632 খ্রিস্টাব্দে খলিফাতন্ত্রের উৎপত্তি সূচনা থেকেই তুরস্কের সুলতান বিশ্বের মুসলমানদের কাছে খলিফা বা ধর্মগুরু হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
খিলাফত আন্দোলনের কারণ
প্রথম বিশ্বযুদ্ধে তুরস্ক পরাজিত হলে ইংল্যান্ড ও তার মিত্র রাষ্ট্রগুলো সেভের চুক্তির(1920) মাধ্যমে তুরস্কের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। এই চুক্তিতে মিত্রপক্ষ তুরস্কের সাম্রাজ্যের অধিকাংশ ভূখণ্ড দখল করে নেয়।
এমনকি তুরস্কের সুলতান অর্থাৎ খলিফাকে ও ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনা ভারতীয় মুসলমান সমাজে প্রবল ক্ষোভের সঞ্চার করে। খলিফার হৃত মর্যাদা পুনরুদ্ধারের জন্য ভারতীয় মুসলমানরা ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের সূচনা করে, তা খেলাফত বা খিলাফত আন্দোলন নামে পরিচিত।
গান্ধীজী জানতেন, ব্রিটিশ বিরোধী শক্তিশালী গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হলে হিন্দু-মুসলমান ঐক্য একান্তই প্রয়োজন। তাই গান্ধীজি খিলাফত আন্দোলনকে সমর্থন করে সাধারন মুসলিম সম্প্রদায়ের আস্থা অর্জনের সচেষ্ট হয়েছিলেন। এক কথায় মুসলিম সম্প্রদায়কে সঙ্গে নিয়ে ব্রিটিশ বিরোধী একটি ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার উদ্দেশ্যেই গান্ধীজী অহিংস অসহযোগ আন্দোলনের সঙ্গে খিলাফত আন্দোলনকে যুক্ত করেছিলেন।
তথ্যসূত্র
- সুমিত সরকার, "আধুনিক ভারত"
- শেখর বন্দ্যোপাধ্যায়, "পলাশি থেকে পার্টিশন"
- Ishita Banerjee-Dube, "A History of Modern India".
সম্পর্কিত বিষয়
- ১৮৫৮ সালের ভারত শাসন আইন (আরো পড়ুন)
- সম্পদের বহির্গমন তত্ত্ব এবং এটি কিভাবে বাংলার অর্থনীতিকে প্রভাবিত করেছিল (আরো পড়ুন)
- ভারত ছাড়ো আন্দোলনের পটভূমি (আরো পড়ুন)
- গান্ধীজীর ধারণায় হিন্দ স্বরাজ ও সম্প্রীতি তত্ত্বাবধান (আরো পড়ুন)
সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ| আশাকরি আমাদের এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগলো| আপনার যদি এই পোস্টটি সম্বন্ধে কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে নিচে কমেন্টের মাধ্যমে আমাদেরকে জানাতে পারেন এবং অবশ্যই পোস্টটি শেয়ার করে অপরকে জানতে সাহায্য করুন|