1922 সালে গান্ধীজী অসহযোগ আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিলে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে তার বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
এই সময় গান্ধীজি সহ অধিকাংশ কংগ্রেস নেতাই জেলে বন্দী থাকায় ব্রিটিশ বিরোধী জাতীয় আন্দোলন স্মিত হয়ে পড়ে পড়ে ছিল, এর ফলে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে যে শূন্যতা দেখা দিয়েছিল, তা পূরণের জন্য এক বিকল্প রাজনৈতিক কর্মসূচির কথা দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস গোয়া কংগ্রেস অধিবেশনে উত্থাপন করেন।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে 1923 সালে 1 লা জানুয়ারি মতিলাল নেহেরু, সুভাষচন্দ্র বসু, বল্লভভাই প্যাটেল প্রমূখের সাহায্য নিয়ে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস জাতীয় কংগ্রেসের অভ্যন্তরেই স্বরাজ্য দল প্রতিষ্ঠা করেন। এই দলের সভাপতি হন- চিত্তরঞ্জন দাস এবং সম্পাদক হন মতিলাল নেহেরু।
গান্ধীজী |
বল্লভভাই প্যাটেল |
স্বরাজ্য দলের উদ্দেশ্য বা লক্ষ্য
স্বরাজ্য দলের মূল লক্ষ্য ছিল, উপনিবেশিক স্বায়ত্তশাসন অর্জন করা। ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে যে পদক্ষেপগুলো স্বরাজ্য দল নিয়েছিল, সেগুলি হল যথাক্রমে-
- নির্বাচনের মাধ্যমে আইন সভায় প্রবেশ করে সমস্ত সরকারি কাজে সুসংবদ্ধ, নিয়মিত ও নিরন্তন বাধা সৃষ্টি করে সরকারকে অকেজো করে দেওয়া এবং আইন সভায় প্রবেশ করে সরকারের কাজকর্মকে বিরোধিতা করা।
- সরকারি বাজেট প্রত্যাখ্যান করা।
- সুনির্দিষ্ট অর্থনৈতিক নীতি গ্রহণ করে বিদেশী শোষণ বন্ধ করে দেওয়া।
- নানা বিল উপস্থাপন করে জাতীয়তাবাদের অগ্রগতিকে সহায়তা করা।
মূল্যায়ন
স্বরাজ্য দলের নিরন্তন বিরোধিতার জন্যই ব্রিটিশ সরকার 1919 সালে মন্টেগু-চেমসফোর্ড সংস্কার আইনের কার্যকারিতা অনুসন্ধানের জন্য সাইমন কমিশন গঠনে বাধ্য হয়েছিল।
তথ্যসূত্র
- সুমিত সরকার, "আধুনিক ভারত"
- শেখর বন্দ্যোপাধ্যায়, "পলাশি থেকে পার্টিশন"
- Ishita Banerjee-Dube, "A History of Modern India".
সম্পর্কিত বিষয়
- ১৮৫৮ সালের ভারত শাসন আইন (আরো পড়ুন)
- সম্পদের বহির্গমন তত্ত্ব এবং এটি কিভাবে বাংলার অর্থনীতিকে প্রভাবিত করেছিল (আরো পড়ুন)
- ভারত ছাড়ো আন্দোলনের পটভূমি (আরো পড়ুন)
- গান্ধীজীর ধারণায় হিন্দ স্বরাজ ও সম্প্রীতি তত্ত্বাবধান (আরো পড়ুন)
সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ| আশাকরি আমাদের এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগলো| আপনার যদি এই পোস্টটি সম্বন্ধে কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে নিচে কমেন্টের মাধ্যমে আমাদেরকে জানাতে পারেন এবং অবশ্যই পোস্টটি শেয়ার করে অপরকে জানতে সাহায্য করুন|
.......................................