
আর. চম্পক লক্ষ্মী তাঁর "Growth of urban centres in south india" শীর্ষক প্রবন্ধে দক্ষিণ ভারতের নগরের উদ্ভব ও বিকাশের ধর্মীয় মন্দিরগুলির অর্থনৈতিক ক্রিয়া-কলাপ এর কথা তুলে ধরেছেন। তিনি মনে করেন, দক্ষিণ ভারতের নগর গুলি উদ্ভবের পেছনে কৃষিপণ্যের এক নির্ভরযোগ্য পশ্চাৎভূমি ছিল।
কৃষিপণ্য স্থানীয়ভাবে উৎপন্ন দ্রব্য ও বিলাস সামগ্রী এবং দু'দেশের বিভিন্ন পণ্য সম্ভারকে ভিত্তি করে গড়ে ওঠা বাণিজ্যিক নগর কেন্দ্রগুলির বিকাশের সহায়ক হয়। প্রসঙ্গ উল্লেখ যে, স্থানীয় ভিত্তিতে উৎপাদিত পণ্য সমূহ স্থানীয় সম্ভান্ত ব্যক্তিবর্গের এবং মন্দিরগুলির চাহিদা মেটাতে পারতো না। এর ফলে ভ্রাম্যমান বণিকেরা ওই চাহিদা মেটানোর জন্য পণ্যসম্ভার নিয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকায় আসতে থাকে।
বহু বণিক ও কারিগর সেখানে বসবাস করতে থাকে ও সেখানে মন্দির কর্তৃপক্ষের ইন্ধন পেতে থাকে। স্বাভাবিকভাবেই এলাকাটির বাণিজ্যিক গুরুত্ব বৃদ্ধি পায়। এর সূত্র ধরে নগরের উদ্ভব ও বিকাশের ক্ষেত্র প্রস্তুত হয়। চোল আমলে এই সমস্ত উৎপাদন গুলি কাবেরী বদ্বীপে অবস্থিত কুড়োমক্কু-পলইয়ারই নামক যুগ্ম শহরের উত্থানের সহায়ক হয়েছিল বলে চম্পক লক্ষ্মী মনে করেন। এছাড়াও মন্দিরে ছত্রছায়ায় দক্ষিণ ভারতে কাঞ্চীপুরম, মাদুরান্টাকাম প্রভৃতি শহরগুলিচ বিকশিত হয়েছিল।
মন্দির |
মন্দির |
আর. চম্পক লক্ষ্মী তাঁর "Growth of urban centres in south india" শীর্ষক প্রবন্ধে দক্ষিণ ভারতের নগরের উদ্ভব ও বিকাশের ধর্মীয় মন্দিরগুলির অর্থনৈতিক ক্রিয়া-কলাপ এর কথা তুলে ধরেছেন। তিনি মনে করেন, দক্ষিণ ভারতের নগর গুলি উদ্ভবের পেছনে কৃষিপণ্যের এক নির্ভরযোগ্য পশ্চাৎভূমি ছিল।
কৃষিপণ্য স্থানীয়ভাবে উৎপন্ন দ্রব্য ও বিলাস সামগ্রী এবং দু'দেশের বিভিন্ন পণ্য সম্ভারকে ভিত্তি করে গড়ে ওঠা বাণিজ্যিক নগর কেন্দ্রগুলির বিকাশের সহায়ক হয়। প্রসঙ্গ উল্লেখ যে, স্থানীয় ভিত্তিতে উৎপাদিত পণ্য সমূহ স্থানীয় সম্ভান্ত ব্যক্তিবর্গের এবং মন্দিরগুলির চাহিদা মেটাতে পারতো না। এর ফলে ভ্রাম্যমান বণিকেরা ওই চাহিদা মেটানোর জন্য পণ্যসম্ভার নিয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকায় আসতে থাকে।
বহু বণিক ও কারিগর সেখানে বসবাস করতে থাকে ও সেখানে মন্দির কর্তৃপক্ষের ইন্ধন পেতে থাকে। স্বাভাবিকভাবেই এলাকাটির বাণিজ্যিক গুরুত্ব বৃদ্ধি পায়। এর সূত্র ধরে নগরের উদ্ভব ও বিকাশের ক্ষেত্র প্রস্তুত হয়। চোল আমলে এই সমস্ত উৎপাদন গুলি কাবেরী বদ্বীপে অবস্থিত কুড়োমক্কু-পলইয়ারই নামক যুগ্ম শহরের উত্থানের সহায়ক হয়েছিল বলে চম্পক লক্ষ্মী মনে করেন। এছাড়াও মন্দিরে ছত্রছায়ায় দক্ষিণ ভারতে কাঞ্চীপুরম, মাদুরান্টাকাম প্রভৃতি শহরগুলিচ বিকশিত হয়েছিল।
তথ্যসূত্র
- সুনীল চট্টোপাধ্যায় "প্রাচীন ভারতের ইতিহাস" (প্রথম খন্ড)
- Poonam Dalal Dahiya, "Ancient and Medieval India"
- Upinder Singh, "A History of Ancient and Early Medieval India: From the Stone Age to the 12th Century"
সম্পর্কিত বিষয়
- ঋক বৈদিক যুগ এবং পরবর্তী বৈদিক যুগের ধর্মীয় ভাবনা (আরো পড়ুন)
- বৈদিক এবং ঋক বৈদিক যুগে প্রশাসনিক ব্যবস্থা (আরো পড়ুন)
- প্রাচীন ভারতীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য (আরো পড়ুন)
সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ| আশাকরি আমাদের এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগলো| আপনার যদি এই পোস্টটি সম্বন্ধে কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে নিচে কমেন্টের মাধ্যমে আমাদেরকে জানাতে পারেন এবং অবশ্যই পোস্টটি শেয়ার করে অপরকে জানতে সাহায্য করুন|
.......................................