বিষ্ণুর উপাসক আলবারদের প্রচারের ফলে দক্ষিণ ভারতে বৈষ্ণব ধর্মের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায়। ঐতিহ্য অনুযায়ী 12 জন আলবার ছিলেন। খ্রিস্টীয় সপ্তম শতক থেকে নবম শতকের মধ্যে নারায়ন, কৃষ্ণ, রাম ও বামন অবতারের মহাত্মা কীর্তন এবং গোপীদের সঙ্গে শ্রীকৃষ্ণের লীলা বিষয়ক ভক্তিগীতি দ্বারা আলবার সাধকগণ বৈষ্ণব ধর্মকে জনপ্রিয় করে তোলেন।
দক্ষিণ ভারতে আলবারদের এতই সম্মান ছিল যে, বিষ্ণু ও তাঁর অবতারগুলির পাশে আলবারদের প্রতিমা স্থাপন করা হতো। পরবর্তীকালে দক্ষিণ ভারতে আলবার সম্প্রদায়ে ভক্তিমূলক ঐতিহ্য ভিত্তিতে এক বৈষ্ণব ধর্মমত গড়ে উঠে, যা বৈষ্ণব ধর্মমত নামে পরিচিত।
নাথমুনি বা শ্রীরঙ্গনাথাচার্য ছিলেন এই শ্রী বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠাতা। নাথমুনির পৌত্র যামুনাচার্য শ্রী বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের তাত্ত্বিক ভিত্তি স্থাপন করেন। একাদশ শতকের রামানুজ "বিশিষ্টা" দ্বৈতবাদ প্রচার করেন। এই বিশিষ্টা দ্বৈতবাদী শ্রী বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের মূল তত্ত্বের পরিণত হয়েছিল। এই মত অনুসারে চিৎ ও অচিৎ সর্ব বস্তুর উৎস হল ব্রহ্ম। ব্রহ্ম সর্বভূতে বিরাজমান। তিনি এক ও অদ্বিতীয়।
দ্বাদশ শতকে অন্ধ্রপ্রদেশের বেরেলী জেলার তেলেগু ব্রাহ্মণ নির্ম্বাক সনক নামে আরেকটি বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠা করেন। সনক সম্প্রদায়ের দর্শন তত্ত্ব দ্বৈতাদ্বৈতবাদ নামে পরিচিত। এই মত অনুসারে ঈশ্বর, জীব, জড় জগৎ একই সময় পরস্পর থেকে অভিন্ন ও ভিন্ন। শিব বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের উপাস্য দেবতা ছিলেন বিষ্ণু, কিন্তু সনক সম্প্রদায়ের প্রধান দেবতা হলেন গোপী জনবল্লভ গোপালকৃষ্ণ।
আদি মধ্যযুগের শেষ দিকে দক্ষিণ ভারতে মাধ্ব প্রতিষ্ঠা করেন ব্রহ্ম সম্প্রদায় নামে আরেকটি বৈষ্ণব সম্প্রদায়। মাধ্ব ছিলেন দ্বৈতবাদী। মাধ্ব পন্থীদের উপাস্য দেবতা ছিলেন বিষ্ণু ও লক্ষী।
নাথমুনি বা শ্রীরঙ্গনাথাচার্য ছিলেন এই শ্রী বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠাতা। নাথমুনির পৌত্র যামুনাচার্য শ্রী বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের তাত্ত্বিক ভিত্তি স্থাপন করেন। একাদশ শতকের রামানুজ "বিশিষ্টা" দ্বৈতবাদ প্রচার করেন। এই বিশিষ্টা দ্বৈতবাদী শ্রী বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের মূল তত্ত্বের পরিণত হয়েছিল। এই মত অনুসারে চিৎ ও অচিৎ সর্ব বস্তুর উৎস হল ব্রহ্ম। ব্রহ্ম সর্বভূতে বিরাজমান। তিনি এক ও অদ্বিতীয়।
দ্বাদশ শতকে অন্ধ্রপ্রদেশের বেরেলী জেলার তেলেগু ব্রাহ্মণ নির্ম্বাক সনক নামে আরেকটি বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠা করেন। সনক সম্প্রদায়ের দর্শন তত্ত্ব দ্বৈতাদ্বৈতবাদ নামে পরিচিত। এই মত অনুসারে ঈশ্বর, জীব, জড় জগৎ একই সময় পরস্পর থেকে অভিন্ন ও ভিন্ন। শিব বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের উপাস্য দেবতা ছিলেন বিষ্ণু, কিন্তু সনক সম্প্রদায়ের প্রধান দেবতা হলেন গোপী জনবল্লভ গোপালকৃষ্ণ।
আদি মধ্যযুগের শেষ দিকে দক্ষিণ ভারতে মাধ্ব প্রতিষ্ঠা করেন ব্রহ্ম সম্প্রদায় নামে আরেকটি বৈষ্ণব সম্প্রদায়। মাধ্ব ছিলেন দ্বৈতবাদী। মাধ্ব পন্থীদের উপাস্য দেবতা ছিলেন বিষ্ণু ও লক্ষী।
তথ্যসূত্র
- অধ্যাপক গোপালকৃষ্ণ পাহাড়ী, "মধ্যকালীন ভারত"
- সতীশ চন্দ্র, "মধ্যযুগে ভারত"
- Poonam Dalal Dahiya, "Ancient and Medieval India"
- Upinder Singh, "A History of Ancient and Early Medieval India: From the Stone Age to the 12th Century"
সম্পর্কিত বিষয়
- সুফিবাদ (আরো পড়ুন)
- গুরু নানক কে ছিলেন (আরো পড়ুন)
- মুঘল আমলে বাংলার সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা (আরো পড়ুন)
- 1707 থেকে 1740 সালের মধ্যে মুঘল রাজ দরবারে বিভিন্ন দলগুলির উন্নতি এবং তাদের রাজনীতি (আরো পড়ুন)
- মুঘল আমলে সেচ ব্যবস্থা (আরো পড়ুন)
সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ| আশাকরি আমাদের এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগলো| আপনার যদি এই পোস্টটি সম্বন্ধে কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে নিচে কমেন্টের মাধ্যমে আমাদেরকে জানাতে পারেন এবং অবশ্যই পোস্টটি শেয়ার করে অপরকে জানতে সাহায্য করুন|
......................................................