পাল রাজারা বিদ্যা ও বিদ্বানের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল এই যুগের শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয়। পাল রাজারা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। বিশেষ করে পাল রাজ দেবপাল নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রচুর অর্থ ব্যয় করেছিলেন।
পাল রাজাদের উৎসাহে ওদন্তপুর, বিক্রমশিলা ও সোমপুরী নামে তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় এবং জগদ্বল, দেবীকোট, পান্ডুভূমি প্রভৃতি মহাবিহার ও বৌদ্ধ শিক্ষা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয়।
বিদ্যা চর্চার ক্ষেত্রে এই যুগের বিক্রমশিলা মহাবিহার নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষতিহরণ করেছিল। বর্তমানে বিহারের ভাগলপুরের কাছে এই মহাবিহারটি অবস্থিত। পাল রাজ ধর্মপাল কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠিতা দেশ-বিদেশের বহু ছাত্র সমগত হতেন। বৌদ্ধধ ধর্মশাস্ত্র, ন্যায়, তর্ক শাস্ত্র, দর্শন, ব্যাকরণ, জ্যোতির্বিদ্যা, চিকিৎসা বিদ্যা প্রভৃতি বিষয়ে এখানে পাঠ দান হতো। অভয়াকর গুপ্ত, অতীশ দীপঙ্কর, শ্রীধর, কল্যানক্ষীত প্রমুখ ভারত বিখ্যাত পণ্ডিতেরা এখানে অধ্যাপনা করতেন।
সোমপুরী বিশ্ববিদ্যালয় এবং নালন্দার কাছে অবস্থিত ওদন্তপুর বিশ্ববিদ্যালয়টিও ধর্মপাল প্রতিষ্ঠা করেন। মহাযান বৌদ্ধ ধর্মের অনুশীলন কেন্দ্র হিসেবে ওদন্তপুরী বিশ্ববিদ্যালয় খ্যাতি লাভ করেছিল। বিখ্যাত দার্শনিক শীলরক্ষিত এই বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যক্ষ ছিলেন।
তথ্যসূত্র
- অধ্যাপক গোপালকৃষ্ণ পাহাড়ী, "মধ্যকালীন ভারত"
- সতীশ চন্দ্র, "মধ্যযুগে ভারত"
- Poonam Dalal Dahiya, "Ancient and Medieval India"
- Upinder Singh, "A History of Ancient and Early Medieval India: From the Stone Age to the 12th Century"
সম্পর্কিত বিষয়
- সুফিবাদ (আরো পড়ুন)
- গুরু নানক কে ছিলেন (আরো পড়ুন)
- মুঘল আমলে বাংলার সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা (আরো পড়ুন)
- 1707 থেকে 1740 সালের মধ্যে মুঘল রাজ দরবারে বিভিন্ন দলগুলির উন্নতি এবং তাদের রাজনীতি (আরো পড়ুন)
- মুঘল আমলে সেচ ব্যবস্থা (আরো পড়ুন)
সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ| আশাকরি আমাদের এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগলো| আপনার যদি এই পোস্টটি সম্বন্ধে কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে নিচে কমেন্টের মাধ্যমে আমাদেরকে জানাতে পারেন এবং অবশ্যই পোস্টটি শেয়ার করে অপরকে জানতে সাহায্য করুন|
......................................................